যুক্তরাষ্ট্র- তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত জনপদ
'প্রচণ্ড তুষার ঝড়ে বরফের স্তুপ জমা হয়ে
পড়েছে জানালার শার্শিতে, ঘরে বিদ্যুত নেই তাই আপাতত মোমবাতির আলোই
ভরসা।'_ওয়াশিংটন প্রবাসী এক বাংলাদেশী তার মেইলে এটুকু লিখেই বিদায় নিলেন।
পানিহীন নগরজীবন কল্পনারও অতীত। আর এর মাঝেই বিদু্যত এবং পানিহীন হয়ে
কাটছে বেশ ক'টা দিন। চারদিকে বরফের স্তুপ। গাড়ি রাস্তায় বের করার উপায় নেই।
সুনসান রাস্তাঘাট। বাতিল ট্রেন, বিমানসহ সব যোগাযোগ মাধ্যম।
আধুনিক ইতিহাসে এটি ওয়াশিংটনের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে জানানো হয়েছে। ১৭৭২ সালের পর এ ধরনের প্রবল তুষারপাত এই প্রথম। এর পূর্বে গত ১৯ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে ১৬ ইঞ্চি তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। ১৯২২ সালের জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন বল্টিমোর অঞ্চলে ২৮ ইঞ্চি তুষারপাত রেকর্ড করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে ওয়াশিংটন ও তার চারপাশের অঞ্চলে টানা ৩০ ঘণ্টা অবিরাম চলেছিল এই তুষারপাত।
এক একটি স্থানে আনুমানিক ৩৫ ইঞ্চি পুরম্ন বরফের সত্মরও পড়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিসহ মিড আটলান্টিক নামে পরিচিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মূলত এই ভয়াবহ তুষারঝড় হয়। তুষার ঝড়ে জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে। ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া ৮ ইঞ্চি এবং পিটসবার্গ এলাকায় ১০ ইঞ্চি তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বেহাল জীবনযাত্রা। দু'দিন ধরে গৃহবন্দী অবস্থায় আটক থাকে নগরবাসী। বন্ধ রাসত্মাঘাট, বিদু্যত না থাকার জন্যই সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে।
বরফের সত্মূপে বিদু্যতের তার ঢেকে থাকায় বিছিন্ন হয়ে পড়েছিল বিদু্যত সংযোগ। তাই মার্কিন রাজধানীর বিসত্মীর্ণ এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকে টানা দু'দিন। মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, পেনসিলভানিয়া, নিউজার্সি, ওহাইয়োসহ বিভিন্ন জায়গায় তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে অনত্মত শ'খানেক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে কর্তৃপৰ জানায়। এর মাঝে ভার্জিনিয়ায় ২ জনের মৃতু্যর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপৰ। ঝড়ের কবলে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কনভয়ের একটি গাড়ি গতিরোধ করতে না পেরে ধাক্কা মারে অন্য একটি গাড়িকে। এরপরেই ওবামা ডেমোক্রেটিক কমিটির বৈঠকে বলেন, 'এই রকম প্রবল তুষারপাত তো বেশ অভিনব ব্যাপার। এ যেন স্নো মাগাডেন' আর আবহাওয়াবিদরা নাম দিয়েছেন 'এ্যাপোকালিপস্নো।' অন্যদিকে আবহাওয়াবিদরা এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য এলনিনোকে দায়ী করেন। এলনিনো হলো এমন এক অবস্থা যখন সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। যার ফলে প্রশানত্ম মহাসাগরীয় উপকূল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সেখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তবে একজন বিজ্ঞানী জানান, সব তুষারঝড় যে এলনিনোর প্রভাবে হয় তাও ঠিক নয়। এর পেছনে বিবিধ প্রাকৃতিক প্রভাব যুক্ত।
ইমরান হাসান
আধুনিক ইতিহাসে এটি ওয়াশিংটনের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে জানানো হয়েছে। ১৭৭২ সালের পর এ ধরনের প্রবল তুষারপাত এই প্রথম। এর পূর্বে গত ১৯ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে ১৬ ইঞ্চি তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। ১৯২২ সালের জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন বল্টিমোর অঞ্চলে ২৮ ইঞ্চি তুষারপাত রেকর্ড করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে ওয়াশিংটন ও তার চারপাশের অঞ্চলে টানা ৩০ ঘণ্টা অবিরাম চলেছিল এই তুষারপাত।
এক একটি স্থানে আনুমানিক ৩৫ ইঞ্চি পুরম্ন বরফের সত্মরও পড়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিসহ মিড আটলান্টিক নামে পরিচিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মূলত এই ভয়াবহ তুষারঝড় হয়। তুষার ঝড়ে জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে। ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া ৮ ইঞ্চি এবং পিটসবার্গ এলাকায় ১০ ইঞ্চি তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বেহাল জীবনযাত্রা। দু'দিন ধরে গৃহবন্দী অবস্থায় আটক থাকে নগরবাসী। বন্ধ রাসত্মাঘাট, বিদু্যত না থাকার জন্যই সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে।
বরফের সত্মূপে বিদু্যতের তার ঢেকে থাকায় বিছিন্ন হয়ে পড়েছিল বিদু্যত সংযোগ। তাই মার্কিন রাজধানীর বিসত্মীর্ণ এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকে টানা দু'দিন। মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, পেনসিলভানিয়া, নিউজার্সি, ওহাইয়োসহ বিভিন্ন জায়গায় তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে অনত্মত শ'খানেক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে কর্তৃপৰ জানায়। এর মাঝে ভার্জিনিয়ায় ২ জনের মৃতু্যর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপৰ। ঝড়ের কবলে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কনভয়ের একটি গাড়ি গতিরোধ করতে না পেরে ধাক্কা মারে অন্য একটি গাড়িকে। এরপরেই ওবামা ডেমোক্রেটিক কমিটির বৈঠকে বলেন, 'এই রকম প্রবল তুষারপাত তো বেশ অভিনব ব্যাপার। এ যেন স্নো মাগাডেন' আর আবহাওয়াবিদরা নাম দিয়েছেন 'এ্যাপোকালিপস্নো।' অন্যদিকে আবহাওয়াবিদরা এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য এলনিনোকে দায়ী করেন। এলনিনো হলো এমন এক অবস্থা যখন সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। যার ফলে প্রশানত্ম মহাসাগরীয় উপকূল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সেখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তবে একজন বিজ্ঞানী জানান, সব তুষারঝড় যে এলনিনোর প্রভাবে হয় তাও ঠিক নয়। এর পেছনে বিবিধ প্রাকৃতিক প্রভাব যুক্ত।
ইমরান হাসান
No comments