গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে কেউ পার পাবে না :ড. কামাল হোসেন
বিশিষ্ট আইনজীবি এবং গণফোরাম সভাপতি
ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমাদের সংবিধানে আছে জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক।
সেখানে সকল মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। তাদের ভোটের অধিকার থেকে কেউ বঞ্চিত
করতে পারবে না। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জনগণের হাতে ক্ষমতা থাকবে।
গণতন্ত্রকে ধ্বংশ করে কেউ পার পাবে না। ভাষা মতিন আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন,
আমরা সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে না বলব।
শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভাসানী অনুসারী পরিষদ এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, গত ৪২ বছরে কম অন্যায় হয়নি। আমাদের স্বাধীনতার মূল ইতিহাসকে নিয়ে বিতর্ক করা ঠিক নয়। আমাদেরকে ন্যায় সঙ্গত বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সারা বিশ্বে যেখানে বাঙালি আছে সেখানেই আব্দুল মতিন সম্মানিত হবেন। এর থেকে বড় সম্মান আর কি হতে পারে ? তিনি চির জীবন আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্মান পাওয়ার জিনিষ না। আব্দুল মতিন এ সম্মান চান নাই পানও নাই। এ ধরণের সম্মান তার মাপের মানুষকে ছোট করে। তার সমগ্র জীবনে অনৈতিক কোন সিদ্ধান্ত নেয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। জনগণের অধিকারের বিষয়ে আব্দুল মতিন সারা জীবন আপোষহীন ছিলেন বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)‘র সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, জাতীয় পার্টির একাংশের সভাপতি মোস্তফা জালাল হায়দার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, জাবির সাবেক ভিসি ড. জসীম উদ্দীন আহমদ, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাংবাদিক ও কলামিস্ট কাজী সিরাজ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, আব্দুল মতিনের স্ত্রী গুলবদন নেছা মনিকা প্রমুখ।
ড. এমাজউদ্দিন আহমদ বলেন, আব্দুল মতিন তার নিজের জন্য কিছুই রাখেননি। তিনি তার চোখ এমনকি নিজের দেহ পর্যন্ত দান করে গেছেন। আমরা জাতি হিসেবে কত অকৃতজ্ঞ। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান পর্যন্ত দেয়া হল না। রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়া হলে ব্যক্তিগতভাবে তিনি সবচেয়ে বেশী খুশি হতেন বলেন মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, আর কিছু সম্ভব না হোক তার পরিবারটি যেন ভালোভাবে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় আমাদের এ অকৃতজ্ঞতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, যারা বাংলায় কথা বলেন তারা সবাই আব্দুল মতিন। তিনি সেদিন আন্দোলন না করলে আজকের ক্ষমতাসীনরা সিংহাসনে বসতে পারতেন না। সম্মানিত মানুষদেরকে সম্মান দিতে শেখেন। যাদের দেশের জন্য অবদান আছে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেয় উচিৎ বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।
মোস্তফা জালাল বলেন, আমাদের চলার পথে আব্দুল মতিনের স্মৃতি এবং আদর্শ সারা জীবন অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ভাষা মতিন দেশের জন্য সবকিছুর মধ্যে থেকেছেন নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে নো বলতে শিখিয়েছেন। আমাদের দেশের ষোল কোটি মানুষ যদি নো বলে ওঠে তাহলে অত্যাচারী বিদায় নিতে বাধ্য। শহীদ মিনারের থেকে ভালো কোন জায়গায় আব্দুল মতিনকে সম্মান জানানো যেত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হায়দার আকবর খান রনো বলেন, বর্তমান সরকার একটা প্রতারণা মূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। এদের কাছ থেকে আব্দুল মতিনের মতো মানুষের সম্মান নেয়াটা ঠিক হতো না।
ড. জসীম উদ্দীন বলেন, শহীদ মিনার আর আব্দুল মতিন সমার্থক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে আব্দুল মতিনের নামে একটি চেয়ার প্রতিষ্ঠার আহবান জানান তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে ভন্ডামী হয়ে গেল। এখন জাপান, যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে সবাই সাথে আছে এমন নির্জলা মিথ্যা কথা বলছেন। এর বিরুদ্ধে না বলতে শিখিয়েছেন আব্দুল মতিন। আজ দেশে অনর্গল সত্যের অপালাপ হচ্ছে। আব্দুল মতিনকে সম্মান না দিয়ে রাষ্ট্র যারা চালায় তারা ছোট হয়ে গেছে। তারা ছোট লোক। আব্দুল মতিন এ ধরণের ফালতু ঠুনকো স্ট্যাটাসের যোগ্য নয় বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।
গুলবদন নেছা বলেন, আব্দুল মতিনের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। তার ইতিহাস যাতে বিকৃত না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। পাঠ্যবইয়ে তার ইতিহাস সংযুক্ত করতে হবে। তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম তার সম্পর্কে জানতে পারবে। আব্দুল মতিন কখনো স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রীয় সম্মান চাননি বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. জাফর উল্লাহ বলেন, দেশের অধিকাংশ সংগ্রামই হয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার পরেও সে বৈষম্য শেষ হয়নি। যারা এক সময় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল, যারা সুবিধা ভোগী তারা সাহসী মানুষের নাম নিশানা মুছে দিতে চায়। যে কারণে পাঠ্য বইয়ে ভাসানী মতিনের নাম নেই। দেশের আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান তিনি।
শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভাসানী অনুসারী পরিষদ এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, গত ৪২ বছরে কম অন্যায় হয়নি। আমাদের স্বাধীনতার মূল ইতিহাসকে নিয়ে বিতর্ক করা ঠিক নয়। আমাদেরকে ন্যায় সঙ্গত বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সারা বিশ্বে যেখানে বাঙালি আছে সেখানেই আব্দুল মতিন সম্মানিত হবেন। এর থেকে বড় সম্মান আর কি হতে পারে ? তিনি চির জীবন আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্মান পাওয়ার জিনিষ না। আব্দুল মতিন এ সম্মান চান নাই পানও নাই। এ ধরণের সম্মান তার মাপের মানুষকে ছোট করে। তার সমগ্র জীবনে অনৈতিক কোন সিদ্ধান্ত নেয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। জনগণের অধিকারের বিষয়ে আব্দুল মতিন সারা জীবন আপোষহীন ছিলেন বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)‘র সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, জাতীয় পার্টির একাংশের সভাপতি মোস্তফা জালাল হায়দার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, জাবির সাবেক ভিসি ড. জসীম উদ্দীন আহমদ, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাংবাদিক ও কলামিস্ট কাজী সিরাজ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, আব্দুল মতিনের স্ত্রী গুলবদন নেছা মনিকা প্রমুখ।
ড. এমাজউদ্দিন আহমদ বলেন, আব্দুল মতিন তার নিজের জন্য কিছুই রাখেননি। তিনি তার চোখ এমনকি নিজের দেহ পর্যন্ত দান করে গেছেন। আমরা জাতি হিসেবে কত অকৃতজ্ঞ। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান পর্যন্ত দেয়া হল না। রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়া হলে ব্যক্তিগতভাবে তিনি সবচেয়ে বেশী খুশি হতেন বলেন মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, আর কিছু সম্ভব না হোক তার পরিবারটি যেন ভালোভাবে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় আমাদের এ অকৃতজ্ঞতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, যারা বাংলায় কথা বলেন তারা সবাই আব্দুল মতিন। তিনি সেদিন আন্দোলন না করলে আজকের ক্ষমতাসীনরা সিংহাসনে বসতে পারতেন না। সম্মানিত মানুষদেরকে সম্মান দিতে শেখেন। যাদের দেশের জন্য অবদান আছে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেয় উচিৎ বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।
মোস্তফা জালাল বলেন, আমাদের চলার পথে আব্দুল মতিনের স্মৃতি এবং আদর্শ সারা জীবন অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ভাষা মতিন দেশের জন্য সবকিছুর মধ্যে থেকেছেন নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে নো বলতে শিখিয়েছেন। আমাদের দেশের ষোল কোটি মানুষ যদি নো বলে ওঠে তাহলে অত্যাচারী বিদায় নিতে বাধ্য। শহীদ মিনারের থেকে ভালো কোন জায়গায় আব্দুল মতিনকে সম্মান জানানো যেত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হায়দার আকবর খান রনো বলেন, বর্তমান সরকার একটা প্রতারণা মূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। এদের কাছ থেকে আব্দুল মতিনের মতো মানুষের সম্মান নেয়াটা ঠিক হতো না।
ড. জসীম উদ্দীন বলেন, শহীদ মিনার আর আব্দুল মতিন সমার্থক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে আব্দুল মতিনের নামে একটি চেয়ার প্রতিষ্ঠার আহবান জানান তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে ভন্ডামী হয়ে গেল। এখন জাপান, যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে সবাই সাথে আছে এমন নির্জলা মিথ্যা কথা বলছেন। এর বিরুদ্ধে না বলতে শিখিয়েছেন আব্দুল মতিন। আজ দেশে অনর্গল সত্যের অপালাপ হচ্ছে। আব্দুল মতিনকে সম্মান না দিয়ে রাষ্ট্র যারা চালায় তারা ছোট হয়ে গেছে। তারা ছোট লোক। আব্দুল মতিন এ ধরণের ফালতু ঠুনকো স্ট্যাটাসের যোগ্য নয় বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।
গুলবদন নেছা বলেন, আব্দুল মতিনের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। তার ইতিহাস যাতে বিকৃত না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। পাঠ্যবইয়ে তার ইতিহাস সংযুক্ত করতে হবে। তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম তার সম্পর্কে জানতে পারবে। আব্দুল মতিন কখনো স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রীয় সম্মান চাননি বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. জাফর উল্লাহ বলেন, দেশের অধিকাংশ সংগ্রামই হয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার পরেও সে বৈষম্য শেষ হয়নি। যারা এক সময় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল, যারা সুবিধা ভোগী তারা সাহসী মানুষের নাম নিশানা মুছে দিতে চায়। যে কারণে পাঠ্য বইয়ে ভাসানী মতিনের নাম নেই। দেশের আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান তিনি।
No comments