স্থায়ি প্রতিরক্ষাবাঁধ নির্মাণ অনিশ্চিত! অস্তিত্বের সংকটে দ্বীপ-কুতুবদিয়া by হাছান কুতুবী
কুতুবদিয়ার চারিদিকে যে ভাবে ভাঙছে সে অনুপাতে উদ্যোগ নেই প্রতিরক্ষাবাঁধ নির্মাণের। বেড়িবাঁধ নির্মাণে পাউবো, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয় না থাকায় বিচ্ছিন্নভাবে প্রতি বছর প্রাপ্ত বরাদ্ধও অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে লোপাট হয়ে যায় সিংহভাগ। ফলে বছরকে বছর দ্বীপ-রক্ষাবাঁধের বৃহৎ অংশ খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ অবস্থায় ‘ড্যামিজ পোল্ডার নামে ৫৪ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব (ডিপিপি)’ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কাজের পিক আওয়ার অতিবাহিত হলেও মন্ত্রণালয় ও একনেক এখনো পর্যন্ত তা অনুমোদন না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত চলতি শুস্ক মৌসুমে স্থায়ি প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জরুরীভাবে বরাদ্ধ দেয়া না হলে দেশের সম্ভাবনাময় কক্সবাজারের দ্বীপ-উপজেলা কুতুবদিয়ার অস্তিত্ব চরম হুমকির মূখে পড়তে পারে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিবেশ বিজ্ঞানী কুতুবদিয়ার চার কৃতি সন্তান সরকারের সাবেক সচিব আ.ম.ম.নাসির উদ্দীন, নিউজার্সীর মন্মাউথ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোস্যাল সাইন্সের প্রফেসর ও সহযোগী ডিন ড.গোলাম মুহাম্মদ মাতবর, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি এন্ড এনভায়ারমেন্ট সাইন্সের প্রফেসর ড.কামাল হোসাইন এবং জাপানের ওইতা বিশ্ববিদ্যলয়ের তরুণ গবেষক ড. মুহাম্মদ শাহজাহান কুতুবীসহ আরো অনেকে। কুতুবদিয়ায় বর্ষার আগে চাষাবাদ ও জনবসতি রক্ষায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আপতকালিন জরুরী মাটির বাঁধ এবং শুস্ক মৌসুমে স্থায়ি বাঁধের কাজ করতো পাউবো। কিন্তু গেল বর্ষায় কোন কাজ না হওয়ায় প্রতিরক্ষা বাঁধের বিশাল খোলা অংশ দিয়ে নিয়মিত সামুদ্রিক নুনা জোয়ারের পানি ওঠা-নামা করায় উত্তর ধূরুংসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় করা যায়নি চাষাবাদ। বসতঘর হারায় কয়েক হাজার মানুষ, বিধ্বস্ত হয় রাস্তা-ঘাট ও লবণ পানিতে ভর্তি হয়ে আছে সমস্ত পুকুর-জলাশয়। ওসব এলাকায় বর্তমানে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি তীব্র সমস্যা দেখা দিয়েছে পানীয় জলের।
৪০ বর্গ কি.মি. দ্বীপরক্ষা বাঁধের মধ্যে পাউবো কর্তৃপক্ষ মাত্র ৮কি.মি. অতিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করলেও সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, উত্তর ধূরুং, দক্ষিণ ধূরুং, কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ ও আলী আকবরডেইল এলাকার পশ্চিমে জোয়ার ঠেকানোর মতো বাঁধ নেই এবং দ্বীপের পূর্ব পাশের পুরো এলাকা রয়েছে অরক্ষিত। বেড়িবাঁধ নির্ভর ওসব এলাকার মানুষের নিত্য যাতায়াতে চলছে চরম দূর্ভোগ। এ ছাড়া চর ধূরুং ও কাইছার পাড়া এলাকার প্রায় ৫কি.মি. সম্পূর্ণ ভাঙা অংশে সিসিব্লক দ্বারা স্থায়ি বাঁধ নির্মাণ করা না হলে খুদিয়ারটেকের মতো গোটা উত্তর ধূরুংও সমুদ্র গর্ভে বিলীন হবার আশঙ্কা করছে উন্নয়ন বিশ্লেষক মহল। জলবায়ুর প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও পাউবো কর্তৃপক্ষের মান্দাতা আমলের ডিজাইনে করা বাঁধে বহু সরকারি অর্থ ব্যয় হলেও ঠেকানো যাচ্ছেনা ভয়াবহ ভাঙন। উন্নয়ন গবেষকরা জানিয়েছেন, সমোপযোগি ডিজাইনে দ্বীপের চারিদিকে মাটির বাঁধের সাথে সিসিব্লকসহ ভিতরে বাইরে দু’স্তরের সবুজ বনায়ন সৃজন করলে একদিকে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব অপরদিকে যানবাহন চলাচলের সুবিধা হলে কুতুবদিয়া হতে পারে দেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট।
আলীআকবর ডেইল বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পের দক্ষিণ পয়েন্টে গত ১১-১২ অর্থ বছরের ১৬ কোটি টাকার ‘প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ ৩-এ- ১১শ’ মিটার সিসিব্লক দ্বারা প্রতিরক্ষাবাঁধের জন্য প্রায় ৫০ হাজার ব্লক তৈরী করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, বিশ্ব ব্যাঙ্কের কন্সাল্টেন্ট ও ঠিকাদারি সংস্থা মেসার্স আতাউর রহমানের (প্রো.আতিক উদ্দিন চৌধূরী ও রেজাউল করিম) রশিটানাটানির কারণে বাতিল হয়ে যায় কাজের চুক্তিপত্র। ওই ঠিকাদারের তৈরীকরা ব্লকগুলো বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিগত চারবছর ধরে ওই খোলা পয়েন্টে নিয়মিত জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়ে তাবালেরচর ও আনিচের ডেইলের প্রায় ১২হাজার হেক্টর ফসলী জমি পরিত্যক্ত হয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে ৪০ হাজার মানুষ। পুন: টেন্ডারে ওই প্যাকেজটি কক্সবাজার উন্নয়ন ইন্টারন্যশনাল পেলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় কাজ শুরু করতে পারেনি। জটিলতা কেটে ওঠলে আগামী নবেম্বরের শেষে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারী সংস্থাটির লীড পার্টনার আতিকুল ইসলাম সিআইপি। কাইছার পাড়া এলাকায় একই ঠিকাদারের অধীনে ওয়ামিপের আওতায় ৭১ নম্বর পোল্ডারের প্যাকেজ নম্বর-৫-এ-গত ১২-১৩ অর্থ সনের ৮.৭১৫ কি.মি. মাটির বাঁধ ও ৭৫০ মিটার সিসিব্লক দ্বারা প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ যথা সময়ে সম্পন্ন না করায় গেল বর্ষায় গোটা উত্তর ধুরুংবাসী সারা বর্ষা নুনা পানিতে হাবু-ডুবুর শিকার হতে হয়েছে বলে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ অভিযোগ করেছেন।
এদিকে বর্ষা শেষে টেন্ডার ছাড়াই ইমার্জেন্সী ওয়ার্কের নামে ৬ প্যাকেজে ৫০ লাখ টাকার মাটির কাজ স্থানীয় আ.লীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভাগ-ভাটোয়ারা করে নিয়েছে বলে খোদ পাউবো’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী এ.টি.এম. মাসুদুর রাব্বী স্বীকার করেন। নামমাত্র কাজ দেখিয়ে তারা সমুদয় টাকা হরিলুটের পায়তারা করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে। দ্বীপবাসীর বাঁচা-মরার প্রশ্নে স্থায়ি প্রতিরক্ষাবাঁধ নির্মাণে সরকারের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে জানিয়েছেন কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আ.স.ম.শাহরিয়ার চৌধূরী। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়া গেলে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন পাউবো কক্সবাজার জেলার নির্বাহি প্রকৌশলী শফিকুল হক।
৪০ বর্গ কি.মি. দ্বীপরক্ষা বাঁধের মধ্যে পাউবো কর্তৃপক্ষ মাত্র ৮কি.মি. অতিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করলেও সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, উত্তর ধূরুং, দক্ষিণ ধূরুং, কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ ও আলী আকবরডেইল এলাকার পশ্চিমে জোয়ার ঠেকানোর মতো বাঁধ নেই এবং দ্বীপের পূর্ব পাশের পুরো এলাকা রয়েছে অরক্ষিত। বেড়িবাঁধ নির্ভর ওসব এলাকার মানুষের নিত্য যাতায়াতে চলছে চরম দূর্ভোগ। এ ছাড়া চর ধূরুং ও কাইছার পাড়া এলাকার প্রায় ৫কি.মি. সম্পূর্ণ ভাঙা অংশে সিসিব্লক দ্বারা স্থায়ি বাঁধ নির্মাণ করা না হলে খুদিয়ারটেকের মতো গোটা উত্তর ধূরুংও সমুদ্র গর্ভে বিলীন হবার আশঙ্কা করছে উন্নয়ন বিশ্লেষক মহল। জলবায়ুর প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও পাউবো কর্তৃপক্ষের মান্দাতা আমলের ডিজাইনে করা বাঁধে বহু সরকারি অর্থ ব্যয় হলেও ঠেকানো যাচ্ছেনা ভয়াবহ ভাঙন। উন্নয়ন গবেষকরা জানিয়েছেন, সমোপযোগি ডিজাইনে দ্বীপের চারিদিকে মাটির বাঁধের সাথে সিসিব্লকসহ ভিতরে বাইরে দু’স্তরের সবুজ বনায়ন সৃজন করলে একদিকে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব অপরদিকে যানবাহন চলাচলের সুবিধা হলে কুতুবদিয়া হতে পারে দেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট।
আলীআকবর ডেইল বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পের দক্ষিণ পয়েন্টে গত ১১-১২ অর্থ বছরের ১৬ কোটি টাকার ‘প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ ৩-এ- ১১শ’ মিটার সিসিব্লক দ্বারা প্রতিরক্ষাবাঁধের জন্য প্রায় ৫০ হাজার ব্লক তৈরী করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, বিশ্ব ব্যাঙ্কের কন্সাল্টেন্ট ও ঠিকাদারি সংস্থা মেসার্স আতাউর রহমানের (প্রো.আতিক উদ্দিন চৌধূরী ও রেজাউল করিম) রশিটানাটানির কারণে বাতিল হয়ে যায় কাজের চুক্তিপত্র। ওই ঠিকাদারের তৈরীকরা ব্লকগুলো বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিগত চারবছর ধরে ওই খোলা পয়েন্টে নিয়মিত জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়ে তাবালেরচর ও আনিচের ডেইলের প্রায় ১২হাজার হেক্টর ফসলী জমি পরিত্যক্ত হয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে ৪০ হাজার মানুষ। পুন: টেন্ডারে ওই প্যাকেজটি কক্সবাজার উন্নয়ন ইন্টারন্যশনাল পেলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় কাজ শুরু করতে পারেনি। জটিলতা কেটে ওঠলে আগামী নবেম্বরের শেষে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারী সংস্থাটির লীড পার্টনার আতিকুল ইসলাম সিআইপি। কাইছার পাড়া এলাকায় একই ঠিকাদারের অধীনে ওয়ামিপের আওতায় ৭১ নম্বর পোল্ডারের প্যাকেজ নম্বর-৫-এ-গত ১২-১৩ অর্থ সনের ৮.৭১৫ কি.মি. মাটির বাঁধ ও ৭৫০ মিটার সিসিব্লক দ্বারা প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ যথা সময়ে সম্পন্ন না করায় গেল বর্ষায় গোটা উত্তর ধুরুংবাসী সারা বর্ষা নুনা পানিতে হাবু-ডুবুর শিকার হতে হয়েছে বলে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ অভিযোগ করেছেন।
এদিকে বর্ষা শেষে টেন্ডার ছাড়াই ইমার্জেন্সী ওয়ার্কের নামে ৬ প্যাকেজে ৫০ লাখ টাকার মাটির কাজ স্থানীয় আ.লীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভাগ-ভাটোয়ারা করে নিয়েছে বলে খোদ পাউবো’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী এ.টি.এম. মাসুদুর রাব্বী স্বীকার করেন। নামমাত্র কাজ দেখিয়ে তারা সমুদয় টাকা হরিলুটের পায়তারা করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে। দ্বীপবাসীর বাঁচা-মরার প্রশ্নে স্থায়ি প্রতিরক্ষাবাঁধ নির্মাণে সরকারের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে জানিয়েছেন কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আ.স.ম.শাহরিয়ার চৌধূরী। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়া গেলে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন পাউবো কক্সবাজার জেলার নির্বাহি প্রকৌশলী শফিকুল হক।
No comments