প্রাণীদের মজার কথা- তিমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী by মৃত্যুঞ্জয় রায়
ছোটবেলায় একটা গল্প শুনেছিলাম। এক সাগরে
এক জাহাজডুবি হয়। নাবিক কোনো রকমে সে জাহাজের একটা ভাঙা কাঠের টুকরো ধরে
সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছিল আর তীরের সন্ধান করছিল; কিন্তু গভীর সাগরে তীর আসবে
কোত্থেকে? হঠাৎ ছোট একটা দ্বীপ দেখে সে আনন্দিত হয়ে উঠল। কোনো রকমে সাঁতার
দিয়ে সে দ্বীপে উঠল। কান্ত শরীরে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ল দ্বীপটির মাটিতে; কিন্তু
কিছুণ পরই কী যে হলো, দ্বীপটা তলিয়ে গেল। আর নাবিকও ডুবে মরল। আসলে সেটা
তো কোনো দ্বীপ ছিল না, বিরাট আকারের একটা তিমি সাগরের বুকে ভেসে ছিল। সেটা
দেখেই দ্বীপের মাটি বলে ভুল হয়েছিল নাবিকের। সুতরাং বুঝতেই পারছ যে তিমিরা
কত্ত বড়!
শুধু সাগর কেন, পৃথিবীর বুকে নীলতিমির মতো অত বড় আর কোনো প্রাণী নেই। একটা নীলতিমিকে বড় মাঠের মধ্যে শুইয়ে রাখলে সেটা প্রায় ৯ তলা বিল্ডিংয়ের সমান উঁচু হবে। লম্বায় কম করে হলেও ১০০ ফুট তো হবে। ওজন হবে প্রায় ১০০ টন যা কিনা প্রায় ২৫টা হাতির সমান! একটা নীলতিমি রোজ প্রায় চার টন খাবার খায়। ছোট ছোট মাছই ওদের খাবার। তবে একমাত্র মানুষ ছাড়া নীলতিমিকে কিন্তু খাওয়ার কেউ নেই। তাই বলে ভেবো না যে সব তিমিই অত বড়। সাগরে যত তিমি আছে তাদের মধ্যে নীলতিমিই হলো সবচেয়ে বড়, আর সবচেয়ে ছোট হলো স্পার্ম তিমি। একটি স্পার্ম তিমির দৈর্ঘ্য মাত্র সাড়ে আট ফুট থেকে ৬০ ফুট। তিমি অত বড় প্রাণী হলেও ওরা কিন্তু দিব্যি স্বচ্ছন্দে সাগরে সাঁতার কেটে বেড়ায়, ভেসে থাকে এমনকি অত বড় দেহ নিয়েও সাগরে লাফিয়ে খেলা করে। স্থলচর কোনো প্রাণীর পইে ওদের মতো অত বড় দেহ নিয়ে চলাফেরা সম্ভব নয়, দেহের চাপেই পাগুলো গুঁড়িয়ে যাবে; কিন্তু ওদের কিছু হয় না। কেননা, সাগরে লবণ জলের প্লবতার জন্যই অত বড় দেহটা অনায়াসে ভেসে থাকে।
অনেকের ধারণা, সাগরে সাঁতরে বেড়ানো তিমিরা হলো একধরনের মাছ; কিন্তু তিমি কোনো মাছ নয়, স্তন্যপায়ী প্রাণী। বলতে পারো তোমার-আমার মতো একধরনের জীব। অত্যন্ত সুন্দর আর বুদ্ধিমান জীব। মাছের মতো ওরা ফুলকা দিয়ে নিঃশ্বাস নেয় না, আবার ডিমও পাড়ে না। শ্বাস-প্রশ্বাস চলে আমাদেরই মতো ফুসফুস দিয়ে। আর শ্বাসও নেয় আমাদের মতো বাতাস থেকে। অথচ ওরা থাকে সাগরের পানিতে। আরো অনেক আশ্চর্যজনক মিল আছে আমাদের সাথে ওদের। আমাদের যেমন চুল আছে তেমন ওদেরও চুল গজায়, তবে তিমিরা বড় হলে ওগুলো আর তেমন দেখা যায় না। আমাদের মতো তিমিও উষ্ণ রক্তের প্রাণী। আমাদের হৃৎপিণ্ডের মতো ওদেরও হৃৎপিণ্ডে চারটি প্রকোষ্ঠ আছে। বিস্ময়ের কথা হলো তিমিরা সরাসরি বাচ্চার জন্ম দেয় আর সেসব বাচ্চা মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়। জন্মের সময়ই নীলতিমির এক- একটা বাচ্চা হয় হাতির মতো, বাচ্চার ওজন দাঁড়ায় প্রায় ২৭ টন আর দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৭ ফুট।
সাগরের বুকে কত রকমের তিমি যে আছে! তবে সব তিমিকে মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে ওদের দাঁত দেখে। একধরনের তিমির বড় বড় গোজ বা হাতির দাঁতের মতো দাঁত আছে। ওরা স্কুইড, বড় মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী শিকার করে খায়। এদের একটামাত্র নাকের ফুটো থাকে। প্রায় ৬৬ প্রজাতির তিমি আছে এই দাঁতাল তিমি শ্রেণীতে। আর এক ধরনের তিমি আছে যাদের দাঁতগুলো চিরুনির দাঁতের মতো, অনেকটা ছাঁকনির কাজ করে ওগুলো। এ শ্রেণীর তিমি ছোট ছোট মাছ ছেঁকে মুখে পুরে নেয়। এদের নাকে দুটো ফুটো। ১০ প্রজাতির তিমি আছে এ শ্রেণীতে।
কোনো কোনো তিমি কিন্তু অত বড় দেহ নিয়েও বেশ ভালো সাঁতার কাটতে পারে। কিলার তিমি আর শর্টফিন পাইলট তিমিরা হলো তিমি জগতের সবচেয়ে দ্রুততম তিমি। ওরা ঘণ্টায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার বেগে সাঁতরাতে পারে। তিমিরা ওদের লেজের ওঠানামা দ্বারাই মূলত সাঁতার কাটে। আর মাছ সাঁতার কাটে লেজকে ডানে-বামে ঘুরিয়ে। ওভাবে সাঁতরাতে সাঁতরাতে কোনো কোনো সময় তিমিরা ওদের আবাস ছেড়ে অনেক দূরে চলে যায়। বিশেষ করে ঠাণ্ডা পানির স্রোত থেকে প্রায়ই তারা দূরের কোনো গরম পানির স্রোতের সন্ধানে সাঁতরাতে সাঁতরাতে চলে যায়। আর এ ক্ষেত্রে ধূসর তিমির কোনো জুড়ি নেই। বছরে ওরা সাগরে গড়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মাইল পথ পরিভ্রমণ করে।
অনেক তিমিই কিন্তু খেলতে পছন্দ করে। যেমন কোনো তিমির ইচ্ছা হলো তো হঠাৎ সাগর জল থেকে লাফিয়ে শূন্যে উঠে পড়ল খানিকটা। আবার ধপাস করে পানি ছিটিয়ে পড়ল সাগরের বুকে। তবে ওটা যে নেহাত খেলার জন্যই ওরা করে তা ভেবো না। অনেক সময় ওদের বিশাল বপুতে কিছু পরজীবী প্রাণী বাসা বাঁধে যেমন আমাদের মাথায় উকুন হয়। ওগুলোকে ঝেড়ে ফেলে দিতেও ওরা এমনটি করে থাকে। মাঝে মধ্যে তিমিরা সাগরের বুকে শুধু মাথাটা উঁচু করে একবার ঘুরিয়ে চার পাশটা দেখে নেয়, দেহকে পানির উপরে তোলে না। তিমিরা কিন্তু বেশ সামাজিক। ওরা দলে দলে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। তিমির দলকে বলে পড। তবে কোনো বিপদ দেখলে পানির উপরে বাতাসে খাড়া করে লেজ উঠিয়ে ছুটতে থাকে। এ সময় বিকট আওয়াজ হয়। সে শব্দেই দলের অন্য তিমিরা সতর্ক হয়ে যায়। তবে তিমিদের দলটা প্রধানত হয় মায়ের সাথে শিশু তিমিদের নিয়ে। দাঁতাল তিমিরা তো দল ছাড়া নড়েই না, শিকার করলেও দলেবলে করে।
মা তিমি সাধারণত এক থেকে তিন বছর পর একটা বাচ্চার জন্ম দেয়। ওদের গর্ভধারণ কাল ৯ থেকে ১৮ মাস। তবে অবাক কাণ্ড কি জানো? তিমির বাচ্চা পেট থেকে বেরিয়েই কিন্তু সাঁতার কাটে। তাহলে কি তিমির বাচ্চারা পেটে থাকতেই সাঁতার শিখে যায়? আর এক অবাক ব্যাপার হলো, মা তিমি তার বাচ্চাকে প্রায় এক বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ায় ও যত্ন নেয়। শিশু তিমিরা তত দিন মায়ের সাথে সাথেই ঘুরে বেড়ায়। দুধ খেয়ে খেয়ে শিশু তিমির ওজন দিনে প্রায় ১০০ কেজির মতো বাড়তে থাকে।
তিমিরা নানা রকম শব্দ করে নিজেদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান করে। এমনকি তিমিরা গানও গায়। বিশেষজ্ঞরা হ্যাম্পব্যাক বা কুব্জপৃষ্ঠ তিমির ৩০ মিনিট পর্যন্ত গান রেকর্ড করেছেন। তিমি কেন গান গায়, সে আর এক রহস্যের জাল। দাঁতাল তিমিরা অন্য তিমিদের চেয়ে বেশ জোরে শিস দেয়ার মতো করে গান গায় ওদের সাথীকে কাছে ডাকতে অথবা বাচ্চাদের ঠিক পথে চলার কথা বলতে। অবশ্য ভবঘুরের মতো শিকারের সন্ধানে ঘোরার সময়ও দাঁতাল তিমিরা গান গায় বলে জানা গেছে। তবে অন্য তিমিরা গান গায় খুব নিচু স্বরে, কোমল করে। তবে নীলতিমি যত জোরে শব্দ করতে পারে অত জোরে পৃথিবীর আর কোনো প্রাণী শব্দ করতে পারে না। সাগরে নীলতিমির কণ্ঠস্বর ৫০০ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়।
শুধু সাগর কেন, পৃথিবীর বুকে নীলতিমির মতো অত বড় আর কোনো প্রাণী নেই। একটা নীলতিমিকে বড় মাঠের মধ্যে শুইয়ে রাখলে সেটা প্রায় ৯ তলা বিল্ডিংয়ের সমান উঁচু হবে। লম্বায় কম করে হলেও ১০০ ফুট তো হবে। ওজন হবে প্রায় ১০০ টন যা কিনা প্রায় ২৫টা হাতির সমান! একটা নীলতিমি রোজ প্রায় চার টন খাবার খায়। ছোট ছোট মাছই ওদের খাবার। তবে একমাত্র মানুষ ছাড়া নীলতিমিকে কিন্তু খাওয়ার কেউ নেই। তাই বলে ভেবো না যে সব তিমিই অত বড়। সাগরে যত তিমি আছে তাদের মধ্যে নীলতিমিই হলো সবচেয়ে বড়, আর সবচেয়ে ছোট হলো স্পার্ম তিমি। একটি স্পার্ম তিমির দৈর্ঘ্য মাত্র সাড়ে আট ফুট থেকে ৬০ ফুট। তিমি অত বড় প্রাণী হলেও ওরা কিন্তু দিব্যি স্বচ্ছন্দে সাগরে সাঁতার কেটে বেড়ায়, ভেসে থাকে এমনকি অত বড় দেহ নিয়েও সাগরে লাফিয়ে খেলা করে। স্থলচর কোনো প্রাণীর পইে ওদের মতো অত বড় দেহ নিয়ে চলাফেরা সম্ভব নয়, দেহের চাপেই পাগুলো গুঁড়িয়ে যাবে; কিন্তু ওদের কিছু হয় না। কেননা, সাগরে লবণ জলের প্লবতার জন্যই অত বড় দেহটা অনায়াসে ভেসে থাকে।
অনেকের ধারণা, সাগরে সাঁতরে বেড়ানো তিমিরা হলো একধরনের মাছ; কিন্তু তিমি কোনো মাছ নয়, স্তন্যপায়ী প্রাণী। বলতে পারো তোমার-আমার মতো একধরনের জীব। অত্যন্ত সুন্দর আর বুদ্ধিমান জীব। মাছের মতো ওরা ফুলকা দিয়ে নিঃশ্বাস নেয় না, আবার ডিমও পাড়ে না। শ্বাস-প্রশ্বাস চলে আমাদেরই মতো ফুসফুস দিয়ে। আর শ্বাসও নেয় আমাদের মতো বাতাস থেকে। অথচ ওরা থাকে সাগরের পানিতে। আরো অনেক আশ্চর্যজনক মিল আছে আমাদের সাথে ওদের। আমাদের যেমন চুল আছে তেমন ওদেরও চুল গজায়, তবে তিমিরা বড় হলে ওগুলো আর তেমন দেখা যায় না। আমাদের মতো তিমিও উষ্ণ রক্তের প্রাণী। আমাদের হৃৎপিণ্ডের মতো ওদেরও হৃৎপিণ্ডে চারটি প্রকোষ্ঠ আছে। বিস্ময়ের কথা হলো তিমিরা সরাসরি বাচ্চার জন্ম দেয় আর সেসব বাচ্চা মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়। জন্মের সময়ই নীলতিমির এক- একটা বাচ্চা হয় হাতির মতো, বাচ্চার ওজন দাঁড়ায় প্রায় ২৭ টন আর দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৭ ফুট।
সাগরের বুকে কত রকমের তিমি যে আছে! তবে সব তিমিকে মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে ওদের দাঁত দেখে। একধরনের তিমির বড় বড় গোজ বা হাতির দাঁতের মতো দাঁত আছে। ওরা স্কুইড, বড় মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী শিকার করে খায়। এদের একটামাত্র নাকের ফুটো থাকে। প্রায় ৬৬ প্রজাতির তিমি আছে এই দাঁতাল তিমি শ্রেণীতে। আর এক ধরনের তিমি আছে যাদের দাঁতগুলো চিরুনির দাঁতের মতো, অনেকটা ছাঁকনির কাজ করে ওগুলো। এ শ্রেণীর তিমি ছোট ছোট মাছ ছেঁকে মুখে পুরে নেয়। এদের নাকে দুটো ফুটো। ১০ প্রজাতির তিমি আছে এ শ্রেণীতে।
কোনো কোনো তিমি কিন্তু অত বড় দেহ নিয়েও বেশ ভালো সাঁতার কাটতে পারে। কিলার তিমি আর শর্টফিন পাইলট তিমিরা হলো তিমি জগতের সবচেয়ে দ্রুততম তিমি। ওরা ঘণ্টায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার বেগে সাঁতরাতে পারে। তিমিরা ওদের লেজের ওঠানামা দ্বারাই মূলত সাঁতার কাটে। আর মাছ সাঁতার কাটে লেজকে ডানে-বামে ঘুরিয়ে। ওভাবে সাঁতরাতে সাঁতরাতে কোনো কোনো সময় তিমিরা ওদের আবাস ছেড়ে অনেক দূরে চলে যায়। বিশেষ করে ঠাণ্ডা পানির স্রোত থেকে প্রায়ই তারা দূরের কোনো গরম পানির স্রোতের সন্ধানে সাঁতরাতে সাঁতরাতে চলে যায়। আর এ ক্ষেত্রে ধূসর তিমির কোনো জুড়ি নেই। বছরে ওরা সাগরে গড়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মাইল পথ পরিভ্রমণ করে।
অনেক তিমিই কিন্তু খেলতে পছন্দ করে। যেমন কোনো তিমির ইচ্ছা হলো তো হঠাৎ সাগর জল থেকে লাফিয়ে শূন্যে উঠে পড়ল খানিকটা। আবার ধপাস করে পানি ছিটিয়ে পড়ল সাগরের বুকে। তবে ওটা যে নেহাত খেলার জন্যই ওরা করে তা ভেবো না। অনেক সময় ওদের বিশাল বপুতে কিছু পরজীবী প্রাণী বাসা বাঁধে যেমন আমাদের মাথায় উকুন হয়। ওগুলোকে ঝেড়ে ফেলে দিতেও ওরা এমনটি করে থাকে। মাঝে মধ্যে তিমিরা সাগরের বুকে শুধু মাথাটা উঁচু করে একবার ঘুরিয়ে চার পাশটা দেখে নেয়, দেহকে পানির উপরে তোলে না। তিমিরা কিন্তু বেশ সামাজিক। ওরা দলে দলে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। তিমির দলকে বলে পড। তবে কোনো বিপদ দেখলে পানির উপরে বাতাসে খাড়া করে লেজ উঠিয়ে ছুটতে থাকে। এ সময় বিকট আওয়াজ হয়। সে শব্দেই দলের অন্য তিমিরা সতর্ক হয়ে যায়। তবে তিমিদের দলটা প্রধানত হয় মায়ের সাথে শিশু তিমিদের নিয়ে। দাঁতাল তিমিরা তো দল ছাড়া নড়েই না, শিকার করলেও দলেবলে করে।
মা তিমি সাধারণত এক থেকে তিন বছর পর একটা বাচ্চার জন্ম দেয়। ওদের গর্ভধারণ কাল ৯ থেকে ১৮ মাস। তবে অবাক কাণ্ড কি জানো? তিমির বাচ্চা পেট থেকে বেরিয়েই কিন্তু সাঁতার কাটে। তাহলে কি তিমির বাচ্চারা পেটে থাকতেই সাঁতার শিখে যায়? আর এক অবাক ব্যাপার হলো, মা তিমি তার বাচ্চাকে প্রায় এক বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ায় ও যত্ন নেয়। শিশু তিমিরা তত দিন মায়ের সাথে সাথেই ঘুরে বেড়ায়। দুধ খেয়ে খেয়ে শিশু তিমির ওজন দিনে প্রায় ১০০ কেজির মতো বাড়তে থাকে।
তিমিরা নানা রকম শব্দ করে নিজেদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান করে। এমনকি তিমিরা গানও গায়। বিশেষজ্ঞরা হ্যাম্পব্যাক বা কুব্জপৃষ্ঠ তিমির ৩০ মিনিট পর্যন্ত গান রেকর্ড করেছেন। তিমি কেন গান গায়, সে আর এক রহস্যের জাল। দাঁতাল তিমিরা অন্য তিমিদের চেয়ে বেশ জোরে শিস দেয়ার মতো করে গান গায় ওদের সাথীকে কাছে ডাকতে অথবা বাচ্চাদের ঠিক পথে চলার কথা বলতে। অবশ্য ভবঘুরের মতো শিকারের সন্ধানে ঘোরার সময়ও দাঁতাল তিমিরা গান গায় বলে জানা গেছে। তবে অন্য তিমিরা গান গায় খুব নিচু স্বরে, কোমল করে। তবে নীলতিমি যত জোরে শব্দ করতে পারে অত জোরে পৃথিবীর আর কোনো প্রাণী শব্দ করতে পারে না। সাগরে নীলতিমির কণ্ঠস্বর ৫০০ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়।
No comments