ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী সুলতান মীর হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসি

ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী সুলতান মীর হত্যা মামলার রায়ে জেলা ও বিশেষ দায়রা জজ আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন।
গতকাল বিচারক হুমায়ুন কবীর এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামি রকিব, কাঞ্চন, ভুট্টো ও তার সহোদর তমজিদকে ফাঁসি ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আসামি পারুল, তাসলি ও মিনা বেগমকে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এ মামলায় দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি শফিকুল ইসলাম ও শাহানা বেগমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০০৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে আসামি শাহানা বেগম শহরতলীর গোহাইলকান্দি মীরবাড়ি এলাকায় এক মুদির দোকানে ৫০০ টাকার একটি নোটের ভাঙতি চান। দোকান মালিক না থাকায় তার স্ত্রী ও মা ভাঙতি দিতে অস্বীকার করেন। এরপর শাহানার অনুরোধে আসামি তমজিদ ও কাঞ্চন জোর করে দোকানের ক্যাশ বাক্সে ৫০০ টাকার নোট রেখে ভাঙতি নিয়ে যায়। ওই দিন দুপুরে দোকানি সুলতান মীর শহরের স্বদেশী বাজারে দোকানের মালামাল কেনার সময় ওই নোটটি জাল বলে প্রতীয়মান হয়। এরপর সুলতান ও তার মা কুলসুম আসামিদের জাল নোটটি বদল করে দিতে বললে তাদের সাথে বাগি¦তণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আসামিরা কিরিচ, চাকুসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকানে আসে এবং সুলতান মীরকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দোকানের ক্যাশ থেকে টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় আসামি মিনা বেগম, পারুল, তাসলি, শাহানা বেগম সুলতানের মাকে ধরে রাখে ও মারধর করে। গুরুতর আহত সুলতান মীরকে স্থানীয় লোকজন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় মামলা হলে পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারক ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের সাজা দেন। সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শেখ আবুল হাসান ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আ: আলীম উদ্দিন।

No comments

Powered by Blogger.