স্মরণ- দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ১৯০৮ সালের ১ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার তেঘরিয়া গ্রামে মাতামহ মরমি কবি হাছন রাজার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। আজরফ ছিলেন শিক্ষাবিদ, দার্শনিক ও লেখক। দুহালিয়ার মধ্য ইংরেজি স্কুলে তিনি পড়াশোনা করেন। ছাত্রজীবনে প্রতিটি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। ১৯৩০ সালে সিলেটের মুরারি চাঁদ কলেজ থেকে ডিস্টিংশনসহ বিএ এবং ১৯৩২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। মোহাম্মদ আজরফ ১৯৩৭ সালে মুরারি চাঁদ কলেজে শিক্ষক পদে নিযুক্তি পেয়েও পারিবারিক অসুবিধার কারণে যোগ দেননি। প্রায় এক যুগ পরে ১৯৪৮ সালে তিনি সুনামগঞ্জ কলেজের প্রভাষক নিযুক্ত হন এবং ১৯৫৪ সালে অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৬৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ঢাকার আবুজর গিফারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগে যোগ দিয়ে আসাম প্রাদেশিক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি ছিলেন মওলানা ভাসানীর সমর্থক। ১৯৪৬ সালে আসামে বহিরাগত মুসলমানদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে এবং ১৪৪ ধারা অমান্য করার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং শিলচরে ১০ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন।
মোহাম্মদ আজরফ ছিলেন ভাষা আন্দোলনের দৃঢ় সমর্থক। ১৯৪৮ সালে নও বেলাল পত্রিকার সম্পাদক থাকাকালে ওই পত্রিকায় ভাষা আন্দোলনের সমর্থনে লেখা শুরু করলে তার জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়। একই কারণে তাকে ১৯৫৪ সালে সুনামগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তিনি ১৯৪৯ সালে তমদ্দুন মজলিসের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং আজীবন এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন।
একজন বিশিষ্ট দার্শনিক ও ইসলামি চিন্তাবিদ হিসেবে তিনি পাকিস্তান, ভারত, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন এবং গবেষণামূলক প্রবন্ধ পাঠ করে প্রশংসা অর্জন করেন। সাহিত্য, দর্শন, সমাজ, সংস্কৃতি বিষয়ে মোহাম্মদ আজরফের প্রায় ৬০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং ৪০টিরও বেশি গ্রন্থ অপ্রকাশিত রয়েছে। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা জার্নালে তার শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে তমদ্দুনের বিকাশ, ইসলাম ও মানবতাবাদ, মরমি কবি হাছন রাজা, ধর্ম ও দর্শন ইত্যাদি। জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অসাধারণ অবদানের জন্য মোহাম্মদ আজরফ স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, আন্তর্জাতিক মুসলিম সংহতি পুরস্কার, একুশে পদক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন পুরস্কার, শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৩ সালে তাকে জাতীয় অধ্যাপক পদ প্রদান করে। ১৯৯৯ সালের ১ নভেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন।
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগে যোগ দিয়ে আসাম প্রাদেশিক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি ছিলেন মওলানা ভাসানীর সমর্থক। ১৯৪৬ সালে আসামে বহিরাগত মুসলমানদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে এবং ১৪৪ ধারা অমান্য করার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং শিলচরে ১০ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন।
মোহাম্মদ আজরফ ছিলেন ভাষা আন্দোলনের দৃঢ় সমর্থক। ১৯৪৮ সালে নও বেলাল পত্রিকার সম্পাদক থাকাকালে ওই পত্রিকায় ভাষা আন্দোলনের সমর্থনে লেখা শুরু করলে তার জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়। একই কারণে তাকে ১৯৫৪ সালে সুনামগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তিনি ১৯৪৯ সালে তমদ্দুন মজলিসের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং আজীবন এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন।
একজন বিশিষ্ট দার্শনিক ও ইসলামি চিন্তাবিদ হিসেবে তিনি পাকিস্তান, ভারত, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন এবং গবেষণামূলক প্রবন্ধ পাঠ করে প্রশংসা অর্জন করেন। সাহিত্য, দর্শন, সমাজ, সংস্কৃতি বিষয়ে মোহাম্মদ আজরফের প্রায় ৬০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং ৪০টিরও বেশি গ্রন্থ অপ্রকাশিত রয়েছে। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা জার্নালে তার শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে তমদ্দুনের বিকাশ, ইসলাম ও মানবতাবাদ, মরমি কবি হাছন রাজা, ধর্ম ও দর্শন ইত্যাদি। জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অসাধারণ অবদানের জন্য মোহাম্মদ আজরফ স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, আন্তর্জাতিক মুসলিম সংহতি পুরস্কার, একুশে পদক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন পুরস্কার, শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৩ সালে তাকে জাতীয় অধ্যাপক পদ প্রদান করে। ১৯৯৯ সালের ১ নভেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন।
No comments