ইসরায়েলি তদন্ত কমিশনের সুপারিশ-সেনাদের যুদ্ধাপরাধে বিচার হবে রাজনীতিকদের
সেনা বা অধস্তনরা যুদ্ধাপরাধ করলে তার
দায়ে রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করা যাবে। ইসরায়েল
সরকারের নিয়োগ দেওয়া একটি তদন্ত কমিশন এ সুপারিশ করেছে। কমিশন গত বুধবার
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এতে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কাজ, তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতিতেও সংস্কার আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের স্থায়ী পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পাওয়ার পর ফিলিস্তিনিদের জন্য এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক এমন অবস্থায় ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
২০১০ সালের ৩১ মে ত্রাণ নিয়ে তুরস্কের পতাকাবাহী জাহাজবহর ফ্রিডম ফ্লোটিলা ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজা ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করলে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। এতে ৯ তুর্কি নিহত হয়। ঘটনার তদন্তে ওই বছরের জুনে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি জ্যাকব তারকেলকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ইসরায়েলি সরকার।
কমিশন দুই ধাপে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লোটিলা ঘটনায় কোনো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হয়নি। দ্বিতীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় বুধবার। ৪০০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'অধস্তনদের করা অপরাধের দায় নিতে হবে রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের। অধস্তনদের বিচারের সম্মুখীন করতে না পারার দায়ও তাদের ওপরই বর্তাবে। নেতৃবৃন্দকে বিচারের সম্মুখীন করার আইন তৈরি করতে হবে।' কমিশনের সদস্য মোশে গোতলিয়েব প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সরকারি রেডিওতে বলেন, 'এ ধরনের আইন হলে রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচারের ব্যবস্থা করতে পারবে ইসরায়েল।'
প্রতিবেদনে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর তদন্ত ও পর্যালোচনা ব্যবস্থা সংস্কারে ১৯ দফা সুপারিশ করা হয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ছাড়াও কোনো ঘটনায় তাদের তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ করতে সময় বেঁধে দেওয়ার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এতে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে পুলিশ বাহিনীর। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, সুপারিশগুলোকে আমলে নিয়ে শিগগির ব্যবস্থা নেবে সরকার। মানবাধিকার সংস্থা বিৎসেলেম এক বিবৃতিতে প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত এর বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। সূত্র : এএফপি, জেরুজালেম পোস্ট।
জাতিসংঘের স্থায়ী পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পাওয়ার পর ফিলিস্তিনিদের জন্য এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক এমন অবস্থায় ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
২০১০ সালের ৩১ মে ত্রাণ নিয়ে তুরস্কের পতাকাবাহী জাহাজবহর ফ্রিডম ফ্লোটিলা ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজা ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করলে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। এতে ৯ তুর্কি নিহত হয়। ঘটনার তদন্তে ওই বছরের জুনে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি জ্যাকব তারকেলকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ইসরায়েলি সরকার।
কমিশন দুই ধাপে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লোটিলা ঘটনায় কোনো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হয়নি। দ্বিতীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় বুধবার। ৪০০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'অধস্তনদের করা অপরাধের দায় নিতে হবে রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের। অধস্তনদের বিচারের সম্মুখীন করতে না পারার দায়ও তাদের ওপরই বর্তাবে। নেতৃবৃন্দকে বিচারের সম্মুখীন করার আইন তৈরি করতে হবে।' কমিশনের সদস্য মোশে গোতলিয়েব প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সরকারি রেডিওতে বলেন, 'এ ধরনের আইন হলে রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচারের ব্যবস্থা করতে পারবে ইসরায়েল।'
প্রতিবেদনে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর তদন্ত ও পর্যালোচনা ব্যবস্থা সংস্কারে ১৯ দফা সুপারিশ করা হয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ছাড়াও কোনো ঘটনায় তাদের তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ করতে সময় বেঁধে দেওয়ার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এতে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে পুলিশ বাহিনীর। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, সুপারিশগুলোকে আমলে নিয়ে শিগগির ব্যবস্থা নেবে সরকার। মানবাধিকার সংস্থা বিৎসেলেম এক বিবৃতিতে প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত এর বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। সূত্র : এএফপি, জেরুজালেম পোস্ট।
No comments