যে কোনো সময় নির্বাচন দেয়ার ক্ষমতা সরকারের থাকে -প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন সময় মতোই হবে। সাংবিধানিকভাবে এ সরকারের
মেয়াদ পাঁচ বছর। যে কোনো সময় নির্বাচন দেয়ার ক্ষমতা সরকারের থাকে। তিনি
বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকেই। একটা নির্বাচনের
পর আরেকটা নির্বাচন আসে, এটাই স্বাভাবিক। একটা নির্বাচনের পর চাইলে যে কোনো
সময়ও নির্বাচন করা যায়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আমি সেটাই
বুঝিয়েছিলাম। যে যার মতো যা বুঝতে চায়, বুঝে নিক। আমি তো বুঝিয়ে দিতে পারব
না। বৃহস্পতিবার বিকালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর সম্পর্কে গণভবনে অনুষ্ঠিত
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। মানবতাবিরোধী
অপরাধীদের বিচার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) উদ্বেগ প্রসঙ্গে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তর সালের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিচার
চলছে। যুদ্ধে যারা বাংলাদেশের নারী-পুরুষকে হত্যা করল, গ্রামের পর গ্রাম
জ্বালিয়ে দিল, তাদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা
হয়েছে। মানবতাবিরোধীদের শাস্তি দিলেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশ করে
কেন? ১৯৭১ সালে মানুষ হত্যা করে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে নাই? যারা
মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাদের পক্ষে তারা (ইইউ) উদ্বেগ প্রকাশ করে কীভাবে?’
প্রধানমন্ত্রী
আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জানা উচিত যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়েছে আমাদের
দেশের আইনে। এ আইনটি আন্তর্জাতিক মানের। আর যুদ্ধাপরাধীর বিচার নতুন কিছু
নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অপরাধের বিচার এখনও চলছে। আর আমাদের দেশে
যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে, লুটপাট করেছে,
অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের বিচার করছি। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ
হাসিনা আরও বলেন, এখন তাদের (ইইউ) মানবাধিকারের কথা শুনি। তাদের আমি
জিজ্ঞাসা করি, যখন ফিলিস্তিনের গাজায় নারী ও শিশু হত্যা করা হল তখন ইইউর
মানবাধিকার বিষয়ে উদ্বেগ কোথায় ছিল? প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস দমন করব,
জঙ্গিবাদ নির্মূল করব। আর এগুলো করতে হলে যুদ্ধাপরাধীর বিচারও করতে হবে। এ
বিচার চলবে।
৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন করতে হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপিকে আনার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তারা নির্বাচনে অংশ তো নেয়নি বরং নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন না হলে কী হতো? ১/১১-এর ধাক্কা তো এর আগে সামলাতে হয়েছে। তারা আবারও সেই অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আরব-আমিরাত সফর ব্যর্থ হয়েছে? বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শেখ হাসিনা বলেন, যারা প্রতি পদে পদে ব্যর্থ তারা তো ব্যর্থতাই দেখবে। এটা তাদের মজ্জাগত। তারা তাদের ব্যর্থতা দেখুক, আমি আমার কাজ করব।
সম্প্রতি ভারতের পত্রপত্রিকায় জঙ্গি তৎপরতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমি ‘এক্সটেনশন লাইফে’ আছি। আমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বারবার আমার ওপর হামলা হয়েছে। বেঁচে আছি। যখন দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে পারব, তখন আমি ছুটি নেব।
ভারতের পত্রপত্রিকায় খবর আসছে, জেএমবি সংগঠিত হচ্ছে, কিছুই যদি না থাকে তাহলে তালিকা কেন করছে? তারা আপনাকেও হত্যার পরিকল্পনা করছিল? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের তৎপরতা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে জঙ্গি তৎপরতা আমরা কমিয়ে এনেছি। ভারতে কিছু কিছু জঙ্গি ধরা পড়েছে, সেখানে আমরা তথ্য নিচ্ছি। আমাদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। জঙ্গি তৎপরতা রোধ করতে ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে একমত।
সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমি ‘এক্সটেনশন লাইফে’ আছি। ১৯৭১ সালেও হামলা হয়েছে। ১৯৭৫ সালে ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়ায় বেঁচে গেছি। আবার ’৮১ সালে যখন দেশে আসি তখন থেকে বারবার আমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। চট্টগ্রামে, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে, পান্থপথে বহুবার হামলা হয়েছে। বোমা মারা হয়েছে। সর্বশেষ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাও করা হয়েছে। তাতেও মরিনি। এসব মোকাবেলা করেই আমি রাজনীতি করে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে যখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে পারব তখন আমি ছুটি নেব। তার আগে নয়। আগামী ২০২১ সালের আগেই দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে, আগামীতে যদি কোনো সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে তারা বর্তমান সংবিধানের আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমার ফলে খালাস পাবে- এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা করা যাবে না। কারণ আমরা একটি রাষ্ট্র চালাই, রাষ্ট্রপতির কাছে দেশের জনগণের একটি অধিকার থাকে। কাজেই নাগরিকের অধিকার রক্ষায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির এ ক্ষমতা খর্ব করা ঠিক হবে না।
বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষকে যেন ঘর-বাড়ি বিক্রি করে এখন আর বিদেশে যেতে না হয় সে জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করে দিয়েছি। আমি আহ্বান জানাব, অনেকেই অনেক রকম প্রলোভন দেখাবে। খোঁজখবর না নিয়ে কেউ যেন বিদেশে না যায়। তিনি জমি বিক্রি করে বিদেশ না গিয়ে সেই টাকায় দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করারও পরামর্শ দেন। তবে এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর চেষ্টা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য সরকার নির্বাচন করে। এর আগে কোনো সরকারই পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকেনি। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে আমরাই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলাম।’
৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন করতে হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপিকে আনার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তারা নির্বাচনে অংশ তো নেয়নি বরং নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন না হলে কী হতো? ১/১১-এর ধাক্কা তো এর আগে সামলাতে হয়েছে। তারা আবারও সেই অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আরব-আমিরাত সফর ব্যর্থ হয়েছে? বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শেখ হাসিনা বলেন, যারা প্রতি পদে পদে ব্যর্থ তারা তো ব্যর্থতাই দেখবে। এটা তাদের মজ্জাগত। তারা তাদের ব্যর্থতা দেখুক, আমি আমার কাজ করব।
সম্প্রতি ভারতের পত্রপত্রিকায় জঙ্গি তৎপরতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমি ‘এক্সটেনশন লাইফে’ আছি। আমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বারবার আমার ওপর হামলা হয়েছে। বেঁচে আছি। যখন দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে পারব, তখন আমি ছুটি নেব।
ভারতের পত্রপত্রিকায় খবর আসছে, জেএমবি সংগঠিত হচ্ছে, কিছুই যদি না থাকে তাহলে তালিকা কেন করছে? তারা আপনাকেও হত্যার পরিকল্পনা করছিল? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের তৎপরতা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে জঙ্গি তৎপরতা আমরা কমিয়ে এনেছি। ভারতে কিছু কিছু জঙ্গি ধরা পড়েছে, সেখানে আমরা তথ্য নিচ্ছি। আমাদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। জঙ্গি তৎপরতা রোধ করতে ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে একমত।
সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমি ‘এক্সটেনশন লাইফে’ আছি। ১৯৭১ সালেও হামলা হয়েছে। ১৯৭৫ সালে ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়ায় বেঁচে গেছি। আবার ’৮১ সালে যখন দেশে আসি তখন থেকে বারবার আমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। চট্টগ্রামে, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে, পান্থপথে বহুবার হামলা হয়েছে। বোমা মারা হয়েছে। সর্বশেষ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাও করা হয়েছে। তাতেও মরিনি। এসব মোকাবেলা করেই আমি রাজনীতি করে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে যখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে পারব তখন আমি ছুটি নেব। তার আগে নয়। আগামী ২০২১ সালের আগেই দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে, আগামীতে যদি কোনো সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে তারা বর্তমান সংবিধানের আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমার ফলে খালাস পাবে- এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা করা যাবে না। কারণ আমরা একটি রাষ্ট্র চালাই, রাষ্ট্রপতির কাছে দেশের জনগণের একটি অধিকার থাকে। কাজেই নাগরিকের অধিকার রক্ষায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির এ ক্ষমতা খর্ব করা ঠিক হবে না।
বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষকে যেন ঘর-বাড়ি বিক্রি করে এখন আর বিদেশে যেতে না হয় সে জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করে দিয়েছি। আমি আহ্বান জানাব, অনেকেই অনেক রকম প্রলোভন দেখাবে। খোঁজখবর না নিয়ে কেউ যেন বিদেশে না যায়। তিনি জমি বিক্রি করে বিদেশ না গিয়ে সেই টাকায় দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করারও পরামর্শ দেন। তবে এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর চেষ্টা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য সরকার নির্বাচন করে। এর আগে কোনো সরকারই পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকেনি। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে আমরাই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলাম।’
No comments