সরকারি ওষুধে বিএমএ নেতার চিকিৎসাশিবির! by প্রণব বল
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) ওষুধ নিয়ে নিজ এলাকায় চিকিৎসাশিবির খুলেছেন আওয়ামী লীগের নেতা ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রামের সভাপতি শেখ শফিউল আজম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিধিবহির্ভূতভাবে ওষুধ দেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। বিএমএর উদ্যোগে চিকিৎসাশিবির করার ঘোষণা দেওয়া হলেও স্থানীয় বিএমএর কোনো সভায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত হয়নি বলে সংগঠনটির অন্য নেতারা
জানিয়েছেন। শফিউল আজম বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ছাড়াও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) চট্টগ্রামের আহ্বায়ক। তিনি কোনো সরকারি হাসপাতাল বা বেসরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত নন। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার থেকে তিন দিনব্যাপী শিবির শুরু হয় রাউজানের উরকিরচর উচ্চবিদ্যালয়ের ভবনে। গত রোববার তা শেষ হয়। এই এলাকায় শফিউল আজমের বাড়ি।
চিকিৎসাশিবিরের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল, ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ শুক্র, শনি ও রবিবার তিন দিনব্যাপী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ক্যাম্প, প্রাথমিক স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মশালা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান, চক্ষু ক্যাম্প, খৎনা ও কর্ণছেদন কর্মসূচি এবং বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. শেখ মো. শফিউল আজম।’
আমন্ত্রণপত্রের নিচে ‘নিবেদক’ হিসেবে লেখা ছিল, ‘ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক বিএমএ চট্টগ্রাম ও ডা. মো. আবুল কাসেম মাসুদ, সমাজসেবা সম্পাদক বিএমএ চট্টগ্রাম।’ নাসির উদ্দিন মাহমুদ ওই সময় দেশের বাইরে ছিলেন। দেশে ফেরার পর তিনি প্রথম আলোকে বলেছেন, শফিউল আজম চিকিৎসাশিবির করবেন এবং দাওয়াতপত্রে তাঁর নাম ব্যবহার করবেন বলে তাঁকে জানিয়েছিলেন। চিকিৎসাশিবির সম্পর্কে এর বেশি তিনি কিছু জানেন না।
আবুল কাসেম মাসুদ দেশে অবস্থান করলেও তিনি ওই শিবিরে যাননি। এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য আবুল কাসেমের মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএমএর সাম্প্রতিক কোনো সভায় চিকিৎসাশিবির পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। স্থানীয় বিএমএ এ বিষয়ে কিছুই জানে না।’
চমেক হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেছেন, চিকিৎসাশিবিরের জন্য হাসপাতাল থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন সরকারি ওষুধ নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার এই ওষুধের জন্য শফিউল আজম নিজে আবেদন করেন। গত শনিবার তিনি ওষুধ নিয়ে যান।
বিষয়টি স্বীকার করে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শফি সাহেব একটা আবেদন করেছিলেন। আমাদেরও ওষুধ সংকট রয়েছে। তার পরও হাসপাতালের কিছু ওষুধ এবং বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি নমুনা হিসেবে যেসব ওষুধ দিয়ে যায় তা শফি সাহেবকে দেওয়া হয়েছে।’
সরকারি ওষুধ এভাবে দেওয়ার নিয়ম আছে কি না, জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে প্যারাসিটামল, হিস্টাসিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ওরস্যালাইনসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ চিকিৎসাশিবিরের জন্য দেওয়া হয়। চমেক হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা রয়েছে এক হাজার ১০টি। কিন্তু প্রতিদিন রোগী থাকে এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার পর্যন্ত। বাড়তি রোগীর জন্য কোনো ওষুধের বরাদ্দ দেওয়া হয় না।
সরকারি হাসপাতালের ওষুধ বাইরের কোনো শিবিরে দেওয়া যায় কি না, জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘ওই ওষুধ কোনোভাবেই বাইরে দেওয়া যায় না। শুধুমাত্র দুর্যোগের সময়ে তা দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় দেওয়া যায়।’
জানতে চাইলে শেখ শফিউল আজম বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ নিয়েছি। এ ছাড়া কিছু নিয়েছি ওষুধ কোম্পানি থেকে। সরকারি ওষুধ তো আমি মানুষের সেবায় ব্যবহার করছি।’
বিএমএর সিদ্ধান্ত ছাড়াই চিকিৎসাশিবির করার কারণ জানতে চাইলে শফিউল, ‘বিএমএর নামে চিকিৎসাশিবির করতে সভা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয় না। যাঁরা সমালোচনা করছেন, তারা এই ধরনের শিবির করে দেখাক না!’
চিকিৎসাশিবিরের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল, ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ শুক্র, শনি ও রবিবার তিন দিনব্যাপী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ক্যাম্প, প্রাথমিক স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মশালা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান, চক্ষু ক্যাম্প, খৎনা ও কর্ণছেদন কর্মসূচি এবং বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. শেখ মো. শফিউল আজম।’
আমন্ত্রণপত্রের নিচে ‘নিবেদক’ হিসেবে লেখা ছিল, ‘ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক বিএমএ চট্টগ্রাম ও ডা. মো. আবুল কাসেম মাসুদ, সমাজসেবা সম্পাদক বিএমএ চট্টগ্রাম।’ নাসির উদ্দিন মাহমুদ ওই সময় দেশের বাইরে ছিলেন। দেশে ফেরার পর তিনি প্রথম আলোকে বলেছেন, শফিউল আজম চিকিৎসাশিবির করবেন এবং দাওয়াতপত্রে তাঁর নাম ব্যবহার করবেন বলে তাঁকে জানিয়েছিলেন। চিকিৎসাশিবির সম্পর্কে এর বেশি তিনি কিছু জানেন না।
আবুল কাসেম মাসুদ দেশে অবস্থান করলেও তিনি ওই শিবিরে যাননি। এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য আবুল কাসেমের মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএমএর সাম্প্রতিক কোনো সভায় চিকিৎসাশিবির পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। স্থানীয় বিএমএ এ বিষয়ে কিছুই জানে না।’
চমেক হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেছেন, চিকিৎসাশিবিরের জন্য হাসপাতাল থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন সরকারি ওষুধ নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার এই ওষুধের জন্য শফিউল আজম নিজে আবেদন করেন। গত শনিবার তিনি ওষুধ নিয়ে যান।
বিষয়টি স্বীকার করে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শফি সাহেব একটা আবেদন করেছিলেন। আমাদেরও ওষুধ সংকট রয়েছে। তার পরও হাসপাতালের কিছু ওষুধ এবং বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি নমুনা হিসেবে যেসব ওষুধ দিয়ে যায় তা শফি সাহেবকে দেওয়া হয়েছে।’
সরকারি ওষুধ এভাবে দেওয়ার নিয়ম আছে কি না, জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে প্যারাসিটামল, হিস্টাসিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ওরস্যালাইনসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ চিকিৎসাশিবিরের জন্য দেওয়া হয়। চমেক হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা রয়েছে এক হাজার ১০টি। কিন্তু প্রতিদিন রোগী থাকে এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার পর্যন্ত। বাড়তি রোগীর জন্য কোনো ওষুধের বরাদ্দ দেওয়া হয় না।
সরকারি হাসপাতালের ওষুধ বাইরের কোনো শিবিরে দেওয়া যায় কি না, জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘ওই ওষুধ কোনোভাবেই বাইরে দেওয়া যায় না। শুধুমাত্র দুর্যোগের সময়ে তা দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় দেওয়া যায়।’
জানতে চাইলে শেখ শফিউল আজম বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ নিয়েছি। এ ছাড়া কিছু নিয়েছি ওষুধ কোম্পানি থেকে। সরকারি ওষুধ তো আমি মানুষের সেবায় ব্যবহার করছি।’
বিএমএর সিদ্ধান্ত ছাড়াই চিকিৎসাশিবির করার কারণ জানতে চাইলে শফিউল, ‘বিএমএর নামে চিকিৎসাশিবির করতে সভা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয় না। যাঁরা সমালোচনা করছেন, তারা এই ধরনের শিবির করে দেখাক না!’
No comments