মিসকলে পরিচয় পরিণতি খুন
মোবাইল ফোনে পরিচয়। নিয়মিত কথোপকথন। সে থেকে প্রেম। পরিণতি জীবননাশ। বৃষ্টির জীবনে কাল হয়েছিল মোবাইলের একটি মিস্ড কল।
প্রেমিক
রিজভী ভেবেছিল বৃষ্টি ধনাঢ্য পরিবারের অবিবাহিতা মেয়ে। বৃষ্টিও গোপন
করেছিল তার বিয়ে, স্বামী-সংসার এবং দৈনতার কথা। তারও স্বপ্ন ছিল রিজভীকে
বিয়ে করে সে অনেক টাকার মালিক হবে।
প্রায় এক বছর আগে মোবাইল ফোনে বৃষ্টির সাথে রিজভীর পরিচয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে আলাপচারিতা। প্রতিদিন কথা বলতে বলতে তাদের দু’জনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী ও সন্তান থাকলেও বৃষ্টি নিজেকে অবিবাহিতা বলে পরিচয় দেয়। রিজভীও ভাবে বৃষ্টি ধনাঢ্য পরিবারেরই মেয়ে। প্রেম করে ভাগিয়ে আনতে পারলে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। মাঝে মধ্যে তারা অভিসারও করে। রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে সময় কাটায়। এক সময় ফাঁস হয়ে যায় বৃষ্টির আসল পরিচয়। এতে রিজভী ক্ষিপ্ত হয়। কিভাবে কখন কোথায় বৃষ্টিকে শায়েস্তা করবে সেই পরিকল্পনা আঁটতে থাকে। সে মোতাবেক ৪ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টিকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বংশালের হোটেল শুভেচ্ছায় ওঠে। পরদিন তাদের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়েই বৃষ্টিকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে রিজভী। এরপর হোটেল কক্ষেই লাশ ফেলে পালিয়ে যায় সে। ঘাতক আকলাস ওরফে রিজভী গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশকে। মোবাইল ট্রাকিং করে হত্যাকারী প্রেমিক রিজভীকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল তাকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আনা হয়। গ্রেফতারের পরই রিজভী হত্যার দায় স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দেয় পুলিশের কাছে।
পুলিশের লালবাগ জোনের উপ পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, নবাবগঞ্জের শঙ্খখালী গ্রামের আ: ওহাবের ছেলে আকলাস ওরফে রিজভী ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করে। একই এলাকার শওকত হোসেনের স্ত্রী বৃষ্টির সাথে তার মোবাইলে পরিচয় হয়। বৃষ্টির মিস্ড কল পেয়ে ফোন করেছিল রিজভী। এরপর থেকেই দু’জনের মধ্যে আলাপচারিতায় বৃষ্টি নিজেকে অবিবাহিতা বলে পরিচয় দিলে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। বৃষ্টির সুমাইয়া (৮) ও সুরাইয়া (৪) নামে দু’টি মেয়ে রয়েছে। স্বামী শওকত গ্রামের একজন সাধারণ শ্রমিক। দীর্ঘ দিন ধরে কথাবার্তার একপর্যায়ে রিজভী জানতে পারে বৃষ্টি গরিব ঘরের মেয়ে এবং তার দু’টি সন্তান রয়েছে। গত ৪ ফেব্রয়ারি রিজভী বৃষ্টিকে নিয়ে ঢাকায় আসে। পরে বংশালের হোটেল শুভেচ্ছার ৩৪৫ নম্বর রুম ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওঠে। ওই কক্ষেই দু’জনের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে রিজভী বৃষ্টিকে ওড়না পেঁচিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে।
বংশাল থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসান জানান, লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার পর রিজভীর মোবাইল নাম্বার খোলা ছিল। ওই নাম্বার ট্রাকিং করে বুধবার রাতে বংশাল থানা এলাকা থেকেই রিজভীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সে দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হয়েছে। এ ঘটনায় বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। রিজভী বলেছে, বৃষ্টি নিজেকে ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে বলে পরিচয় দিয়েছে। তার ইচ্ছে ছিল বৃষ্টিকে বিয়ে করে সে স্বাবলম্বী হবে। সে জানায়, বৃষ্টি তার সাথে প্রতারণা করেছে।
প্রায় এক বছর আগে মোবাইল ফোনে বৃষ্টির সাথে রিজভীর পরিচয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে আলাপচারিতা। প্রতিদিন কথা বলতে বলতে তাদের দু’জনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী ও সন্তান থাকলেও বৃষ্টি নিজেকে অবিবাহিতা বলে পরিচয় দেয়। রিজভীও ভাবে বৃষ্টি ধনাঢ্য পরিবারেরই মেয়ে। প্রেম করে ভাগিয়ে আনতে পারলে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। মাঝে মধ্যে তারা অভিসারও করে। রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে সময় কাটায়। এক সময় ফাঁস হয়ে যায় বৃষ্টির আসল পরিচয়। এতে রিজভী ক্ষিপ্ত হয়। কিভাবে কখন কোথায় বৃষ্টিকে শায়েস্তা করবে সেই পরিকল্পনা আঁটতে থাকে। সে মোতাবেক ৪ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টিকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বংশালের হোটেল শুভেচ্ছায় ওঠে। পরদিন তাদের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়েই বৃষ্টিকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে রিজভী। এরপর হোটেল কক্ষেই লাশ ফেলে পালিয়ে যায় সে। ঘাতক আকলাস ওরফে রিজভী গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশকে। মোবাইল ট্রাকিং করে হত্যাকারী প্রেমিক রিজভীকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল তাকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আনা হয়। গ্রেফতারের পরই রিজভী হত্যার দায় স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দেয় পুলিশের কাছে।
পুলিশের লালবাগ জোনের উপ পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, নবাবগঞ্জের শঙ্খখালী গ্রামের আ: ওহাবের ছেলে আকলাস ওরফে রিজভী ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করে। একই এলাকার শওকত হোসেনের স্ত্রী বৃষ্টির সাথে তার মোবাইলে পরিচয় হয়। বৃষ্টির মিস্ড কল পেয়ে ফোন করেছিল রিজভী। এরপর থেকেই দু’জনের মধ্যে আলাপচারিতায় বৃষ্টি নিজেকে অবিবাহিতা বলে পরিচয় দিলে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। বৃষ্টির সুমাইয়া (৮) ও সুরাইয়া (৪) নামে দু’টি মেয়ে রয়েছে। স্বামী শওকত গ্রামের একজন সাধারণ শ্রমিক। দীর্ঘ দিন ধরে কথাবার্তার একপর্যায়ে রিজভী জানতে পারে বৃষ্টি গরিব ঘরের মেয়ে এবং তার দু’টি সন্তান রয়েছে। গত ৪ ফেব্রয়ারি রিজভী বৃষ্টিকে নিয়ে ঢাকায় আসে। পরে বংশালের হোটেল শুভেচ্ছার ৩৪৫ নম্বর রুম ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওঠে। ওই কক্ষেই দু’জনের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে রিজভী বৃষ্টিকে ওড়না পেঁচিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে।
বংশাল থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসান জানান, লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার পর রিজভীর মোবাইল নাম্বার খোলা ছিল। ওই নাম্বার ট্রাকিং করে বুধবার রাতে বংশাল থানা এলাকা থেকেই রিজভীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সে দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হয়েছে। এ ঘটনায় বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। রিজভী বলেছে, বৃষ্টি নিজেকে ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে বলে পরিচয় দিয়েছে। তার ইচ্ছে ছিল বৃষ্টিকে বিয়ে করে সে স্বাবলম্বী হবে। সে জানায়, বৃষ্টি তার সাথে প্রতারণা করেছে।
No comments