মঙ্গাবিজয়-সাফল্য অব্যাহত থাকুক
তেলেসমাতি কাম হইছে' বলে আত্মতৃপ্তি প্রকাশ করেছে উত্তরাঞ্চলের কৃষক। সেই তৃপ্তি বেঁচে থাকার পথ পাওয়ার কারণে। চিরদুঃখ মঙ্গার আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে বলে এবং দুবেলা ভাত খাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার সুবাদে। এটা সম্ভব হয়েছে সেখানে উন্নতজাতের ধান উৎপাদন হওয়ায়। যে এলাকায় একসময় ভাদ্র মাস থেকে অস্বাভাবিক দুর্ভিক্ষ দেখা দিত, সেই এলাকায় এখন সোনালি ধান শোভা পাচ্ছে কৃষকের উঠানে।
গান শোনা যাচ্ছে কৃষকের মুখ থেকে। এই সাফল্যের জন্য প্রথমেই সাধুবাদ জানাতে হয় বাংলাদেশ সরকারকে যথাচিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। একই সঙ্গে বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটকে কৃতিত্ব দিতে হবে তাদের উদ্ভাবনের জন্য। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত ধান বিনা-৭ এবং ব্রি-৩৩ স্বল্প সময়ের মধ্যে উৎপাদন হয়। তা-ই কাজে লাগিয়েছে রংপুর এলাকার আটটি জেলার কৃষকরা। এবার সেই এলাকায় উৎপাদিত ধান উদ্বৃত্ত থাকছে। এই সাফল্য ওই এলাকার মানুষের মুখেই শুধু হাসি ফুটিয়েছে তাই নয়, গোটা বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করেছে। অন্তত মানুষ বুঝতে পারছে, ইচ্ছা করলে আমাদের দেশের মানুষও পারে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের সহযোগিতাকে কাজে লাগাতে তারাও সক্ষম। এই সক্ষমতারই প্রমাণ পাওয়া গেল উত্তরাঞ্চলে। মাত্র তিন বছর আগেও ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ নিজ গ্রাম ছেড়ে দুমুঠো ভাতের জোগাড় করতে সেই সিলেট-চট্টগ্রাম_কোথায় না ছুটে বেড়িয়েছে! পত্রিকার পাতাভর্তি দেখা গেছে সেখানকার করুণ কাহিনী।
বাংলাদেশের খরা ও মঙ্গাপ্রবণ এলাকায় এই সাফল্য দেখে আবারও মনে হয় বাংলাদেশের মানুষের ধৈর্য এবং সাহস দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম। আজকে উত্তরাঞ্চলের এই সাফল্য দেখে আমরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সৃষ্ট নতুন দুর্যোগের মোকাবিলা করার পথ খুঁজতে পারি। মঙ্গা জয় করার মতো সেখানকার লবণাক্ততা এবং সিডর-আইলার ক্ষতি মোকাবিলা করার সাহস পেতে পারি। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে যে দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছে, সেটিও মোকাবিলা করার পথ আমরা খুঁজে পেতে পারি। ধান উদ্ভাবনে যেমন আমাদের দেশের দুটি প্রতিষ্ঠান সাফল্য অর্জন করেছে, এ ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানীরা এগিয়ে আসতে পারেন। অন্তত আমাদের আগামী বাংলাদেশ যাতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি সুখ-শান্তির ঠিকানা হতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে। সেখানেও লবণাক্ততার গ্রাস থেকে কৃষি জমিগুলো রক্ষা পেতে পারে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে। দক্ষিণাঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন হ্রাস হওয়ার কারণে উত্তরাঞ্চলের এককালের মঙ্গাপীড়িত মানুষের মতো সেখানকার মানুষও এলাকা ছাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গা এলাকার মতো উদ্যোগ গ্রহণ করলে আশা করা যায়, দক্ষিণাঞ্চলেও সাফল্যের সোনালি দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।
বাংলাদেশের খরা ও মঙ্গাপ্রবণ এলাকায় এই সাফল্য দেখে আবারও মনে হয় বাংলাদেশের মানুষের ধৈর্য এবং সাহস দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম। আজকে উত্তরাঞ্চলের এই সাফল্য দেখে আমরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সৃষ্ট নতুন দুর্যোগের মোকাবিলা করার পথ খুঁজতে পারি। মঙ্গা জয় করার মতো সেখানকার লবণাক্ততা এবং সিডর-আইলার ক্ষতি মোকাবিলা করার সাহস পেতে পারি। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে যে দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছে, সেটিও মোকাবিলা করার পথ আমরা খুঁজে পেতে পারি। ধান উদ্ভাবনে যেমন আমাদের দেশের দুটি প্রতিষ্ঠান সাফল্য অর্জন করেছে, এ ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানীরা এগিয়ে আসতে পারেন। অন্তত আমাদের আগামী বাংলাদেশ যাতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি সুখ-শান্তির ঠিকানা হতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে। সেখানেও লবণাক্ততার গ্রাস থেকে কৃষি জমিগুলো রক্ষা পেতে পারে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে। দক্ষিণাঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন হ্রাস হওয়ার কারণে উত্তরাঞ্চলের এককালের মঙ্গাপীড়িত মানুষের মতো সেখানকার মানুষও এলাকা ছাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গা এলাকার মতো উদ্যোগ গ্রহণ করলে আশা করা যায়, দক্ষিণাঞ্চলেও সাফল্যের সোনালি দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।
No comments