ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রুল-ভিআইপিদের নিরাপত্তা পুলিশ নারীদের জন্য নয় কেন
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল বৃহস্পতিবার
দিল্লি পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি)
নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কেন নগরীর নারীদের নিরাপত্তা বিধানে
মোতায়েন করা হবে না।
এর আগে আদালতের বন্ধু (অ্যামিকাস
কিউরি) হরিশ সালভে আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেন। এতে তিনি ভিআইপিদের
নিরাপত্তার জন্য যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয় তা দিয়ে নগরীর নারীদের নিরাপত্তার
ব্যবস্থা করার আবেদন জানান। তিনি ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য হাজার হাজার
কোটি রুপি ব্যয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
আদালতের প্রশ্নের জবাবে দিল্লি পুলিশ জানায়, বিচারক ও অন্যদের নিরাপত্তার জন্য কয়েক হাজার নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিযুক্ত রয়েছেন। এ সময় আদালত বলেন, এ কর্মকর্তাদের বেশির ভাগকে নারীর জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করাসহ আরো ভালো কাজে নিযুক্ত করা যায়। এ ব্যাপারে পুলিশের লিখিত বক্তব্য আগামী সোমবারের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ বক্তব্য না দিলে স্বরাষ্ট্র সচিবকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আদালতে দাখিল করা দিল্লি প্রশাসনের এক হলফনামা থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালে ভিআইপিদের নিরাপত্তায় ৩৪১ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি আদালতের এক নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন গত বুধবার এ হলফনামা জমা দেয়।
এদিকে গত রবিবার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির জারি করা একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে শারীরিক কিংবা ফোন কলের মাধ্যমে নারীদের যৌন হয়রানি করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এ অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে নতুন এ অধ্যাদেশে।
'গণধর্ষিতা নয়, সাহসী কন্যা' : দিল্লিতে ১৬ ডিসেম্বর রাতে গণধর্ষণের শিকার মেডিক্যাল ছাত্রীর বাবা বলেছেন, তাঁর মেয়েকে গণধর্ষণের শিকার বলে উল্লেখ করার বিষয়টি তাঁকে কষ্ট দিচ্ছে। গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমার মেয়েকে দেশের সাহসী কন্যা বলে ডাকা উচিত। আমি অভিযুক্ত ছয়জনের প্রত্যেকেরই ফাঁসি চাই।' এই ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাসহ ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে। ষষ্ঠজনকে আদালত নাবালক বলে ঘোষণা করায় তার বিচার কিশোর আদালতে করা হবে। সেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে সর্বোচ্চ তিন বছর কিশোর সংশোধনাগারে রাখা হবে। সূত্র : জিনিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস।
আদালতের প্রশ্নের জবাবে দিল্লি পুলিশ জানায়, বিচারক ও অন্যদের নিরাপত্তার জন্য কয়েক হাজার নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিযুক্ত রয়েছেন। এ সময় আদালত বলেন, এ কর্মকর্তাদের বেশির ভাগকে নারীর জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করাসহ আরো ভালো কাজে নিযুক্ত করা যায়। এ ব্যাপারে পুলিশের লিখিত বক্তব্য আগামী সোমবারের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ বক্তব্য না দিলে স্বরাষ্ট্র সচিবকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আদালতে দাখিল করা দিল্লি প্রশাসনের এক হলফনামা থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালে ভিআইপিদের নিরাপত্তায় ৩৪১ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি আদালতের এক নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন গত বুধবার এ হলফনামা জমা দেয়।
এদিকে গত রবিবার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির জারি করা একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে শারীরিক কিংবা ফোন কলের মাধ্যমে নারীদের যৌন হয়রানি করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এ অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে নতুন এ অধ্যাদেশে।
'গণধর্ষিতা নয়, সাহসী কন্যা' : দিল্লিতে ১৬ ডিসেম্বর রাতে গণধর্ষণের শিকার মেডিক্যাল ছাত্রীর বাবা বলেছেন, তাঁর মেয়েকে গণধর্ষণের শিকার বলে উল্লেখ করার বিষয়টি তাঁকে কষ্ট দিচ্ছে। গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমার মেয়েকে দেশের সাহসী কন্যা বলে ডাকা উচিত। আমি অভিযুক্ত ছয়জনের প্রত্যেকেরই ফাঁসি চাই।' এই ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাসহ ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে। ষষ্ঠজনকে আদালত নাবালক বলে ঘোষণা করায় তার বিচার কিশোর আদালতে করা হবে। সেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে সর্বোচ্চ তিন বছর কিশোর সংশোধনাগারে রাখা হবে। সূত্র : জিনিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments