বর্ধমান কাণ্ডে যুক্ত জঙ্গিদের খোঁজে পুরস্কার ঘোষণা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণ কান্ডের সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিদের অধিকাংশই এখনও পলাতক। এই পলাতক জঙ্গিদের খোঁজে তদন্তকারী সংস্থা জাতীয় ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (এনআইএ) পুরস্কার ঘোষণা করেছে। মোট ১২ জঙ্গির জন্য এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই ১২ জনের মধ্যে ৪ জনই বাংলাদেশি বলে গোয়েন্দাদের সন্দেহ। এরা হলো- সাজিদ, নাসিরুল্লা, ইউসুফ শেখ, কওসর ও তালহা শেখ। এনআইএ সুত্রে শুক্রবার জানানো হয়েছে, পলাতক ১২ জনের মধ্যে ৫ জনের জন্য ১০ লক্ষ রুপি, ৩ জনের জন্য ৫ লক্ষ রুপি ও বাকি ৪ জনের প্রত্যেকের জন্য ৩ লক্ষ রুপি করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। পলাতক সাজিদ, নাসিরুল্লা, ইউসুফ শেখ, কওসর ও তালহা শেখ এই পাঁচ জনের হদিস দিতে পারলে বা তাদের গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে সহায়ক তথ্য দিতে পারলে ১০ লক্ষ রুপি পুরস্কার দেওয়া হবে। আবার হবিবুর রহমান শেখ, আমজাদ আলি শেখ ও শাহ নূর আলম এই ৩ জনের প্রত্যেকের জন্য ৫ লক্ষ রুপি এবং বোরহান শেখ, রেজাউল করিম, আবুল কালাম ও জহিরুল শেখের খোঁজ দিতে পারলে ৩ লক্ষ রুপি পুরস্কার দেয়া হবে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এই ১২ জনের মধ্যে শাহ নূর আলম অসমের বরপেটা থেকে পালিয়েছে, বাকি ১১ জন পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমান এই চার জেলা এবং কলকাতা থেকে বিস্ফোরণের পরেই পালিয়ে গিয়েছে। সাজিদ জঙ্গিদের বর্ধমান মডিউলের মাথা বলে ধারণা এনআইএ-র। আইইডি পাচারে অভিযুক্ত বছর চল্লিশের এই যুবক মুর্শিদাবাদের লালগোলায় সীমান্ত ঘেঁষা মকিমনগরের মারদাসায় ডেরা গেড়েছিল। মুর্শিদাবাদেরই বেলডাঙায় ঘাঁটি গাড়া নাসিরুল্লা অভিযুক্ত আইইডি তৈরি ও পাচারে। আইইডি ফেটে ডান কব্জি উড়ে যাওয়ায় সে হাত-কাটা নাসিরুল্লা নামেও পরিচিত। ইউসুফ বর্ধমানের মঙ্গলকোটের শিমুলিয়ার মারদাসাটির প্রতিষ্ঠাতা। গোটা চক্রটির মধ্যে সে সমন্বয়ের কাজ করত বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। আর কওসর বীরভূমের বোলপুর এবং বর্ধমানের বাবুরবাগে ডেরা বেঁধেছিল। সেও বিস্ফোরণে মৃত শাকিল আহমেদের তৈরি আইইডি অন্যত্র পাচার করায় কাজ করত।
এদিকে, আদালতের কাছে পলাতকদের অনেকের সম্পত্তি সরকারি হেফাজতে নেওয়ার আর্জিও জানাতে চলেছে এনআইএ। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বর্ধমান কান্ডে তাদের তরফে প্রথম এই একটি আলাদা মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় বিস্ফোরণে জখম আব্দুল হাকিম অন্যতম অভিযুক্ত। খাগড়াগড়ে ঘাঁটি গাড়া সন্ত্রাসবাদীদের কারা টাকা দিত, সেটাই ইডি তদন্ত করে দেখছে।
এদিকে, আদালতের কাছে পলাতকদের অনেকের সম্পত্তি সরকারি হেফাজতে নেওয়ার আর্জিও জানাতে চলেছে এনআইএ। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বর্ধমান কান্ডে তাদের তরফে প্রথম এই একটি আলাদা মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় বিস্ফোরণে জখম আব্দুল হাকিম অন্যতম অভিযুক্ত। খাগড়াগড়ে ঘাঁটি গাড়া সন্ত্রাসবাদীদের কারা টাকা দিত, সেটাই ইডি তদন্ত করে দেখছে।
No comments