'সাবাস বাংলাদেশ'-এ তিন মুক্তিযোদ্ধাকে অটবির সম্মাননা
স্বাধীনতা ও মুক্তির লড়াইয়ে নিবেদিত
যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মাননা জানাতে মার্চজুড়ে অটবি শুরু করেছে
'সাবাস বাংলাদেশ অফার' কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ
জাদুঘরে অটবি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব
প্রদর্শনকারী তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা_ এসএম খালেক উজ জামান, মো. আব্দুল মজিদ ও
মো. মজিবুর রহমানকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) কেএম শফিউলস্নাহ সাবাস বাংলাদেশ
কার্যক্রমের মনোগ্রামে শোভাবর্ধনকারী এ তিন মুক্তিযোদ্ধার নাম উল্লেখ করে
বলেন, এদের মতো সাহসী যোদ্ধারা ছিল বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। তারা অদম্য
সাহস দেখিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমরা
স্বাধীনতা পেয়েছি। তবে তিনি আৰেপ করে বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে। ভেবেছিলাম
আমাদের আর কোন প্রতিপৰ নেই। কিন্তু এখন দেখছি আমাদের প্রতিপৰ
(নিজামী-মুজাহিদরা) মহীরুহের মতোই আমাদের সামনেই দিব্যি ঘোরাফেরা করছে।
টেলিভিশনের পর্দায় দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার কথা জানিয়ে বলছে,
'দেশে কোন মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। গৃহযুদ্ধ হয়েছে।'
এ বিষয়ে কেএম শফিউল্লাহ তীব্র ৰোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা মুক্ত দেশে বাস করে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেছে তারা সংবিধান লঙ্ঘন করার মতো অপরাধ করেছে। এই অপরাধ রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
তিনি সরকারের প্রতি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা সেক্টর কমান্ডাররা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। কারণ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কখনই যুদ্ধাপরাধীদের ৰমা করেননি। বরং দালাল আইন করে ৩৭ হাজার ৭শ' দালালকে ৭৩টি ট্রাইবু্যনালের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করেছিলেন। তাই নরহত্যাকারী চিহ্নিত এসব যুদ্ধাপরাধীকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনুন। বিচারের মুখোমুখি করুন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন।
অটবির চীফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার ফেরদৌস হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বীরত্ব প্রদর্শনকারী তিন মুক্তিযোদ্ধার বর্তমান ও আগের অবস্থা উল্লেখ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে অটবির উদ্যোগের তিনি ভূয়সী প্রশংসাও করেন।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে অটবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিমেষ কু- মুক্তিযোদ্ধা এসএম খালেক উজ জামানকে অটবিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র প্রদান করেন।
তিনি বলেন, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই এক একটি মুক্তিযুদ্ধ। এটা হতে পারে কারও ব্যক্তিজীবনে। কোন প্রতিষ্ঠানে। কিংবা একটি ব্র্যান্ডের ৰেত্রে বা একটি দেশের প্রেৰাপটে। কেউ এটাকে অর্থনৈতিক বা আর্থ-সামাজিক যুদ্ধও বলতে পারে।
তিনি বলেন, যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, দেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধাই মানবেতর জীবনযাপন করছে। অটবি এ সব মুক্তিযোদ্ধার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে নিজেদের ধন্য করতে চায়।
এ লৰ্যে তিনি অটবির উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম খালেক উজ জামানকে অটবি পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে অটবি পরিবারে অন্তভুক্ত করতে পেরে আমরা গর্বিত। দেশব্যাপী সবুজ বনায়ন কর্মসূচীতে আমরা তাকে ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করছি।
এ বিষয়ে কেএম শফিউল্লাহ তীব্র ৰোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা মুক্ত দেশে বাস করে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেছে তারা সংবিধান লঙ্ঘন করার মতো অপরাধ করেছে। এই অপরাধ রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
তিনি সরকারের প্রতি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা সেক্টর কমান্ডাররা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। কারণ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কখনই যুদ্ধাপরাধীদের ৰমা করেননি। বরং দালাল আইন করে ৩৭ হাজার ৭শ' দালালকে ৭৩টি ট্রাইবু্যনালের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করেছিলেন। তাই নরহত্যাকারী চিহ্নিত এসব যুদ্ধাপরাধীকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনুন। বিচারের মুখোমুখি করুন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন।
অটবির চীফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার ফেরদৌস হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বীরত্ব প্রদর্শনকারী তিন মুক্তিযোদ্ধার বর্তমান ও আগের অবস্থা উল্লেখ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে অটবির উদ্যোগের তিনি ভূয়সী প্রশংসাও করেন।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে অটবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিমেষ কু- মুক্তিযোদ্ধা এসএম খালেক উজ জামানকে অটবিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র প্রদান করেন।
তিনি বলেন, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই এক একটি মুক্তিযুদ্ধ। এটা হতে পারে কারও ব্যক্তিজীবনে। কোন প্রতিষ্ঠানে। কিংবা একটি ব্র্যান্ডের ৰেত্রে বা একটি দেশের প্রেৰাপটে। কেউ এটাকে অর্থনৈতিক বা আর্থ-সামাজিক যুদ্ধও বলতে পারে।
তিনি বলেন, যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, দেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধাই মানবেতর জীবনযাপন করছে। অটবি এ সব মুক্তিযোদ্ধার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে নিজেদের ধন্য করতে চায়।
এ লৰ্যে তিনি অটবির উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম খালেক উজ জামানকে অটবি পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে অটবি পরিবারে অন্তভুক্ত করতে পেরে আমরা গর্বিত। দেশব্যাপী সবুজ বনায়ন কর্মসূচীতে আমরা তাকে ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করছি।
No comments