তীব্র যানজটে অচল রাজধানী

অসহনীয় যানজট। দুর্বিষহ ভোগান্তি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শেষ হয়ে গেলেও পথ যেন শেষ হচ্ছে না। এই ছিল রাজধানীর গতকালের চিত্র। সকালে যে যানজট সৃষ্টি হয়, তা অব্যাহত থাকে গভীর রাত পর্যন্ত।
রাজধানীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে কান্ত হয়ে পড়ে মানুষ। এরপর গণপরিবহন সঙ্কট। গতকাল যারা রাস্তায় নেমেছেন, তাদের ভোগান্তির যেন শেষ ছিল না।

গতকাল সকাল থেকে নগরবাসীর ভোগান্তি শুরু হয়। ভোরে দীর্ঘ যানজট। দিন যত বাড়তে থাকে যানজট যেন তত তীব্র হয়ে ওঠে। দুপুরের দিকে গাড়ি যেন আর চলছিল না। ৮ নম্বর বাসের ড্রাইভার শামসুদ্দিন গতকাল দুপুরে মতিঝিল এলাকায় বসে জানান, বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ থাকায় এক দুর্ভোগ। তিনি বলেন, প্রতিদিন সায়েদাবাদ থেকে গাবতলীতে চার-পাঁচটি ট্রিপ মারতে পারেন। গতকাল দু’টির বেশি ট্রিপ হবে না। এতে তার দু-তিন হাজার টাকা আয় কম হবে। সোহেল মাহমুদ বিকেলে জানান, তিনি গিয়েছিলেন মহাখালীতে। যেতে-আসতে যেখানে আধা ঘণ্টা লাগে, সেখানে লেগেছে তিন ঘণ্টা। হামিদ জানান, মিরপুর থেকে দুপুরে মতিঝিলে আসতে সময় লেগেছে চার ঘণ্টা। তিনি বলেন, ফার্মগেট থেকে রূপসী বাংলা হোটেল পর্যন্ত পৌঁছতেই লেগেছে দেড় ঘণ্টা। শাহবাগের রাস্তাটি বন্ধ থাকায় মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পুলিশ রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে থেকে সব গাড়ি কাকরাইলের দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। আবার মৎস্য ভবনের সামনে দিয়েও সব গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে কাকরাইলের দিকে। এ এলাকায় যানজট সৃষ্টি হওয়ায় তার ভোগান্তি ছড়িয়ে পরে পুরো রাজধানীতে। শাহবাগ এলাকায় দায়িত্বরত এক ট্রাফিক কর্মকর্তা বলেন, শাহবাগ থেকে সব পথ বন্ধ থাকায় এই ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এরূপ আরো দু-এক দিন চলতে থাকলে পুরো রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা।

No comments

Powered by Blogger.