এ যেন জনসমুদ্র! by অহিদুল হক
এ যেন জনসমুদ্র। চার দিকে শুধু মানুষ
আর মানুষ। গোটা শহর লোকে লোকারণ্য। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। জনসভার
পূর্ব নির্ধারিত স্থান নাটোর নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারী কলেজের মাঠ কানায়
কানায় পূর্ণতো বটেই, শহরের কোনো রাস্তায়ও দাঁড়াবার জায়গা নেই। এক সঙ্গে এতো
মানুষ নাটোরবাসী অতীতে কখনো দেখেনি।
দুপুর ৩টায় জনসভা শুরুর ঘোষণা থাকলেও সকাল ৯টা থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিলসহ লোকজন আসতে থাকে। হাতে ধানের শীষ, মাথায় ক্যাপ, গায়ে দলীয় পরিচয়সহ গেঞ্জি, সুদৃশ্য ব্যানার, ফেস্টুনসহ লোকজন স্রোতের মত আসতে থাকে জনসভাস্থল এনএস কলেজ মাঠে। সাঈদী, নিজামীসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি সম্বলিত সাদা গেঞ্জি পড়ে জামায়াত নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। দুপুর ১টার আগেই জনসভাস্থল কানায় কানায় ভরে যায়। মাঠে জায়গা না পেয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনতে দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষ মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় অবস্থান নেন। যার ফলে শহরের ছায়াবাণী সিনেমা হলের মোড় থেকে শুরু করে স্টেশন বাজার পর্যন্ত রাস্তা ছিল লোকে লোকারণ্য। কলেজ মাঠের চারপাশের উঁচু ভবনের ছাদ ও বিভিন্ন গাছের ডালে বসে মানুষজনকে বেগম জিয়ার বক্তব্য শুনতে দেখা গেছে। এনএস কলেজ মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় গোটা শহরই যেন জনসভায় পরিণত হয়েছিল। ঢাকা থেকে এনে শহর জুড়ে ২শ’ মাইক লাগানো হয়। ফলে শহরের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ নির্বিঘেœ নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনতে পেরেছেনে।
বেগম খালেদা জিয়া এর আগে ২০১০ সালের অক্টোবরে জেলার বনপাড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লা নুর বাবু হত্যার পর শোক সভায় এবং ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাটোরের কানাইখালী খেলার মাঠে মধ্যরাতে নির্বাচনী জনসভায় অপেক্ষমান জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। নাটোরে বর্তমান সরকারের আমলে নানা নিপীড়ন-নির্যাতনে মানুষ যেমন অতিষ্ঠ, তেমনি দীর্ঘদিন পর বেগম জিয়ার নাটোরে আগমণকে ঘিরে গোটা জেলার নেতাকর্মীরা ছিলেন দারুণ উজ্জীবিত। এ জন্য নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় নেতাকর্মীরা শ্লোগানে শ্লোগানে খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি সরকারের নানা ব্যর্থতা আর নির্যাতন-নিপীড়নের কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে ভোটারবিহীন একদলীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়া সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশে আগত সত্তরোর্ধ আব্দুস সাত্তার বলেন, জীবনে বহু সভা-সমাবেশ দেখেছি। খালেদা জিয়ার জনসভাও দেখেছি। কিন্তু এতো লোক কোন জনসভায় দেখেছি বলে মনে পড়ে না। এবারের উপচে পড়া ভীড় দেখে আমরা অভিভূত। জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন খান বলেন, জনসভাকে সার্বিকভাবে সফল করতে জামায়াত নেতাকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। জনসভায় পুরো জেলা থেকে কমপক্ষে এক লাখ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী অংশ গ্রহণ করেছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বলেন, জেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মী বিপুল উদ্যমে যোগ দেয়ায় জনসভা জনসমুদ্রে রুপ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নাটোর জেলা বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের ঘাঁটি বলে প্রমাণিত হয়েছে।
বেগম জিয়াকে পথে পথে ফুলেল শুভেচ্ছা
ঢাকা থেকে সড়ক পথে নাটোরের সমাবেশে আসার সময় পথে পথে বেগম জিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ২০ দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। মহাসড়কের দু’পাশে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে হাত নেড়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় বেগম জিয়া হাত তুলে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। তাঁকে একনজর দেখার জন্য বিপুল সংখ্যক মহিলাকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তার যাওয়ার পথ বনপাড়া-হাটিকুমরুল ও নাটোর-পাবনা মহাসড়কের দুই পাশে সারি সারি জাতীয় ও দলীয় পতাকা, বিলবোর্ড, শত শত তোরণ দিয়ে ইতিপূর্বেই সুন্দরভাবে সাজানো হয়। বিভিন্ন এলাকায় টবে ধান গাছ লাগিয়ে মহাসড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়। এছাড়া বনপাড়া পৌরসভার শুরুতে গাজী অটো রাইস মিলের সামনে বসানো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও এ্যাড. এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাস্কর্য জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সবার দৃষ্টি কাড়ে। কাছিকাটা, নয়াবাজার, রয়না ভরট হাট, রাজ্জাক মোড়, বড়াইগ্রাম চৌরাস্তা, আগ্রাণ, পারকোল বাজার, বনপাড়া বাইপাস, আহম্মেদপুর বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সমবেত লোকজন রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে বেগম জিয়াকে বরণ করে নেন।
সমাবেশে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নজর কাড়া সহাবস্থান
জনসভা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ থাকলেও কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি। সবার মধ্যে ছিল আন্তরিকতা আর সহযোগিতার মনোভাব। বিশেষ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চের কাছাকাছি বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলেও নাটোরের সমাবেশে তার লেশমাত্র ছিল না। আগে থেকেই পরিকল্পিতভাবে মাঠে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠণসহ জামায়াত-শিবিরের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ করে রাখায় মাঠে বসা নিয়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের এ সুন্দর সহাবস্থান সবার দৃষ্টি কেড়েছে।
দুপুর ৩টায় জনসভা শুরুর ঘোষণা থাকলেও সকাল ৯টা থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিলসহ লোকজন আসতে থাকে। হাতে ধানের শীষ, মাথায় ক্যাপ, গায়ে দলীয় পরিচয়সহ গেঞ্জি, সুদৃশ্য ব্যানার, ফেস্টুনসহ লোকজন স্রোতের মত আসতে থাকে জনসভাস্থল এনএস কলেজ মাঠে। সাঈদী, নিজামীসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি সম্বলিত সাদা গেঞ্জি পড়ে জামায়াত নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। দুপুর ১টার আগেই জনসভাস্থল কানায় কানায় ভরে যায়। মাঠে জায়গা না পেয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনতে দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষ মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় অবস্থান নেন। যার ফলে শহরের ছায়াবাণী সিনেমা হলের মোড় থেকে শুরু করে স্টেশন বাজার পর্যন্ত রাস্তা ছিল লোকে লোকারণ্য। কলেজ মাঠের চারপাশের উঁচু ভবনের ছাদ ও বিভিন্ন গাছের ডালে বসে মানুষজনকে বেগম জিয়ার বক্তব্য শুনতে দেখা গেছে। এনএস কলেজ মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় গোটা শহরই যেন জনসভায় পরিণত হয়েছিল। ঢাকা থেকে এনে শহর জুড়ে ২শ’ মাইক লাগানো হয়। ফলে শহরের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ নির্বিঘেœ নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনতে পেরেছেনে।
বেগম খালেদা জিয়া এর আগে ২০১০ সালের অক্টোবরে জেলার বনপাড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লা নুর বাবু হত্যার পর শোক সভায় এবং ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাটোরের কানাইখালী খেলার মাঠে মধ্যরাতে নির্বাচনী জনসভায় অপেক্ষমান জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। নাটোরে বর্তমান সরকারের আমলে নানা নিপীড়ন-নির্যাতনে মানুষ যেমন অতিষ্ঠ, তেমনি দীর্ঘদিন পর বেগম জিয়ার নাটোরে আগমণকে ঘিরে গোটা জেলার নেতাকর্মীরা ছিলেন দারুণ উজ্জীবিত। এ জন্য নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় নেতাকর্মীরা শ্লোগানে শ্লোগানে খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি সরকারের নানা ব্যর্থতা আর নির্যাতন-নিপীড়নের কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে ভোটারবিহীন একদলীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়া সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশে আগত সত্তরোর্ধ আব্দুস সাত্তার বলেন, জীবনে বহু সভা-সমাবেশ দেখেছি। খালেদা জিয়ার জনসভাও দেখেছি। কিন্তু এতো লোক কোন জনসভায় দেখেছি বলে মনে পড়ে না। এবারের উপচে পড়া ভীড় দেখে আমরা অভিভূত। জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন খান বলেন, জনসভাকে সার্বিকভাবে সফল করতে জামায়াত নেতাকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। জনসভায় পুরো জেলা থেকে কমপক্ষে এক লাখ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী অংশ গ্রহণ করেছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বলেন, জেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মী বিপুল উদ্যমে যোগ দেয়ায় জনসভা জনসমুদ্রে রুপ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নাটোর জেলা বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের ঘাঁটি বলে প্রমাণিত হয়েছে।
বেগম জিয়াকে পথে পথে ফুলেল শুভেচ্ছা
ঢাকা থেকে সড়ক পথে নাটোরের সমাবেশে আসার সময় পথে পথে বেগম জিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ২০ দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। মহাসড়কের দু’পাশে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে হাত নেড়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় বেগম জিয়া হাত তুলে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। তাঁকে একনজর দেখার জন্য বিপুল সংখ্যক মহিলাকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তার যাওয়ার পথ বনপাড়া-হাটিকুমরুল ও নাটোর-পাবনা মহাসড়কের দুই পাশে সারি সারি জাতীয় ও দলীয় পতাকা, বিলবোর্ড, শত শত তোরণ দিয়ে ইতিপূর্বেই সুন্দরভাবে সাজানো হয়। বিভিন্ন এলাকায় টবে ধান গাছ লাগিয়ে মহাসড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়। এছাড়া বনপাড়া পৌরসভার শুরুতে গাজী অটো রাইস মিলের সামনে বসানো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও এ্যাড. এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাস্কর্য জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সবার দৃষ্টি কাড়ে। কাছিকাটা, নয়াবাজার, রয়না ভরট হাট, রাজ্জাক মোড়, বড়াইগ্রাম চৌরাস্তা, আগ্রাণ, পারকোল বাজার, বনপাড়া বাইপাস, আহম্মেদপুর বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সমবেত লোকজন রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে বেগম জিয়াকে বরণ করে নেন।
সমাবেশে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নজর কাড়া সহাবস্থান
জনসভা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ থাকলেও কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি। সবার মধ্যে ছিল আন্তরিকতা আর সহযোগিতার মনোভাব। বিশেষ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চের কাছাকাছি বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলেও নাটোরের সমাবেশে তার লেশমাত্র ছিল না। আগে থেকেই পরিকল্পিতভাবে মাঠে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠণসহ জামায়াত-শিবিরের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ করে রাখায় মাঠে বসা নিয়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের এ সুন্দর সহাবস্থান সবার দৃষ্টি কেড়েছে।
No comments