সবজির দাম বাড়তি
হরতাল এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে
রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে
দাম বেড়েছে অধিকাংশ পণ্যের। বিশেষ করে শাকসবজি ও কাঁচা পণ্যের দাম বেড়েছে
অনেক বেশি। এক দিনের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা
পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। ঊর্ধ্বমূল্যে অপরিবর্তিত আছে চাল,
ডাল, তেল, মাছ, মুরগির বাজার।
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকাদরে। দুই দিন আগেও এ সবজি বিক্রি হয় ২০ থেকে ২৫ টাকায়। ১৫ থেকে ২০ টাকার বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। ৪০ টাকার লাউ গতকাল ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা হয়েছে কাঁচা মরিচের কেজি।
ঢাকায় গতকাল প্রতি কেজি মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, আলু ২৫ থেকে ২৮ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
বাজারে গতকাল মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয় প্রতিকেজি বেগুন। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে টমেটো বিক্রি হয় ১২০ টাকাদরে। পটোলের কেজি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। গাজর বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। লাউ শাকের আঁটি ২০ থেকে ৪০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, সবুজ ডাঁটা শাক ১০ টাকা, পুঁইশাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, কলমি শাক ৫ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩০০ টাকা। প্রতি হালি লেবু ২০ থেকে ৩০ টাকা ও কাঁচাকলা ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করেন বিক্রেতারা।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি রুই ২৫০ থেকে ৩৮০ টাকা, কাতল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, মলা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, রুপচাঁদা ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা, বেলে ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বাইন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ফলি ৩০০ থেকে ৪০০, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ২০০, কৈ ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশী মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং প্রতিজোড়া ইলিশ আকার ভেদে ১০০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গতকাল প্রতি কেজি খেসারি ডাল ৫০ টাকা, দেশী মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ান মসুর ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, ছোলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, মুগ ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, মটর ডাল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, অ্যাঙ্কর ডাল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, বুট ডাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, প্রতি কেজি ডানো ৬৮০ থেকে ৬৮৫ টাকা ও ৪০০ গ্রাম প্যাক বিক্রি হচ্ছে ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকা। রেডকাউ প্রতি কেজি ৬৪৫ থেকে ৬৫০ এবং মার্কস ৫০০ গ্রাম ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকা। প্রতি কিজি ডিপ্লোমা গুঁড়োদুধ গতকাল বিক্রি হয় ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকা, নিডো ৭০০ গ্রাম ৫৭০ টাকা ও ৪০০ গ্রাম ২৯০ টাকা, ফ্রেশ ৪০০ গ্রাম ২০৫ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
মুদি দোকানগুলোয় ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৩ থেকে ৩৮ টাকা, দেশী পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়, দেশী রসুনের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বিদেশী রসুন ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, দেশী আদা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা এবং চায়না আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। খোলা চিনি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, প্যাকেট চিনি ৫০ থেকে ৫২ টাকা, আটা ৩২ থেকে ৩৪ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা ও পামলিন ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফার্মের মুরগির লাল ডিম ৩০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৪০ টাকা হালিদরে বিক্রি হয়। ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা, গরুর গোশত ৩০০ টাকা এবং খাসির গোশত ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
No comments