ছাত্রলীগ কর্মীদের নৈতিকতা-চরম অবক্ষয়ের পরিচয়
ছাত্রলীগ আর কতবার সংবাদ শিরোনাম হবে
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য? আর কত সন্ত্রাস ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে তারা
শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করে চলবে? টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্ব, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল
করার মতো ঘটনা ঘটাতে ঘটাতে শেষ পর্যন্ত তারা সহপাঠী ছাত্রীকেও উত্ত্যক্ত
করতে শুরু করেছে।
এমন সংবাদেরই শিরোনাম হয়েছে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর কর্মকাণ্ড। ঢাকার
শাহবাগের পথ ধরে যখন সারা বাংলাদেশের ছাত্র-তরুণ আর সব শ্রেণীর মানুষ
একাট্টা হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, ঠিক সে মুহূর্তে এ সংগঠনের
বিপথগামী কিছু নেতা-কর্মী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রাসের সৃষ্টি
করেছে, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। আহত করেছে একই সংগঠনের আট কর্মীকে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতে হয়েছে তাদের মারামারির কারণে।
একের পর এক নারী নির্যাতন আর ধর্ষণের খবর যখন পত্রিকার পাতায় ছাপা হচ্ছে, নারীর নিরাপত্তাহীন অবস্থা যখন সাধারণ মানুষের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই উদ্বেগকে এ সংগঠনের কিছু কর্মী উসকে দেওয়ার কাজটি করছে নিজ ক্যাম্পাসে।
এর আগে অন্তর্দ্বন্দ্ব আর ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে তারা বিভিন্ন জায়গায় হানাহানি, হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত ঘটিয়ে ছাত্র সমাজের ওপর কালিমা লেপন করেছে। শিক্ষককে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করা, ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাগুলির ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু ঘটানো, বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজক অবস্থা সৃষ্টি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সশস্ত্র হামলা ইত্যাকার ঘটনার সঙ্গে যখন অধঃপতিত নৈতিকতার সংবাদ পড়তে হয়, সে মুহূর্তে ভবিষ্যৎ রাজনীতিই আশঙ্কায় নিমজ্জিত হয়।
সাংগঠনিক ও প্রশাসনিকভাবে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে এর আগে। তার পরও তাদের নৈতিক অধঃপতন ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না কেন? প্রশ্ন এসেছে, তারা কি অপ্রতিরোধ্য? ক্ষমতার দম্ভ মানুষকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তা এসব ঘটনা থেকে পাওয়া যায়। এই আচরণ যদি নারীকে উত্ত্যক্ত করা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে, তাহলে বলতেই হবে, তাদের শক্ত হাতে দমন করার কোনো বিকল্প নেই। তা না হলে সরকার যত চেষ্টাই করুক, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে না। তারা ছাত্রলীগের গৌরবের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করছে। স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম অংশীদার ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা এখন ক্ষমতায়। প্রশাসনিক ক্ষমতাও তাদের হাতে। গৌরবের অংশীদার সেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তাই দায়িত্ব হবে উত্তরসূরিদেরও গৌরবের আলোয় আলোকিত করা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী অস্ত্র নয়, ছাত্রদের হাতে কলম তুলে দেওয়ার নীতি বাস্তবায়িত করতে পারলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি অনেকাংশে কমে আসবে। শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নয়, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রলীগের এ ধরনের কর্মীদের বহিষ্কার করা উচিত। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর আগেই দুষ্কর্মের হোতাদের নিবৃত্ত করতে হবে, সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে এর দায় মূল সংগঠনকেও বহন করতে হবে।
একের পর এক নারী নির্যাতন আর ধর্ষণের খবর যখন পত্রিকার পাতায় ছাপা হচ্ছে, নারীর নিরাপত্তাহীন অবস্থা যখন সাধারণ মানুষের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই উদ্বেগকে এ সংগঠনের কিছু কর্মী উসকে দেওয়ার কাজটি করছে নিজ ক্যাম্পাসে।
এর আগে অন্তর্দ্বন্দ্ব আর ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে তারা বিভিন্ন জায়গায় হানাহানি, হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত ঘটিয়ে ছাত্র সমাজের ওপর কালিমা লেপন করেছে। শিক্ষককে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করা, ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাগুলির ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু ঘটানো, বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজক অবস্থা সৃষ্টি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সশস্ত্র হামলা ইত্যাকার ঘটনার সঙ্গে যখন অধঃপতিত নৈতিকতার সংবাদ পড়তে হয়, সে মুহূর্তে ভবিষ্যৎ রাজনীতিই আশঙ্কায় নিমজ্জিত হয়।
সাংগঠনিক ও প্রশাসনিকভাবে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে এর আগে। তার পরও তাদের নৈতিক অধঃপতন ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না কেন? প্রশ্ন এসেছে, তারা কি অপ্রতিরোধ্য? ক্ষমতার দম্ভ মানুষকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তা এসব ঘটনা থেকে পাওয়া যায়। এই আচরণ যদি নারীকে উত্ত্যক্ত করা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে, তাহলে বলতেই হবে, তাদের শক্ত হাতে দমন করার কোনো বিকল্প নেই। তা না হলে সরকার যত চেষ্টাই করুক, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে না। তারা ছাত্রলীগের গৌরবের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করছে। স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম অংশীদার ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা এখন ক্ষমতায়। প্রশাসনিক ক্ষমতাও তাদের হাতে। গৌরবের অংশীদার সেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তাই দায়িত্ব হবে উত্তরসূরিদেরও গৌরবের আলোয় আলোকিত করা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী অস্ত্র নয়, ছাত্রদের হাতে কলম তুলে দেওয়ার নীতি বাস্তবায়িত করতে পারলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি অনেকাংশে কমে আসবে। শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নয়, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রলীগের এ ধরনের কর্মীদের বহিষ্কার করা উচিত। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর আগেই দুষ্কর্মের হোতাদের নিবৃত্ত করতে হবে, সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে এর দায় মূল সংগঠনকেও বহন করতে হবে।
No comments