এইচআরডাব্লিউর প্রতিবেদন-যৌন নির্যাতনের শিকার ভারতীয় শিশুদের কপালে জোটে 'অবহেলা'

ভারতে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুরা বেশির ভাগ সময়ই পুলিশের অবহেলার শিকার হয়। তারা ঠিকমতো চিকিৎসা পায় না। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা_হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডাব্লিউ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
ভারত সরকার এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
'বেকিং দ্য সাইলেন্স : চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাবিউস ইন ইন্ডিয়া' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয় শিশুরা। এ ছাড়া স্কুল ও পরিচর্যা কেন্দ্রেও তারা নির্যাতনের শিকার হয়। যৌন নির্যাতনের শিকার শতাধিক শিশুর ওপর জরিপ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এইচআরডাব্লিউর দক্ষিণ এশিয়া শাখার পরিচালন মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, 'সাহসের সঙ্গে যেসব শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ করে, অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ, চিকিৎসক ও অন্যরা তাদের কথা হয় বিশ্বাস করে না, নয়তো পাত্তা দেয় না। যথাযথ সহযোগিতা পাওয়ার পরিবর্তে তারা অপচিকিৎসা ও অবহেলার শিকার হয়। এটা শিশুদের জন্য প্রথম ধাক্কা।'
৮২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শিশুরা আরেক দফা ধাক্কা খায় কথিত আঙুলের ছাপ, ফরেনসিকসহ অন্যান্য ডাক্তারি পরীক্ষার সময়। এ প্রসঙ্গে গাঙ্গুলি বলেন, 'যৌন নির্যাতনের শিকার কোনো শিশুর স্বজনের পক্ষে এ বিষয়ে কথা বলা কঠিন। এ জন্য পুলিশ, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের উচিত স্পর্শকাতর বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করা।' এ ছাড়া ভারতের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা সংস্কারের দাবিও জানান তিনি। ২০০৭ সালে পরিচালিত সরকারি এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি তিনটি শিশুর মধ্যে দুটি শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। জরিপে অংশ নেওয়া ১২ হাজার ৩০০ শিশুর প্রায় ৫৩ শতাংশই এক বা একাধিকভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, প্রতিবছর সাত হাজার ২০০-র বেশি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শিশু অধিকার কর্মীদের ধারণা, শিশু নির্যাতনের অনেক ঘটনা প্রকাশই পায় না। সূত্র : বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.