বিনিয়োগে স্থবিরতা
দেশে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগে স্থবিরতা বিরাজ করছে। খোদ অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে বলেছেন, দেশে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ পরিস্থিতি ভালো নয়। তিনি এটিও স্বীকার করেছেন যে, বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ছে। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা জরুরি। গতকাল যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিনিয়োগ থমকে থাকার ১১টি প্রতিবন্ধকতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হল : বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ না পাওয়া, ঋণের অপ্রাপ্যতা, ব্যাংক ঋণের সুদের উচ্চ হার, অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি না পাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বিদেশে টাকা পাচার, ব্যবসা শুরু, কর প্রদান, বৈদেশিক বাণিজ্য ও সম্পত্তি নিবন্ধনে জটিলতা এবং চুক্তি বাস্তবায়নে জটিলতা।
উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করেন মূলত লাভের জন্য। তারা যদি মনে করেন, প্রতিবন্ধকতার কারণে বিনিয়োগ থেকে লাভ উঠে আসার বিষয়টি অনিশ্চিত, তাহলে তারা এ ব্যাপারে মুখ ফিরিয়ে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। অথচ এমনটি হওয়ার কথা নয়। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ। সম্প্রতি ওয়াশিংটনভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপে অংশ নেয়া ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করে, বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের স্বর্গরাজ্য। কারণ বাংলাদেশ বাণিজ্য-বিনিয়োগ উদারীকরণের জন্য সহায়ক একটি দেশ। এক্ষেত্রে ভিয়েতনামের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। দুর্ভাগ্যজনক যে, এমন সম্ভাবনাকেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছেন আমাদের নীতিনির্ধারকরা। প্রকৃতপক্ষে আস্থাহীনতার কারণেই দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বিশ্বের অনেক দেশেই বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য উদ্যোক্তাদের নানারকম সুযোগ-সুবিধা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়। অথচ এ দেশে করা হচ্ছে এর উল্টোটি। এটা কাম্য নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পথে বিদ্যমান সব বাধা অপসারণ করতে হবে। উদ্যোক্তাদের আস্থা অর্জনে এর কোনো বিকল্প নেই।
নীতিনির্ধারকদের মনে রাখতে হবে, বিনিয়োগের অভাবে দেশে শিল্পায়ন ঘটছে না। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিল্পের প্রবৃদ্ধি। তাই সৃষ্টি হচ্ছে না নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ। ফলে বেকারত্ব বাড়ছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, বিনিয়োগে স্থবিরতার কারণে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি উপলব্ধি করে নীতিনির্ধারকরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করার উদ্যোগ নেবেন, এটাই কাম্য। উদ্যোক্তাদের আস্থা ফিরে পেতে চাইলে রাজনীতির অনিশ্চয়তাও দূর করতে হবে। অনিশ্চিত পরিস্থিতি অর্থনীতির কাক্সিক্ষত অগ্রগতির পথে অন্তরায়। সরকারকে এটা অনুধাবন করতে হবে।
উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করেন মূলত লাভের জন্য। তারা যদি মনে করেন, প্রতিবন্ধকতার কারণে বিনিয়োগ থেকে লাভ উঠে আসার বিষয়টি অনিশ্চিত, তাহলে তারা এ ব্যাপারে মুখ ফিরিয়ে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। অথচ এমনটি হওয়ার কথা নয়। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ। সম্প্রতি ওয়াশিংটনভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপে অংশ নেয়া ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করে, বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের স্বর্গরাজ্য। কারণ বাংলাদেশ বাণিজ্য-বিনিয়োগ উদারীকরণের জন্য সহায়ক একটি দেশ। এক্ষেত্রে ভিয়েতনামের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। দুর্ভাগ্যজনক যে, এমন সম্ভাবনাকেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছেন আমাদের নীতিনির্ধারকরা। প্রকৃতপক্ষে আস্থাহীনতার কারণেই দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বিশ্বের অনেক দেশেই বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য উদ্যোক্তাদের নানারকম সুযোগ-সুবিধা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়। অথচ এ দেশে করা হচ্ছে এর উল্টোটি। এটা কাম্য নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পথে বিদ্যমান সব বাধা অপসারণ করতে হবে। উদ্যোক্তাদের আস্থা অর্জনে এর কোনো বিকল্প নেই।
নীতিনির্ধারকদের মনে রাখতে হবে, বিনিয়োগের অভাবে দেশে শিল্পায়ন ঘটছে না। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিল্পের প্রবৃদ্ধি। তাই সৃষ্টি হচ্ছে না নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ। ফলে বেকারত্ব বাড়ছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, বিনিয়োগে স্থবিরতার কারণে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি উপলব্ধি করে নীতিনির্ধারকরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করার উদ্যোগ নেবেন, এটাই কাম্য। উদ্যোক্তাদের আস্থা ফিরে পেতে চাইলে রাজনীতির অনিশ্চয়তাও দূর করতে হবে। অনিশ্চিত পরিস্থিতি অর্থনীতির কাক্সিক্ষত অগ্রগতির পথে অন্তরায়। সরকারকে এটা অনুধাবন করতে হবে।
No comments