আল-আকসা নিয়ে নতুন ইন্তিফাদার কথা ভাবছে ফিলিস্তিনি তরুণরা
হিশাম। বয়স ১৪ বছর। তার জন্ম হয়েছে
দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার (প্রতিরোধ) শুরুর সময়। এখন সে স্বপ্ন দেখছে,
জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদ ‘রক্ষায়’ ভূমিকা পালন করতে। হিশাম এবং তার
সমবয়সীদের কানে কেবল ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ আল-আকসার কথাই বাজে।
জেরুসালেমের ওল্ড সিটির কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মসজিদ কমপ্লেক্স তাদের কাছে ইসরাইলি দখলদারিত্ব আর নির্যাতনের প্রতীক। এর অবসানে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা অবশ্য তাদের আসল নাম অপরিচিত কারো কাছে প্রকাশ করে না।
অবশ্য ইসরাইলিরা তাদের দমিতে দিতে সক্রিয়। যখন তখন তারা হানা দিয়ে এসব তরুণকে আটক করে। তাদের ভাগ্য যেন কারাগারে প্রবেশ আর বের হওয়ার মধ্যেই নিহিত। হিশামকেও নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে অংশ নেয়ার অভিযোগে এক সপ্তাহ কারাগারে থাকতে হয়েছে। ২০ বছরের মোহাম্মদকে চার মাস কারাগারে থাকতে হয়েছিল। কিন্তু বন্দিজীবন তাদের ভীত করতে পারেনি। তার কথা : ‘জেরুসালেমে শান্তি নেই। তাই দরকার ইন্তিফাদা।’ আবারো ইসরাইলি সৈন্যদের সাথে লড়তে সে তৈরি।
সে জানায়, মুসলমানদের আল-আকসায় প্রবেশ করতে না দেয়া হলেও ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ঠিকই দেয়া হচ্ছে।
ইসরাইলিরা প্রায়ই ৫০ বছরের কম বয়স্ক কোনো মুসলমানকে আল-আকসায় প্রবেশ করতে দেয় না। এক সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ইসরাইলিরা আল-আকসা বন্ধই করে দিয়েছিল।
ওয়েল মাহমুদ নামে এক সমাজকর্মী জানান, পূর্ব জেরুসালেমে আরব এলাকাগুলো ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা অব্যাহতভাবে দখল করতে থাকায় ক্রোধের সৃষ্টি হচ্ছে। পূর্ব জেরুসালেমে ইহুদিদের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন দুই লাখে পৌঁছেছে। আর ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখে। এ কারণেই ক্ষোভ বাড়ছে তাদের মধ্যে।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই।
No comments