কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা আরেক দফা প্রশ্নবিদ্ধ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর পক্ষপাতমূলক ও সবার অংশগ্রহণে
আগামী নির্বাচন নিয়ে যখন সংশয় দেখা দিয়েছে, তখন নির্বাচন কমিশন সংসদীয়
আসন তছনছ করেছে।
ক্ষমতাসীন
দলের সুপারিশে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো ধরনের মতামত ছাড়াই ৮৭টি
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন
কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা মারাত্মকভাবে ক্ষুণœ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই
সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনকেই বড় ধরনের জটিলতার মধ্যে ফেলে দিতে পারে।
নতুন পুনর্বিন্যাসে সংুব্ধ যেকোনো নাগরিক আদালতে যেতে পারেন। ফলে অনেক আসনে
নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।
নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জনসংখ্যার বিভাজনকে গুরুত্ব দিয়ে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। যদি প্রকৃত অর্থেই নির্বাচন কমিশন এই যুক্তিতে আসন পুনর্বিন্যাস করে থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনের আগেই উচিত ছিল আসনওয়ারি পুনর্বিন্যাসের ব্যাখা দেয়া, একই সাথে প্রতিটি আসনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করা। তাহলে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য ও স্বচ্ছতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠত না। নির্বাচন কমিশনকে মনে রাখতে হবে, এখন পর্যন্ত এই কমিশনের প্রতি বিরোধী দলের কোনো আস্থা নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে প্রধান বিরোধী দল অংশও নেয়নি। বিরোধী দলের কোনো ধরনের মতামত ছাড়াই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে প্রমাণ হয়, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসন বিন্যাসের এই তালিকায় এমন সব আসন বেছে নেয়া হয়েছে, যেগুলোতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে বিরোধী দলের প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিরোধী দলের সাথে আলাপ-আলোচনা ছাড়া আসন বিন্যাসের সিদ্ধান্ত এই সন্দেহকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন প্রকৃতপক্ষে বিরোধী ভোটকে বিভাজনের কৌশল হিসেবে আসন বিন্যাসের এই উদ্যোগ নিয়েছি। সাধারণ মানুষের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হবে যে, ক্ষমতাসীন দলের পরামর্শ অনুযায়ী এসব পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, যাতে আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীরা জটিলতার মুখে পড়বে। আসলে আসন বিন্যাসের সাথে সাথে ভোটের বিন্যাসও এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা সুবিধা পেতে পারে।
আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই সঠিক ও দূরদর্শী নয়। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আরো গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে। এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আরো বাড়ছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনায় বসা।
নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জনসংখ্যার বিভাজনকে গুরুত্ব দিয়ে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। যদি প্রকৃত অর্থেই নির্বাচন কমিশন এই যুক্তিতে আসন পুনর্বিন্যাস করে থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনের আগেই উচিত ছিল আসনওয়ারি পুনর্বিন্যাসের ব্যাখা দেয়া, একই সাথে প্রতিটি আসনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করা। তাহলে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য ও স্বচ্ছতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠত না। নির্বাচন কমিশনকে মনে রাখতে হবে, এখন পর্যন্ত এই কমিশনের প্রতি বিরোধী দলের কোনো আস্থা নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে প্রধান বিরোধী দল অংশও নেয়নি। বিরোধী দলের কোনো ধরনের মতামত ছাড়াই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে প্রমাণ হয়, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসন বিন্যাসের এই তালিকায় এমন সব আসন বেছে নেয়া হয়েছে, যেগুলোতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে বিরোধী দলের প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিরোধী দলের সাথে আলাপ-আলোচনা ছাড়া আসন বিন্যাসের সিদ্ধান্ত এই সন্দেহকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন প্রকৃতপক্ষে বিরোধী ভোটকে বিভাজনের কৌশল হিসেবে আসন বিন্যাসের এই উদ্যোগ নিয়েছি। সাধারণ মানুষের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হবে যে, ক্ষমতাসীন দলের পরামর্শ অনুযায়ী এসব পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, যাতে আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীরা জটিলতার মুখে পড়বে। আসলে আসন বিন্যাসের সাথে সাথে ভোটের বিন্যাসও এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা সুবিধা পেতে পারে।
আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই সঠিক ও দূরদর্শী নয়। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আরো গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে। এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আরো বাড়ছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনায় বসা।
No comments