প্রধানমন্ত্রী নতি স্বীকার করতে শুরু করেছেন -মির্জা ফখরুল
সরকার জনগণের দাবির কাছে নতিস্বীকার করতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন- গণতান্ত্রিক সরকার যে কোন সময় নির্বাচন দিতে পারে। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন দেশের জনগণ আগাম নির্বাচন চায়। তিনি জনগণের দাবির কাছে নতিস্বীকার করতে শুরু করেছেন। সেজন্য নির্বাচন নিয়ে তার ওই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের মানুষ একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার দেখতে চায়। আমরা আশা করবো, সরকার জনগণের দাবি মেনে নিয়ে অতিদ্রুত নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। গতকাল সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়া দেয়ার কিছু নেই। তার আমিরাত সফরে সাফল্যের কিছু আমরা খুঁজে পাইনি। প্রধানমন্ত্রী স্বভাবসুলভভাবে বিএনপি সম্পর্কে বিষোদগার ও নানা মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করেন মির্জা আলমগীর। আমিরাতে মহিলা কর্মী নিয়োগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সেটা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জনগণ মহিলা কর্মী নিয়োগের বিষয়টি ভাল চোখে দেখেন না। সেখানে বাংলাদেশের মহিলা কর্মীরা নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। সেটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। অথচ দীর্ঘদিন ধরে আমিরাতে বাংলাদেশের শ্রমশক্তি নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কোন সুরাহা করতে পারেননি। তাই আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী আমিরাত সফর ব্যর্থ হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়েই আরেকটি নির্বাচন হবে- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, রাজনীতিবিদদের ভাষা আমরা বুঝি। প্রধানমন্ত্রী কি বোঝাতে চেয়েছেন, সেটাও আমরা বুঝতে পেরেছি। এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিএনপির প্রস্তুতি রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছরে পাঁচবার রাষ্ট্র পরিচালনায় সুযোগ পেয়েছে বিএনপি। তাই যে কোন মুহূর্তে নির্বাচন দিলে আমাদের সমস্যা হবে না। আন্দোলন ও নির্বাচন দুটোর প্রস্তুতি একসঙ্গে চলছে আমাদের। জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযমের মৃত্যুতে বিএনপি শোক প্রকাশ না করে অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে- ছেলে আমান আযমীর মন্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা আলমগীর বলেন, অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের ছেলে জামায়াতে ইসলামীর কর্মকর্তা কিংবা সদস্য কিনা আমার জানা নেই। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের যে জোট রয়েছে, তা একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচন ও দেশে যে দুঃশাসন চলছে তা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য। ওই বিষয়ে এখন পর্যন্ত জামায়াতের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া আসেনি। তাই আমান আযমীর বক্তব্য নিয়ে বিএনপি থেকে কোন প্রতিক্রিয়া দেয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। এটার তার ব্যক্তিগত মতামত।
সংহতি দিবসে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি
৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন মির্জা আলমগীর। এর মধ্যে ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে দুদিনের কর্মসূচি হবে। এছাড়া ৫ই নভেম্বর থেকে ১৪ই নভেম্বর থাকবে ১০ দিনের কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৭ই নভেম্বর ভোরে সারা দেশে বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শেরেবাংলানগরস্থ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিল, ৮ই নভেম্বর বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ। এছাড়া ৭ই নভেম্বর সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। এর আগে মির্জা আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল মান্নান, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গোলাম আকবর খোন্দকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জীবন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, জাসাস সভাপতি এমএ মালেক, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নারায়াণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার, মুন্সিগঞ্জের সভাপতি আবদুল হাই, নরসিংদীর সাধারণ সম্পাদক মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংহতি দিবসে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি
৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন মির্জা আলমগীর। এর মধ্যে ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে দুদিনের কর্মসূচি হবে। এছাড়া ৫ই নভেম্বর থেকে ১৪ই নভেম্বর থাকবে ১০ দিনের কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৭ই নভেম্বর ভোরে সারা দেশে বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শেরেবাংলানগরস্থ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিল, ৮ই নভেম্বর বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ। এছাড়া ৭ই নভেম্বর সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। এর আগে মির্জা আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল মান্নান, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গোলাম আকবর খোন্দকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জীবন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, জাসাস সভাপতি এমএ মালেক, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নারায়াণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার, মুন্সিগঞ্জের সভাপতি আবদুল হাই, নরসিংদীর সাধারণ সম্পাদক মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments