জেএসসি-জেডিসির ফল ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী-আগামীতে শিক্ষার্থীরা পাবে ইলেকট্রনিক বই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতে কাগজের বইয়ের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের হাতে ইলেকট্রনিক বই তুলে দেওয়া হবে। কাগজের মোটা বই আর বহন করতে হবে না। গতকাল বুধবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোর জিলা স্কুল ও যশোরের আমিনিয়া কামেলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার পর
আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবারের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী শিক্ষাবর্ষের নতুন বই
ইতিমধ্যে সারাদেশে পেঁৗছে গেছে। তবে কেউ কেউ হতাশার কথা লিখছেন এবং টকশোতে প্রচার করছেন। কিছু খবরের কাগজ পড়লে মনে হয় কিছুই হবে না। তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার সব পর্যায়ে সেশন জট দূর করতে পেরেছে। বর্তমানে সেশনজট বলতে আর কিছুই নেই। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণী সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি দূর হচ্ছে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচন। আর এর মূল হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। আগে বাবা-মায়েরা মেয়েদের শিক্ষার জন্য খরচ করতে না চাইলেও এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সুশিক্ষিত হয়ে সবাই নিজের পায়ে দাঁড়াবে আমরা সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। এবার ৩৭ দিনে ফল দেওয়া সম্ভব হওয়ার পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ অন্যদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
'রোগীকে পরিবারের সদস্য
মনে করে সেবা দিন'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্য মনে করে সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণকালে আরও বলেন, চিকিৎসা শুধু একটি পেশা নয়, একটি মহান ব্রত। আপনাদের আর্তপীড়িতদের সেবাদানের জন্য সামর্থ্য অর্জন এবং প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের একজন সদস্য মনে করে সেভাবে সেবা দিতে হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রহুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বিসিপিএসের সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান সমাবর্তন বক্তব্য পেশ করেন এবং বিসিপিএসের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নাজমুন নাহার ও বিসিপিএসের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবদুল কাদের খান স্বাগত এবং ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব কিছু করে যাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, চিকিৎসকরা জ্ঞান অর্জন করবেন ও সে অনুযায়ী রোগীকে সর্বোত্তম সেবা দিয়ে যাবেন।
দেশকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করার জন্য বিএনপি-জামায়াতের নিন্দা করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর আমরা এসব দুষ্টচক্রের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করি এবং দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলি। প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার সরকারকে সহযোগিতা দিতে চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে চায়। এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনুষ্ঠিত হবেই।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তিনি একটি বিসিপিএস স্মারক ডাক টিকিটও অবমুক্ত করেন এবং চিকিৎসকদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।
বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন আজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রাথমিক, এবতেদায়ি, কারিগরি, দাখিল ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১২ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
ইতিমধ্যে সারাদেশে পেঁৗছে গেছে। তবে কেউ কেউ হতাশার কথা লিখছেন এবং টকশোতে প্রচার করছেন। কিছু খবরের কাগজ পড়লে মনে হয় কিছুই হবে না। তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার সব পর্যায়ে সেশন জট দূর করতে পেরেছে। বর্তমানে সেশনজট বলতে আর কিছুই নেই। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণী সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি দূর হচ্ছে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচন। আর এর মূল হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। আগে বাবা-মায়েরা মেয়েদের শিক্ষার জন্য খরচ করতে না চাইলেও এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সুশিক্ষিত হয়ে সবাই নিজের পায়ে দাঁড়াবে আমরা সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। এবার ৩৭ দিনে ফল দেওয়া সম্ভব হওয়ার পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ অন্যদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
'রোগীকে পরিবারের সদস্য
মনে করে সেবা দিন'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্য মনে করে সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণকালে আরও বলেন, চিকিৎসা শুধু একটি পেশা নয়, একটি মহান ব্রত। আপনাদের আর্তপীড়িতদের সেবাদানের জন্য সামর্থ্য অর্জন এবং প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের একজন সদস্য মনে করে সেভাবে সেবা দিতে হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রহুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বিসিপিএসের সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান সমাবর্তন বক্তব্য পেশ করেন এবং বিসিপিএসের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নাজমুন নাহার ও বিসিপিএসের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবদুল কাদের খান স্বাগত এবং ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব কিছু করে যাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, চিকিৎসকরা জ্ঞান অর্জন করবেন ও সে অনুযায়ী রোগীকে সর্বোত্তম সেবা দিয়ে যাবেন।
দেশকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করার জন্য বিএনপি-জামায়াতের নিন্দা করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর আমরা এসব দুষ্টচক্রের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করি এবং দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলি। প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার সরকারকে সহযোগিতা দিতে চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে চায়। এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনুষ্ঠিত হবেই।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তিনি একটি বিসিপিএস স্মারক ডাক টিকিটও অবমুক্ত করেন এবং চিকিৎসকদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।
বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন আজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রাথমিক, এবতেদায়ি, কারিগরি, দাখিল ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১২ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
No comments