ওবামার মধ্যপ্রাচ্য সফর-সূচিতে শান্তি আলোচনাই নেই
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার
আসন্ন মধ্যপ্রাচ্য সফরে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি আলোচনা চালুর
বিষয়ে কোনো কথা হবে না। বরং পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে ইরানকে বাগে আনতে
ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনাই বিশেষ গুরুত্ব পাবে। হোয়াইট হাউস গত বুধবার এ কথা
জানিয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত
ড্যান শাপিরো বলেছিলেন, ওবামা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে শান্তি আলোচনার টেবিলে
আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবেন। অথচ হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হলো
উল্টো কথা। ইসরায়েলের তরফ থেকেও বলা হয়, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিরোধ ছাড়াও
আলোচনার জন্য এ মুহূর্তে অনেক বড় ও বেশি জরুরি বিষয় আছে।
২০০৯ সালে প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ইসরায়েল সফরে না যাওয়ায় ওবামা ইহুদিদের সমালোচনার মুখে পড়েন। তবে তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি আলোচনা চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যদিও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েল একতরফা বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখায় তাঁর সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এ নিয়ে ওবামা ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো ওবামার ইসরায়েল সফরের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। আগামী মাসে এ সফর করবেন তিনি। এ সময় তিনি ফিলিস্তিন ও জর্দানও সফর করবেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনি জানান, ওবামার সফরে পরমাণু কর্মসূচির ইস্যুতে ইরানকে মোকাবিলা ও সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের হুমকির বিষয়টিতে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হবে। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে থেমে থাকা শান্তি আলোচনা পুনরায় চালুর বিষয়টি কম গুরুত্ব পাবে। তিনি জানান, এ বিষয়ে আলোচনা হতেও পারে। কারনি বলেন, 'আলোচনায় বিষয়টি উত্থাপিত হলে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী (নেতানিয়াহু) যেকোনো সময় এ নিয়ে কথা বলতে পারেন এবং নিশ্চিতভাবেই ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গেও যেকোনো সময় আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু এ বিষয় নিয়ে আলোচনা ওবামার সফরের মূল লক্ষ্য নয়।'
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, সিরিয়া সরকারের হাতে থাকা রাসায়নিক অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়েই ইসরায়েল এ মুহূর্তে বেশি উদ্বিগ্ন। তাদের আশঙ্কা এগুলো আল-কায়েদা ও হিযবুল্লাহর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে চলে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়ার বিষয়টি তারা নিশ্চিত হতে চায়। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ সফরকে ওবামা ও নেতানিয়াহুর সম্পর্ক জোরদারের একটি সুযোগ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। সূত্র : এএফপি।
২০০৯ সালে প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ইসরায়েল সফরে না যাওয়ায় ওবামা ইহুদিদের সমালোচনার মুখে পড়েন। তবে তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি আলোচনা চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যদিও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েল একতরফা বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখায় তাঁর সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এ নিয়ে ওবামা ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো ওবামার ইসরায়েল সফরের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। আগামী মাসে এ সফর করবেন তিনি। এ সময় তিনি ফিলিস্তিন ও জর্দানও সফর করবেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনি জানান, ওবামার সফরে পরমাণু কর্মসূচির ইস্যুতে ইরানকে মোকাবিলা ও সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের হুমকির বিষয়টিতে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হবে। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে থেমে থাকা শান্তি আলোচনা পুনরায় চালুর বিষয়টি কম গুরুত্ব পাবে। তিনি জানান, এ বিষয়ে আলোচনা হতেও পারে। কারনি বলেন, 'আলোচনায় বিষয়টি উত্থাপিত হলে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী (নেতানিয়াহু) যেকোনো সময় এ নিয়ে কথা বলতে পারেন এবং নিশ্চিতভাবেই ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গেও যেকোনো সময় আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু এ বিষয় নিয়ে আলোচনা ওবামার সফরের মূল লক্ষ্য নয়।'
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, সিরিয়া সরকারের হাতে থাকা রাসায়নিক অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়েই ইসরায়েল এ মুহূর্তে বেশি উদ্বিগ্ন। তাদের আশঙ্কা এগুলো আল-কায়েদা ও হিযবুল্লাহর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে চলে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়ার বিষয়টি তারা নিশ্চিত হতে চায়। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ সফরকে ওবামা ও নেতানিয়াহুর সম্পর্ক জোরদারের একটি সুযোগ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। সূত্র : এএফপি।
No comments