বেহাল সড়ক: সংস্কারের দাবি-যশোরে চলছে, নীলফামারীতে ধর্মঘট আজ থেকে
নীলফামারী-ডোমার সড়ক সংস্কারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে নীলফামারীতে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হচ্ছে। এদিকে সড়ক সংস্কারের দাবিতে যশোর-নড়াইল সড়কে তৃতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে। সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু না করলে ৬ জানুয়ারি থেকে যশোর-খুলনা সড়কেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিবহন নেতারা। নীলফামারী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি শাহজাহান আলী
চৌধুরী বলেন, ‘নীলফামারী-ডোমার সড়কের ২২ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে ওই পথে যানবাহন চালাতে গিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি মালিকপক্ষ চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই আমরা সব ধরনের পরিবহন সংগঠন যৌথভাবে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
শাহজাহান বলেন, ধর্মঘটের সময় নীলফামারী থেকে ডোমার, চিলাহাটি, ডিমলা, ডালিয়া, দেবীগঞ্জ, সৈয়দপুর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, পাটগ্রাম, ঢাকাসহ প্রায় ১৬টি যাত্রাপথে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গক্রমে পরিবহন নেতা শাহজাহান বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের সময় নীলফামারী থেকে একটি পাখিও উড়তে পারবে না।’
প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে আরএনআই এমপি-২ নীলফামারী প্রকল্পের আওতায় নীলফামারী-ডোমার সড়কের সংস্কারকাজের দরপত্র-প্রক্রিয়া শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এ সময়ে কোনো সংস্কারকাজ করতে না পারায় সড়কটি চলাচলের আরও অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে ওই পথের যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে।
এদিকে যশোর-নড়াইল সড়কে ধর্মঘট চলার সময় গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা বৈঠক করেন। যশোর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আলী আকবরের সভাপতিত্বে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সড়ক চলাচলের উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত যশোর-নড়াইল সড়কে ধর্মঘট চলবে। এ ছাড়া আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে যশোর-খুলনা সড়ক সংস্কার করা না হলে ৬ জানুয়ারি থেকে ওই সড়কেও ধর্মঘট পালন করা হবে।
পরিবহন নেতা আলী আকবর প্রথম আলোকে বলেন, ‘যশোর-খুলনা মহাসড়কের যশোর শহর থেকে অভয়নগরের রাজঘাট পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই সড়কটি সংস্কারের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করতে আমরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনকে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে সংস্কার করা না হলে ওই সড়কেই ৬ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করা হবে।’
এ ব্যাপারে সওজ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, যশোর-নড়াইল সড়ক সংস্কারের জন্য যশোরের সেল-পিএইএল-জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ও যশোর থেকে রাজঘাট পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজের জন্য অপর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।
শিগগির কাজ শুরু করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটিকে প্রতিনিয়ত তাগিদ দেওয়া হচ্ছে বলে জিয়াউল দাবি করেন।
যাত্রীদের দুর্ভোগ: এদিকে যশোর-নড়াইল সড়কে ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। গতকাল বুধবার বৃদ্ধা নছিরন নেছা বলেন, ‘বাবা, শেষ হইয়ে গিলাম। যশোরে মাইয়ের বাড়ি আইলাম। তিন দিন ধরে যাব যাব করতিছি। কিন্তু বাস বন্ধ বলে যাতি পারতিচি নে। ওদিকি বুড়ো (স্বামী) বাড়িতে একা রয়েছে। মাজায় (কোমর) ব্যথা নিয়ে নছিমনে করে যাতি হচ্চে। আর পারা যাচ্চে না।’
গত সোমবার থেকে যশোর-নড়াইল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় নছিরন নেছার মতো চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সভাপতি আজিজুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তো ধর্মঘট করতে চাইনি। কিন্তু যানবাহন চালানোর মতো অবস্থা ওই সড়কে নেই।’
গর্ত ভরাট হচ্ছে: যশোর-নড়াইল সড়ক চলাচলের উপযোগী করতে দুই দিন ধরে সওজের উদ্যোগে ইট-বালু ফেলে গর্ত ভরাটের চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যশোর শহরের নড়াইল বাসস্ট্যান্ড থেকে নীলগঞ্জ সেতু পর্যন্ত আধা কিলোমিটারের মতো সড়কে ইট-বালু ফেলে গর্ত ভরাটের চেষ্টা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রমিকনেতা আজিজুল আলম বলেন, লোক-দেখানো সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কার্যত যশোর-নড়াইল সড়কের ৩২ কিলোমিটার সড়কই চলাচলের অনুপযোগী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংস্কারকাজ করে চলাচলের উপযোগী না করা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
শাহজাহান বলেন, ধর্মঘটের সময় নীলফামারী থেকে ডোমার, চিলাহাটি, ডিমলা, ডালিয়া, দেবীগঞ্জ, সৈয়দপুর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, পাটগ্রাম, ঢাকাসহ প্রায় ১৬টি যাত্রাপথে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গক্রমে পরিবহন নেতা শাহজাহান বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের সময় নীলফামারী থেকে একটি পাখিও উড়তে পারবে না।’
প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে আরএনআই এমপি-২ নীলফামারী প্রকল্পের আওতায় নীলফামারী-ডোমার সড়কের সংস্কারকাজের দরপত্র-প্রক্রিয়া শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এ সময়ে কোনো সংস্কারকাজ করতে না পারায় সড়কটি চলাচলের আরও অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে ওই পথের যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে।
এদিকে যশোর-নড়াইল সড়কে ধর্মঘট চলার সময় গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা বৈঠক করেন। যশোর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আলী আকবরের সভাপতিত্বে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সড়ক চলাচলের উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত যশোর-নড়াইল সড়কে ধর্মঘট চলবে। এ ছাড়া আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে যশোর-খুলনা সড়ক সংস্কার করা না হলে ৬ জানুয়ারি থেকে ওই সড়কেও ধর্মঘট পালন করা হবে।
পরিবহন নেতা আলী আকবর প্রথম আলোকে বলেন, ‘যশোর-খুলনা মহাসড়কের যশোর শহর থেকে অভয়নগরের রাজঘাট পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই সড়কটি সংস্কারের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করতে আমরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনকে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে সংস্কার করা না হলে ওই সড়কেই ৬ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করা হবে।’
এ ব্যাপারে সওজ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, যশোর-নড়াইল সড়ক সংস্কারের জন্য যশোরের সেল-পিএইএল-জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ও যশোর থেকে রাজঘাট পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজের জন্য অপর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।
শিগগির কাজ শুরু করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটিকে প্রতিনিয়ত তাগিদ দেওয়া হচ্ছে বলে জিয়াউল দাবি করেন।
যাত্রীদের দুর্ভোগ: এদিকে যশোর-নড়াইল সড়কে ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। গতকাল বুধবার বৃদ্ধা নছিরন নেছা বলেন, ‘বাবা, শেষ হইয়ে গিলাম। যশোরে মাইয়ের বাড়ি আইলাম। তিন দিন ধরে যাব যাব করতিছি। কিন্তু বাস বন্ধ বলে যাতি পারতিচি নে। ওদিকি বুড়ো (স্বামী) বাড়িতে একা রয়েছে। মাজায় (কোমর) ব্যথা নিয়ে নছিমনে করে যাতি হচ্চে। আর পারা যাচ্চে না।’
গত সোমবার থেকে যশোর-নড়াইল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় নছিরন নেছার মতো চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সভাপতি আজিজুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তো ধর্মঘট করতে চাইনি। কিন্তু যানবাহন চালানোর মতো অবস্থা ওই সড়কে নেই।’
গর্ত ভরাট হচ্ছে: যশোর-নড়াইল সড়ক চলাচলের উপযোগী করতে দুই দিন ধরে সওজের উদ্যোগে ইট-বালু ফেলে গর্ত ভরাটের চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যশোর শহরের নড়াইল বাসস্ট্যান্ড থেকে নীলগঞ্জ সেতু পর্যন্ত আধা কিলোমিটারের মতো সড়কে ইট-বালু ফেলে গর্ত ভরাটের চেষ্টা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রমিকনেতা আজিজুল আলম বলেন, লোক-দেখানো সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কার্যত যশোর-নড়াইল সড়কের ৩২ কিলোমিটার সড়কই চলাচলের অনুপযোগী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংস্কারকাজ করে চলাচলের উপযোগী না করা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
No comments