লস্কর-জামায়াত সম্পর্ক খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র ॥ আইনমন্ত্রী- জঙ্গীদের অর্থ যোগানদাতাদের খুঁজে বের করতে সহায়তা দেবে

পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি জঙ্গীদের অর্থদাতাদের খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দেবে।
আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে মঙ্গলবার নিজ দফতরে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফিরে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, "বাংলাদেশে জঙ্গী তৎপরতা মোকাবেলায় গোয়েন্দা তথ্যের পাশাপাশি কারিগরি এবং লজিস্টিক সাপোর্টও দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের আমন্ত্রণে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে যান। ১৫ মার্চ তিনি দেশে ফেরেন।
আইনমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে সফর শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, সে দেশের সরকারের সঙ্গে আমাদের যে সুসম্পর্ক তা আরও শক্তিশালী হয়েছে। জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের আমন্ত্রণে গেছি। সেখানকার আইনমন্ত্রী এ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। পারস্পরিক আইনী সহায়তা বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয় আলোচনা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় যারা অবৈধভাবে বিদেশে টাকা পাচার করেছে তা শনাক্ত করে দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে কথা হয়েছে। সন্ত্রাস দমন বিষয়ে র্যাবকে ট্রেনিং দিতে চেয়েছে। একইভাবে মামলাগুলোর যাতে দ্রুত শুনানি হয় সে ব্যাপারে আমেরিকা সহায়তা প্রদান করবে। জঙ্গী সংগঠনগুলোকে কারা অর্থ যোগদান দিচ্ছে, কারা হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের শনাক্ত করতে আমেরিকা সহায়তা করবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গী তৎপরতা কিভাবে ঠেকানো যায় সে জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমেরিকা কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ হাইকমিশনে যে সমস্ত লিগ্যাল এ্যাডভাইজার আছেন তঁদের সহযোগিতা করবে। তারা এখানে যান্ত্রিক ও বৈজ্ঞানিকভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।
আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ইতোমধ্যে সমসত্ম ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন কারা বিদেশ থেকে ডোনেশন নিচ্ছে। এ্যান্টি মানি লন্ডারিং টেররিজম এ্যাক্ট আরও যুগোপযোগী করার কথা বলা হয়েছে। পৃথিবীর ১১৬টি দেশের সঙ্গে আমেরিকার এ ধরনের চুক্তি আছে। তাদেরকে আমেরিকা সাহায্য-সহযোগিতা করছে। জোট সরকারের কারা, কি পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করেছে-এর উত্তরে আইন মন্ত্রী বলেন, তদন্তের খাতিরে এ কথা বলা যাবে না। তিনি বলেন, শুধু আমেরিকা নয়, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংসহ আরও কয়েক দেশে টাকা পাচার করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর খুনীরা, যদি আমেরিকায় থেকে থাকে সে তথ্য বাংলাদেশ সরকারকে দেবে। কোন খুনী আমেরিকায় থাকলে দেশে পাঠানোর ব্যাপারেও সহায়তা প্রদান করবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বললে ভুল হবে। যারা '৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদেরই বিচার হবে। শীঘ্রই তদন্ত সংস্থা ও চীফ প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.