সরকারের অনুমতি নেই- খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা খারিজ

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ কামনা করে ওয়াশিংটন টাইমসে নিবন্ধ পাঠিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করার অভিযোগে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকার সিএমএম আদালতে গতকাল মামলাটি দায়ের করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক। গতকাল বেলা ৩টার সময় ঢাকা মহানগর হাকিম মো: সাইদুর রহমান বাদির জবানবন্দী গ্রহণ করে মামলাটি খারিজ করে দেন। আদেশে বলা হয়েছে, ‘অত্র মামলাটি দায়েরের পূর্বে সরকারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল কিন্তু অনুমতি না থাকায় মামলাটি খারিজ করা হলো।’ বাদির জবানবন্দী নেয়ার সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতে হই চই করেন। তবে আদালত তাদেরকে থামিয়ে দেন। বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে বাদি তার অভিযোগে বলেন, ‘আসামি বিরোধীদলীয় নেত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরের সমর্থনকারী ও মদদদাতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী।

আসামি বেগম খালেদা জিয়া তার এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ‘দি থ্যাংকলেস রোল ইন সেভিং ডেমোক্র্যাসি ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি নিবন্ধ লিখেন যা আমেরিকা থেকে প্রকাশিত ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকার গত ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি তার ওই নিবন্ধে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে আমেরিকা, ব্রিটেন ও তাদের বন্ধুদের প্রতি বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তা ছাড়া বাংলাদেশীদের বিদেশে ভ্রমণের ব্যাপারে অবরোধ আরোপ করাতে বলেছেন যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।’

বাদি তার মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রার্থনা করেন।

বাদি জবানবন্দী দেয়ার একপর্যায়ে বেগম খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত বিষয়ে বলতে গেলে আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হই চই শুরু করেন। তখন আদালত তাদের উদ্দেশে বলেন, বাদির কথা বাদি বলছেন, এ পর্যায়ে আপনারা বলতে পারেন না। অতএব নীরব থাকুন। যা হবে আইনের বিধান মতোই হবে। তখন আইনজীবীরা নীরব থাকলে আদালত বাদিকে প্রশ্ন করেন, আপনি এ মামলা দায়েরের জন্য সরকারের কোনো পূর্বানুমতি নিয়েছেন? উত্তরে বাদি বলেন, না। তখন আদালত বাদির জবানবন্দী গ্রহণ শেষে সরকারের কোনো অনুমতি না থাকায় মামলাটি খারিজের আদেশ দেন।

খারিজ হওয়ার পর বাদি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আইনের বিধান মতো এগিয়ে যাবেন।
       

No comments

Powered by Blogger.