বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের গ্রেফতারে ভাটা by আবু সালেহ আকন
পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ হত্যার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ সমর্থকেরা প্রকাশ্যেই
ঘুরে বেড়াচ্ছে। খুনের ঘটনায় সরাসরি ২৫-৩০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম উঠে
এলেও সাতজনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে পুলিশ ইতি টেনেছে গ্রেফতার অভিযানের।
সরাসরি
যারা বিশ্বজিৎকে কুপিয়েছে, লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছে, যাদের ছবি বিভিন্ন
মিডিয়ায় ছাপা হয়েছে; তাদের অনেকে এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তারা দলীয়
বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছে বলে জানা যায়। পুলিশের একটি সূত্র বলেছে,
কয়েকজনকে গ্রেফতার না করার ব্যাপারে অলিখিত নির্দেশ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিরপরাধ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ হত্যার সাথে জড়িতদের মধ্যে ২০ জন এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। নৃশংস এ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাকিলসহ ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। সন্দেহভাজন আরো চারজন গ্রেফতার রয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচির দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় নিরপরাধ পথচারী বিশ্বজিৎকে। ছাত্রলীগের ক্যাডাররা তাকে টার্গেট করে একটি মার্কেটের দোতলায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রক্ষা পেতে বিশ্বজিৎ নিচে এলে সেখানেও তাকে এলোপাতাড়ি চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে এক রিকশাচালক উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিলে সেখানেও তার চিকিৎসার অবহেলা হয়। একপর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। খুনিদের নাম-পরিচয় বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পরও পুলিশ মামলায় তাদের নাম উল্লেখ করেনি। সুরতহাল রিপোর্ট নিয়েও গরমিল করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও গরমিল লক্ষ করা যায়। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ তোলা হয়, খুনিদের বাঁচানোর জন্যই সব কিছু পরিকল্পিতভাবে হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, তারা জানতে পেরেছেন খুনিদের অনেকে প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত, সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক সংবাদ সম্মেলনও করেছে নিহতের পরিবার ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যজোট। তারা বিশ্বজিতের সুরতহাল রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে নতুনভাবে সুরতহাল রিপোর্ট করার দাবিও জানান। এ ছাড়া মামলার এজাহারে আসামিদের নৃশংস এ হত্যার ঘটনার বর্ণনা ঠিকভাবে আসেনি বলেও দাবি করেন নিহতের পরিবার। এতে মামলাটি দুর্বল ও আসামিরা পার পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বজিতের পরিবার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অবশ্য বলেছেন, মামলার এজাহার, ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। মামলাটি দুর্বল বা আসামিরা পার পাওয়ারও সুযোগ নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলামের নির্দেশেই এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশকে জানায়। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলো রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, রাশেদুজ্জামান শাওন, এইচ এম কিবরিয়া, কাইউম মিয়া টিপু, সাইফুল ইসলাম ও এমদাদুল হক। এদের মধ্যে শাকিল, নাহিদ, শাওন ও এমদাদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আদালতে তারা বিশ্বজিৎকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেছে, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশেই তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সামনে দাঁড়িয়ে এই নির্দেশনা দিয়েছেন। সূত্র জানায়, বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের ওবায়দুল কাদের তাহসিন, মীর মোহাম্মদ নুরে আলম লিমন, ইউনুছ, জনি, শিপলু, রাজন চন্দ্র তালুকদার, মেহেদী হাসান, রফিকুল ইসলাম ওরফে কালা রফিক, আজিজুর রহমান, আবদুল্লাহ আল মামুন, পাভেল হাসান, আলাউদ্দিন, মোস্তফা ও তমালসহ আরো ২০ জন জড়িত রয়েছে বলে ক্যাম্পাস সূত্র জানায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের নাম সুনির্দিষ্টভাবে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশের পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাত্র ৯ জনের ছাত্রত্ব ও সনদ বাতিল করেছে। বাকিদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ। অন্য দিকে সাতজনকে গ্রেফতারের পর অজ্ঞাত কারণে গ্রেফতার অভিযানও থেমে গেছে। অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনকে গ্রেফতার না করতে বিভিন্ন মহলের চাপ রয়েছে। বিশ্বজিতের ওপর প্রথম আঘাতকারী রাজন তালুকদারকে গ্রেফতার না করতে সরকারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজনের ছাত্রত্ব বাতিল যাতে না হয়, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চাপ দিচ্ছে কয়েকজন প্রভাবশালী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিরপরাধ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ হত্যার সাথে জড়িতদের মধ্যে ২০ জন এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। নৃশংস এ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাকিলসহ ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। সন্দেহভাজন আরো চারজন গ্রেফতার রয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচির দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় নিরপরাধ পথচারী বিশ্বজিৎকে। ছাত্রলীগের ক্যাডাররা তাকে টার্গেট করে একটি মার্কেটের দোতলায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রক্ষা পেতে বিশ্বজিৎ নিচে এলে সেখানেও তাকে এলোপাতাড়ি চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে এক রিকশাচালক উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিলে সেখানেও তার চিকিৎসার অবহেলা হয়। একপর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। খুনিদের নাম-পরিচয় বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পরও পুলিশ মামলায় তাদের নাম উল্লেখ করেনি। সুরতহাল রিপোর্ট নিয়েও গরমিল করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও গরমিল লক্ষ করা যায়। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ তোলা হয়, খুনিদের বাঁচানোর জন্যই সব কিছু পরিকল্পিতভাবে হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, তারা জানতে পেরেছেন খুনিদের অনেকে প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত, সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক সংবাদ সম্মেলনও করেছে নিহতের পরিবার ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যজোট। তারা বিশ্বজিতের সুরতহাল রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে নতুনভাবে সুরতহাল রিপোর্ট করার দাবিও জানান। এ ছাড়া মামলার এজাহারে আসামিদের নৃশংস এ হত্যার ঘটনার বর্ণনা ঠিকভাবে আসেনি বলেও দাবি করেন নিহতের পরিবার। এতে মামলাটি দুর্বল ও আসামিরা পার পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বজিতের পরিবার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অবশ্য বলেছেন, মামলার এজাহার, ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। মামলাটি দুর্বল বা আসামিরা পার পাওয়ারও সুযোগ নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলামের নির্দেশেই এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশকে জানায়। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলো রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, রাশেদুজ্জামান শাওন, এইচ এম কিবরিয়া, কাইউম মিয়া টিপু, সাইফুল ইসলাম ও এমদাদুল হক। এদের মধ্যে শাকিল, নাহিদ, শাওন ও এমদাদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আদালতে তারা বিশ্বজিৎকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেছে, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশেই তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সামনে দাঁড়িয়ে এই নির্দেশনা দিয়েছেন। সূত্র জানায়, বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের ওবায়দুল কাদের তাহসিন, মীর মোহাম্মদ নুরে আলম লিমন, ইউনুছ, জনি, শিপলু, রাজন চন্দ্র তালুকদার, মেহেদী হাসান, রফিকুল ইসলাম ওরফে কালা রফিক, আজিজুর রহমান, আবদুল্লাহ আল মামুন, পাভেল হাসান, আলাউদ্দিন, মোস্তফা ও তমালসহ আরো ২০ জন জড়িত রয়েছে বলে ক্যাম্পাস সূত্র জানায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের নাম সুনির্দিষ্টভাবে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশের পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাত্র ৯ জনের ছাত্রত্ব ও সনদ বাতিল করেছে। বাকিদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ। অন্য দিকে সাতজনকে গ্রেফতারের পর অজ্ঞাত কারণে গ্রেফতার অভিযানও থেমে গেছে। অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনকে গ্রেফতার না করতে বিভিন্ন মহলের চাপ রয়েছে। বিশ্বজিতের ওপর প্রথম আঘাতকারী রাজন তালুকদারকে গ্রেফতার না করতে সরকারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজনের ছাত্রত্ব বাতিল যাতে না হয়, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চাপ দিচ্ছে কয়েকজন প্রভাবশালী।
No comments