কাল বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াত
সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পুলিশী প্রহরায়
একটি প অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী
ছাত্রশিবিরকে চার নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদে,
পূর্বঘোষিত
সমাবেশ করতে দেয়নি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। নিয়মতান্ত্রিক
এই কর্মসূচি পালন করতে না দেয়ায় এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
ভেঙে দেয়া, চার জামায়াত ও শিবির নেতাকর্মীর হত্যাকারী পুলিশ কর্মকর্তা ও
ছাত্রলীগ ক্যাডারদের শাস্তি এবং আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়
বাতিলের দাবিতে কাল শনিবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক
দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে
আনুষ্ঠানিকভাবে এই হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন মহানগর জামায়াতের আমির
মাওলানা শামসুল ইসলাম এমপি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও অধ্য মো: নুরুল আমিন, নগর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ, শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদুল ইসলাম বুলবুল ও মোহাম্মদ ইসমাইল, নগর শিবির নেতা আ ম মশরুর হোসাইন ও নুরুল আমিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়মতান্ত্রিক সংগঠন। মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার। অথচ সারা দেশে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। কোথাও কোনো কর্মসূচি পালন করতে গেলেই নির্মম, নিষ্ঠুরভাবে আমাদের কর্মীদের ওপর চড়াও হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সশস্ত্র ক্যাডাররা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৪ ও ৫ ফেব্র“য়ারি সরকারি অত্যাচার, নির্যাতন ও জামায়াতের শীর্ষ নেতা আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতিবাদে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করা হয়। হরতাল চলাকালে পুলিশ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র ইমরান খান, চোখ উপড়ে গুলিতে বুক ঝাঁঝরা করে হত্যা করা হয় চট্টগ্রাম সিটি কলেজের এইচএসসির ছাত্র ও শিবিরের সাথী আবিদুল ইসলামকে। গুলিতে তবিত হন শ্রমিককর্মী শফিকুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জামায়াত ও শিবিরকর্মীদের ধরে অতি কাছে থেকে নির্মমভাবে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়ার দৃশ্যও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বুধবার পুলিশের সাথে কথা বলে প্যারেড ময়দানে নামাজে জানাজার আয়োজন করা হলেও পুলিশ কথা দিয়েও লাশ দেয়নি। ফলে সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে গায়েবানা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) আন্দরকিল্লায় আমরা একটি শান্তিপূর্ণ বিােভ সমাবেশ ও মিছিল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সে চাওয়ার প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা না দেখিয়ে পুলিশ সমাবেশ করতে দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা বুঝতে পারছি না কোন দেশে বাস করছি। তাই নিরুপায় হয়ে আমরা কাল শনিবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাওলানা শামসুল ইসলাম এমপি বলেন, শাহবাগ ও চট্টগ্রামের জামালখানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক কর্মীদের নামে যে অবস্থান কর্মসূচি চলছে তা সরকারই করাচ্ছে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনের বিচারগুলোকে প্রভাবিত করতে। একটি প রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান করতে পারবে, আর আমরা মিছিল সমাবেশ করার অনুমতি না পাওয়া সরকার ও প্রশাসনের দ্বিমুখী আচরণের বহি:প্রকাশ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও অধ্য মো: নুরুল আমিন, নগর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ, শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদুল ইসলাম বুলবুল ও মোহাম্মদ ইসমাইল, নগর শিবির নেতা আ ম মশরুর হোসাইন ও নুরুল আমিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়মতান্ত্রিক সংগঠন। মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার। অথচ সারা দেশে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। কোথাও কোনো কর্মসূচি পালন করতে গেলেই নির্মম, নিষ্ঠুরভাবে আমাদের কর্মীদের ওপর চড়াও হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সশস্ত্র ক্যাডাররা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৪ ও ৫ ফেব্র“য়ারি সরকারি অত্যাচার, নির্যাতন ও জামায়াতের শীর্ষ নেতা আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতিবাদে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করা হয়। হরতাল চলাকালে পুলিশ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র ইমরান খান, চোখ উপড়ে গুলিতে বুক ঝাঁঝরা করে হত্যা করা হয় চট্টগ্রাম সিটি কলেজের এইচএসসির ছাত্র ও শিবিরের সাথী আবিদুল ইসলামকে। গুলিতে তবিত হন শ্রমিককর্মী শফিকুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জামায়াত ও শিবিরকর্মীদের ধরে অতি কাছে থেকে নির্মমভাবে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়ার দৃশ্যও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বুধবার পুলিশের সাথে কথা বলে প্যারেড ময়দানে নামাজে জানাজার আয়োজন করা হলেও পুলিশ কথা দিয়েও লাশ দেয়নি। ফলে সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে গায়েবানা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) আন্দরকিল্লায় আমরা একটি শান্তিপূর্ণ বিােভ সমাবেশ ও মিছিল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সে চাওয়ার প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা না দেখিয়ে পুলিশ সমাবেশ করতে দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা বুঝতে পারছি না কোন দেশে বাস করছি। তাই নিরুপায় হয়ে আমরা কাল শনিবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাওলানা শামসুল ইসলাম এমপি বলেন, শাহবাগ ও চট্টগ্রামের জামালখানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক কর্মীদের নামে যে অবস্থান কর্মসূচি চলছে তা সরকারই করাচ্ছে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনের বিচারগুলোকে প্রভাবিত করতে। একটি প রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান করতে পারবে, আর আমরা মিছিল সমাবেশ করার অনুমতি না পাওয়া সরকার ও প্রশাসনের দ্বিমুখী আচরণের বহি:প্রকাশ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
No comments