জাতিসংঘ প্রতিবেদন-অর্ধেক আফগান ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িত
আফগানিস্তানে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা
দুর্নীতির কারণে ব্যয় বেড়েছে তীব্রভাবে। গত বছর দেশটির অর্ধেক মানুষ সরকারি
কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ
কথা বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তর
(ইউএনওডিসি) ও আফগানিস্তানে জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী শাখা জানায়, কিছু
বাস্তব অগ্রগতি থাকলেও ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১২ সালে দুর্নীতির কারণে ব্যয়
৪০ শতাংশ বেড়ে ৩৯০ কোটি ডলারে ঠেকেছে। ২০১২ সালে আফগান নাগরিকরা যে পরিমাণ
ঘুষ দিয়েছে, তা দেশটির জাতীয় আয়ের দ্বিগুণ এবং প্রতিশ্রুত টোকিও অনুদানের
এক-চতুর্থাংশ। তবে ২০১২ সালে ঘুষ লেনদেনকারী নাগরিকের সংখ্যা অর্ধেক হলেও
২০০৯ সালের তুলনায় তা কমেছে। ২০০৯ সালে ৫৮ শতাংশ মানুষ এতে জড়িত ছিল।
প্রতিবেদনে আরো দেখানো হয়, সাধারণ মানুষ দিন দিন বেশি মাত্রায় দুর্নীতির
দিকে ঝুঁকছে।
উল্লেখ্য, গত বছর জাপানে দাতা দেশগুলোর সম্মেলনে আফগানিস্তানকে এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর অন্যতম এই দেশটিতে ১১ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলছে। দেশটিতে শত শত কোটি ডলাারের বৈদেশিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব বৈদেশিক সাহায্য লুটপাটই দেশটিতে দুর্নীতির বিস্তারের অন্যতম কারণ। ইউএনওডিসির আঞ্চলিক প্রতিনিধি জিন-লাক লেমাহিউ বলেন, 'বিষয়টির গুরুত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এখন করণীয় হলো, এ পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য নীতি নির্ধারণ করা।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
উল্লেখ্য, গত বছর জাপানে দাতা দেশগুলোর সম্মেলনে আফগানিস্তানকে এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর অন্যতম এই দেশটিতে ১১ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলছে। দেশটিতে শত শত কোটি ডলাারের বৈদেশিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব বৈদেশিক সাহায্য লুটপাটই দেশটিতে দুর্নীতির বিস্তারের অন্যতম কারণ। ইউএনওডিসির আঞ্চলিক প্রতিনিধি জিন-লাক লেমাহিউ বলেন, 'বিষয়টির গুরুত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এখন করণীয় হলো, এ পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য নীতি নির্ধারণ করা।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments