পশ্চিমবঙ্গের রফতানি নিষেধাজ্ঞায় পেঁয়াজের বাজার অস্থির by এম শাহজাহান
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পেঁয়াজ রফতানির ওপর
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়েছে। দাম বাড়তে শুরু করেছে
পেঁয়াজের। ঠিক কী কারণে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী পেঁয়াজ
রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা জানে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
তবে দিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরকে এ
ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কী কারণে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ
করা হয়েছে তা দ্রুত মন্ত্রণালয়ে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পেঁয়াজ রফতানির ওপর কেন নিষেধাজ্ঞা দিল তা জানে না সরকার। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছি। ইতোমধ্যে দিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিযুক্ত কাউন্সিলরকে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কারণ জানার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, এর আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করার পর পেঁয়াজের দাম কমে আসে। বৃহস্পতিবারও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সচিবের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হরতালের কারণে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বৈঠক পেছানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তবে শীঘ্রই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হবে।
এদিকে, রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি দেশী পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজে ৩ টাকা বেড়ে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে কাপ্তানবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মোঃ খলিল বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ফের বেড়ে গেছে। শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর দেশী পেঁয়াজের দাম কমলে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা কমে গেছে। এবার ভারত রফতানি বন্ধ করলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে।
এদিকে, নতুন পেঁয়াজ ওঠার পরও এ বছর পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা কমছে না। ইতোমধ্যে দাম বেশি নেয়াসহ অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রমাণ পেয়েছে সরকার। ট্যারিফ কমিশনের হিসাব মতে, ২৩ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বর্তমান ৪৮ টাকা। মাসখানেক আগে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়। আর এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন অজুহাত দাঁড় করিয়ে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে থাকেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভারত রফতানি বন্ধ করায় এ অজুহাতে আরও দাম বাড়িয়ে দেবেন আমদানিকারকরা। আর তাই রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেজিপ্রতি দাম বেড়ে গেছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। অথচ এলসি করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আনতে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগে। পেঁয়াজ কিনতে এসে অধিকাংশ ক্রেতা বিরক্ত। কারণ মওসুমেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। বছরের বাকি সময় পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রমজানে পেঁয়াজের চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে যায়। আর কয়েকমাস পরে রমজান। এ অবস্থায় সঙ্কট দূর করার উদ্যোগ নেয়া না হলে সামনে পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণীন হয়ে পড়বে।
এদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১-১২ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ছিল ১৮ লাখ ৫০ হাজার টন। চলতি অর্থবছরে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ১৯ লাখ ২৪ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সারাবছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। সে হিসেবে চলতি বছর সাড়ে ৩ লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি হচ্ছে। এই ঘাটতি মাথায় রেখে বাকি পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পেঁয়াজ রফতানির ওপর কেন নিষেধাজ্ঞা দিল তা জানে না সরকার। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছি। ইতোমধ্যে দিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিযুক্ত কাউন্সিলরকে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কারণ জানার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, এর আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করার পর পেঁয়াজের দাম কমে আসে। বৃহস্পতিবারও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সচিবের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হরতালের কারণে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বৈঠক পেছানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তবে শীঘ্রই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হবে।
এদিকে, রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি দেশী পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজে ৩ টাকা বেড়ে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে কাপ্তানবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মোঃ খলিল বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ফের বেড়ে গেছে। শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর দেশী পেঁয়াজের দাম কমলে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা কমে গেছে। এবার ভারত রফতানি বন্ধ করলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে।
এদিকে, নতুন পেঁয়াজ ওঠার পরও এ বছর পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা কমছে না। ইতোমধ্যে দাম বেশি নেয়াসহ অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রমাণ পেয়েছে সরকার। ট্যারিফ কমিশনের হিসাব মতে, ২৩ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বর্তমান ৪৮ টাকা। মাসখানেক আগে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়। আর এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন অজুহাত দাঁড় করিয়ে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে থাকেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভারত রফতানি বন্ধ করায় এ অজুহাতে আরও দাম বাড়িয়ে দেবেন আমদানিকারকরা। আর তাই রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেজিপ্রতি দাম বেড়ে গেছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। অথচ এলসি করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আনতে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগে। পেঁয়াজ কিনতে এসে অধিকাংশ ক্রেতা বিরক্ত। কারণ মওসুমেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। বছরের বাকি সময় পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রমজানে পেঁয়াজের চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে যায়। আর কয়েকমাস পরে রমজান। এ অবস্থায় সঙ্কট দূর করার উদ্যোগ নেয়া না হলে সামনে পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণীন হয়ে পড়বে।
এদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১-১২ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ছিল ১৮ লাখ ৫০ হাজার টন। চলতি অর্থবছরে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ১৯ লাখ ২৪ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সারাবছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। সে হিসেবে চলতি বছর সাড়ে ৩ লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি হচ্ছে। এই ঘাটতি মাথায় রেখে বাকি পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
No comments