বর সাজা হলো না শফিকের- পাথরঘাটার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন

গতকাল ছিল শফিকের বিয়ের দিন। অভিভাবকপর্যায়ে কথা পাকাপাকির পর কনে নূরজাহানের হাতে আংটিও পরানো হয়।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ধার্য দিনে বরবেশে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হলো না শফিকের। চট্টগ্রাম থেকে নিজ বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায় এলেন লাশ হয়ে।

গত ৫ ফেব্র“য়ারি মঙ্গলবার জামায়াতের ডাকা হরতালকালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে পুলিশের গুলিতে মারা যান শফিক (২৬)। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে শফিক সবার ছোট। বড় ভাই শহিদ কাঁকচিড়া বাজারের পানের দোকানি। মাত্র চার শতক জমির ওপর ছোট্ট একটি ঘর ছাড়া শফিকের বাবার কোনো কৃষিজমি নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার নিহতের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটার কাঁকচিড়ায় গিয়ে দেখা যায় বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। অশীতিপর বাবা জালাল আহম্মদ শোকে বাকরুদ্ধ। মা মালেকা বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। বড় বোন আহাজারি করছেন। এর আগে বেলা ১১টায় কাঁকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন দাখিল মাদরাসা মাঠে শফিকের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা-পূর্ব উপস্থিত মুসুল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বরগুনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ, পাথরঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল কাদের।

জামায়াত শফিকুল ইসলাম চট্টগ্রাম বন্দর থানা শাখার কর্মী বলে জানান। তিনি সিইপিজেডের ইয়াংমেন্টের সুপারভাইজার ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.