জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী by মামুন আল করিম
আবেদ চৌধুরী অযৌন বীজ উৎপাদন (এফআইএস)
সংক্রান্ত তিনটি নতুন জিন আবিষ্কার করেন, যার মাধ্যমে এই জিনবিশিষ্ট
মিউটেন্ট নিষেক ছাড়াই আংশিক বীজ উৎপাদনে সম হয়। তার এই আবিষ্কার
এপোমিক্সিসের সূচনা করেছে, যার মাধ্যমে পিতৃবিহীন বীজ উৎপাদন সম্ভব হয়।
তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে, যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন স্টেট ইনস্টিটিউট অব মলিকুলার বায়োলজি এবং ওয়াশিংটন স্টেটের ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। শিকতা ও গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট হেলথ, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং ফ্রান্সের ইকোল নরমাল সুপিরিয়রের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে।
‘খাছালত’ নামে বাংলাদেশী হারিয়ে যাওয়া একটি ধান নিয়ে বিশ্বে হইচই পড়ে গেছে। নেচার নামে এক সাময়িকীতে এ ধানকে ভারতীয় বুনো ধান হিসেবে দাবি করা হলে তিনি তার প্রতিবাদ করে প্রমাণ করে দিলেন আসলে এটি বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া একটি উন্নত জাতের ধান। ম্যানিলায় আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (ইরি) রীতিমতো তথ্য-উপাত্ত দিয়ে ড. আবেদ চৌধুরী প্রমাণ করলেন কাসালথ আমাদের হারিয়ে যাওয়া একটি ধান, এটি ভারতের নয়। কাসালথ ধান বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের কৃষকের প্রিয় একটি ধান। আঞ্চলিকভাবে এ ধানের নাম ‘খাছালত’।
তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে, যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন স্টেট ইনস্টিটিউট অব মলিকুলার বায়োলজি এবং ওয়াশিংটন স্টেটের ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। শিকতা ও গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট হেলথ, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং ফ্রান্সের ইকোল নরমাল সুপিরিয়রের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে।
‘খাছালত’ নামে বাংলাদেশী হারিয়ে যাওয়া একটি ধান নিয়ে বিশ্বে হইচই পড়ে গেছে। নেচার নামে এক সাময়িকীতে এ ধানকে ভারতীয় বুনো ধান হিসেবে দাবি করা হলে তিনি তার প্রতিবাদ করে প্রমাণ করে দিলেন আসলে এটি বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া একটি উন্নত জাতের ধান। ম্যানিলায় আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (ইরি) রীতিমতো তথ্য-উপাত্ত দিয়ে ড. আবেদ চৌধুরী প্রমাণ করলেন কাসালথ আমাদের হারিয়ে যাওয়া একটি ধান, এটি ভারতের নয়। কাসালথ ধান বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের কৃষকের প্রিয় একটি ধান। আঞ্চলিকভাবে এ ধানের নাম ‘খাছালত’।
তিনি তার গ্রামের বাড়ি হাজীপুর এলাকায় গড়ে তুলেছেন ধান পরীা মাঠ। আড়াই বছর ধরে এখানে চলছে ধানবীজের পরীা-নিরীা। তিনি দেশের হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন জাতের ধান নিয়ে গবেষণা করছেন। এখানে ধানের একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলারও চেষ্টা করছেন বলে জানান। এ ছাড়া তার গবেষণায় কৃষকদের জন্য একই চাষাবাদে দুইবার ফসল উৎপাদন একটি ব্যতিক্রমী মাত্রা যুক্ত হয়েছে। কেটে ফেলা ধানের মোথা থেকে দ্বিতীয়বার ধান উদ্ভাবন করেছেন বিশিষ্ট জিনবিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী।
২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে জিনবিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের নিজগ্রাম কানিহাটি এলাকার ২৫ বর্গমিটারের একটি প্রদর্শনী েেত বোরো ধানের চারা রোপণ করেন।
সঠিকভাবে সেচ ও পরিচর্যা করে ১৩০ দিনের মধ্যে ৮৫ সেন্টিমিটার থেকে ১ মিটার উচ্চতার গাছে প্রথমবারের মতো ফসল বেরিয়ে আসে। আর এই সময়ের মধ্যেই মাটি থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পরিকল্পিতভাবে ধান কেটে নিতে হয়েছে। কোনো প্রকার চাষাবাদ ছাড়াই প্রথম দফা ধান কেটে নেয়ার পর ধানের মোথায় পরিমাণমতো ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে মাত্র ৫২ দিনের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো ফসল উৎপাদন করা হয়। প্রথমবারের নতুন ধান কেটে নেয়ার পর দেখা গেছে, হেক্টরপ্রতি এ ধান উৎপাদন হয়েছে ৬.৪ মেট্রিক টন এবং দ্বিতীয়বার চাষাবাদবিহীন ধানের মোথায় বিঘাপ্রতি মাত্র ৩০০ টাকার ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে হেক্টরপ্রতি ধান উৎপাদন হয়েছে ৩ মেট্রিক টন। যেখানে সরকারি হিসাব অনুযায়ী, হেক্টরপ্রতি ধান উৎপাদন হয়ে থাকে ৩ থেকে ৪ মেট্রিক টন।
ঐকান্তিক পরিশ্রম ও নিষ্ঠা থাকলে যেকোনো কাজে সফলতা পাওয়া যায়, তার অন্যতম উদাহরণ আবেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নেচার সাময়িকীতে কাসালথের উৎপত্তিস্থল নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের পর ম্যানিলায় ইরিতে তিনি প্রতিবাদ পাঠান। ইতোমধ্যে তিনি পরীামূলক কাসালথ ধান চাষাবাদও শুরু করেছেন বলে জানান। তার গ্রামের বাড়ি হাজীপুর এলাকায় তিনি ধান পরীার মাঠ গড়ে তুলেছেন। আড়াই বছর ধরে এখানে চলছে ধানবীজের পরীা-নিরীা। তিনি দেশের হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন জাতের ধান নিয়ে গবেষণা করছেন। এখানে ধানের একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলারও চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
No comments