দেশঘরের গান শনিবার, শুরু হচ্ছে পথনাট্যোৎসব
ছায়ানটের প্রশংসনীয় উদ্যোগ দেশঘরের গানের
আরও একটি আসর বসছে শুক্রবার। ওয়াহিদুল হক স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় এবার মিলিত হবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা
শিল্পীরা।
দু'দিনব্যাপী আয়োজনে লোকজ গানের নানা ঐতিহ্যবাহী ধারা উপাদান উপস্থাপন করবেন শিল্পীরা।
মঙ্গলবার ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো
হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক ও
জনপ্রিয় নজরুল সঙ্গীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল। উপস্থিত ছিলেন লোকসঙ্গীত
শিল্পী নাদিরা বেগম, সোহরাব উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে খায়রম্নল আনাম শাকিল বলেন, যতদিন যাচ্ছে ততই যান্ত্রিক হয়ে উঠছে শহরের সঙ্গীত। বাজনার আধিক্যে এখন গান হারিয়ে যায়। কিন্তু দেশজ সঙ্গীতের বেলায় এটি ভাবা যায় না। এখানে গানটাই মূল। বাজনা অনুঘটক। আর তাই আমাদের বার বার ফিরে যেতে হয় দেশজ সঙ্গীতের কাছে। এ গানেই আমাদের শেকড়। জীবদ্দশায় নিজের বহু লেখা ও কাজের মাধ্যমে ওয়াহিদুল হক এ বিষয়টিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তাই এবারের আসরের নাম দিয়েছি 'ওয়াহিদুল হক স্মারক দেশঘরের গান'। দু'দিনব্যাপী আসর থেকে বরেণ্য এ সংস্কৃতি কর্মীকে স্মরণ করা হবে। অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথম দিনের আয়োজনে থাকবে লোকজ গানের ঐতিহ্যবাহী ধারা_ বৈঠকী গান। পরিবেশন করবে কুড়িগ্রাম জেলার অনন্ত কুমার ও তাঁর দল। ভাওয়াইয়া গানের সুরের সঙ্গে এ গানের সুর মিললেও আয়োজকরা জানান, দলীয় পরিবেশনায় বৈঠকী গান নতুন এক রূপ পরিগ্রহ করে। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহরের শ্রোতারা তা জানার সুযোগ পাবেন। একইভাবে সুনামগঞ্জের শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে আরেক ঐতিহ্যবাহী ধারা ধামাইল। রাগাশ্রীত এ সঙ্গীত গ্রামের বিয়েতে যুগ যুগ ধরে গীত হয়ে আসলেও এখন বিলুপ্তির পথ ধরেছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। একই দিন থাকবে খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় পরিবেশনা। আয়োজকরা জানান, দ্বিতীয় দিন শনিবার কীর্তন পরিবেশন করবে ফরিদপুরের অমল চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর দল। জারি গান গাইবে নড়াইলের সাইফুল বয়াতি ও তাঁর দল। এছাড়া দু'দিনই ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে একক ও দলীয় পরিবেশনা।
পথনাটক উৎসব ২৩ মার্চ ॥ পথনাটককে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে ঢাকার দনিয়ায় এবং মিরপুরে শুরু হচ্ছে পথনাটক উৎসব। যৌথভাবে এর আয়োজন করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ।
মঙ্গলবার শিল্পকলা একাডেমীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে আয়োজকরা বলেন, ২৩ ও ২৪ মার্চ দনিয়ায় নাটক পরিবেশন করবে বাংলাদেশ থিয়েটার, মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়, মৈত্রী থিয়েটার, ঢাকা নান্দনিক, গণছায়া, নাট্যযোদ্ধা, দ্যাশ বাঙলা থিয়েটার এবং মুন্সীগঞ্জের সঞ্চালক। এছাড়া ৩ ও ৪ এপ্রিল মিরপুরে নাটক পরিবেশন করবে আরণ্যক, ঢাকা পদাতিক, সুবচন নাট্য সংসদ, নাট্যদীপ, মানস নাট্যাঙ্গন, গাজীপুরের নাট্যভূমি, সংলাপ গ্রুপ থিয়েটার ও সাত্তি্বক নাট্য সম্প্রদায়। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় শুরু হবে প্রদর্শনী।
লিখিত বক্তব্যে খায়রম্নল আনাম শাকিল বলেন, যতদিন যাচ্ছে ততই যান্ত্রিক হয়ে উঠছে শহরের সঙ্গীত। বাজনার আধিক্যে এখন গান হারিয়ে যায়। কিন্তু দেশজ সঙ্গীতের বেলায় এটি ভাবা যায় না। এখানে গানটাই মূল। বাজনা অনুঘটক। আর তাই আমাদের বার বার ফিরে যেতে হয় দেশজ সঙ্গীতের কাছে। এ গানেই আমাদের শেকড়। জীবদ্দশায় নিজের বহু লেখা ও কাজের মাধ্যমে ওয়াহিদুল হক এ বিষয়টিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তাই এবারের আসরের নাম দিয়েছি 'ওয়াহিদুল হক স্মারক দেশঘরের গান'। দু'দিনব্যাপী আসর থেকে বরেণ্য এ সংস্কৃতি কর্মীকে স্মরণ করা হবে। অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথম দিনের আয়োজনে থাকবে লোকজ গানের ঐতিহ্যবাহী ধারা_ বৈঠকী গান। পরিবেশন করবে কুড়িগ্রাম জেলার অনন্ত কুমার ও তাঁর দল। ভাওয়াইয়া গানের সুরের সঙ্গে এ গানের সুর মিললেও আয়োজকরা জানান, দলীয় পরিবেশনায় বৈঠকী গান নতুন এক রূপ পরিগ্রহ করে। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহরের শ্রোতারা তা জানার সুযোগ পাবেন। একইভাবে সুনামগঞ্জের শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে আরেক ঐতিহ্যবাহী ধারা ধামাইল। রাগাশ্রীত এ সঙ্গীত গ্রামের বিয়েতে যুগ যুগ ধরে গীত হয়ে আসলেও এখন বিলুপ্তির পথ ধরেছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। একই দিন থাকবে খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় পরিবেশনা। আয়োজকরা জানান, দ্বিতীয় দিন শনিবার কীর্তন পরিবেশন করবে ফরিদপুরের অমল চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর দল। জারি গান গাইবে নড়াইলের সাইফুল বয়াতি ও তাঁর দল। এছাড়া দু'দিনই ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে একক ও দলীয় পরিবেশনা।
পথনাটক উৎসব ২৩ মার্চ ॥ পথনাটককে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে ঢাকার দনিয়ায় এবং মিরপুরে শুরু হচ্ছে পথনাটক উৎসব। যৌথভাবে এর আয়োজন করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ।
মঙ্গলবার শিল্পকলা একাডেমীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে আয়োজকরা বলেন, ২৩ ও ২৪ মার্চ দনিয়ায় নাটক পরিবেশন করবে বাংলাদেশ থিয়েটার, মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়, মৈত্রী থিয়েটার, ঢাকা নান্দনিক, গণছায়া, নাট্যযোদ্ধা, দ্যাশ বাঙলা থিয়েটার এবং মুন্সীগঞ্জের সঞ্চালক। এছাড়া ৩ ও ৪ এপ্রিল মিরপুরে নাটক পরিবেশন করবে আরণ্যক, ঢাকা পদাতিক, সুবচন নাট্য সংসদ, নাট্যদীপ, মানস নাট্যাঙ্গন, গাজীপুরের নাট্যভূমি, সংলাপ গ্রুপ থিয়েটার ও সাত্তি্বক নাট্য সম্প্রদায়। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় শুরু হবে প্রদর্শনী।
No comments