শাহবাগে তৃতীয় দিনের মতো অবরোধ

জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দেয়া ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতিবাদে গতকালও দিনব্যাপী রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধে অচল করে রাখে আন্দোলনকারীরা।
এ দিন শাহবাগ মোড়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এবং আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল হানিফ অবরোধকারীদের তোপের মুখে পড়েন। এর আগে গত বুধবার সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী শাহবাগ মোড়ে অবরোধকারীদের তোপের মুখে পড়েন। আজ অবরোধকারীরা শাহবাগে মহাসমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে।

জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিবাদে এবং ফাঁসির দাবিতে তিন দিন ধরে শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। গত মঙ্গলবার ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের শুরু করা এ আন্দোলনে পরে আওয়ামী লীগ এবং বামদলগুলোও যোগ দেয়। বিভিন্ন ধরনের স্লোগান, নাটক, গান, গণস্বার এবং প্রতিবাদী অন্যান্য পরিবেশনার মাধ্যমে এ অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। সকালে প্রতিবাদী নাটকের মাধ্যমে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। সময় গড়ার সাথে সাথে অবরোধ মঞ্চে এসে সরকারের মন্ত্রী এমপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের প থেকে সংহতি প্রকাশ করা হয়। স্কুল-কলেজ থেকে আসা শিার্থীদেরও উপস্থিতি দেখা যায়। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল সহকারে অনেক সংগঠন অবরোধস্থলে এসে সংহতি প্রকাশ করে।

দিন বাড়ার সাথে সাথে অবরোধ স্থলে অনেকে আসতে থাকেন। আগের দিনগুলোর মতো অবরোধ স্থলে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে অনেকে প্রতিবাদী গানবাজনায় মেতে ওঠেন। গণস্বার সংগ্রহের কার্যক্রমও চলে একই সাথে। মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে অনেকে আন্দোলনে অংশ নেন। শাহবাগ মোড় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পর্যন্ত সড়কে বিভিন্ন ধরনের আল্পনা আঁকা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্তদের বিভিন্ন কুশপুত্তলিকা তৈরি করে অবরোধস্থলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সকালে তীরন্দাজ নাট্যদলের কর্মীরা প্রতিবাদী পথনাটক মঞ্চস্থ করেন।

গতকাল শাহবাগে আন্দোলনকারীদের যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সংহতি প্রকাশ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেনÑ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী প্রকৌশলী ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি, নাট্যব্যক্তিত্ব রোকেয়া প্রাচী, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এমপি, ভাস্কর রাসা, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু প্রমুখ। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প থেকে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.