‘ইশকুলে আইতে অখন ভালা লাগে’
‘ইশকুলে আইতে অখন ভালা লাগে। আর বাদ দিতাম
নায়।’—বলছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র বিজয় নায়েক। সে মৌলভীবাজারের জুড়ী
উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের ছোট ধামাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী।
>>শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুদে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ছোট ধামাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি ‘মিড ডে মিল (দুপুরের খাবার)’ কর্মসূচি চালু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ দুপুরে তাদের খিচুড়ি খেতে দেওয়া হয়। ছবি: কল্যাণ প্রসূন
>>শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুদে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ছোট ধামাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি ‘মিড ডে মিল (দুপুরের খাবার)’ কর্মসূচি চালু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ দুপুরে তাদের খিচুড়ি খেতে দেওয়া হয়। ছবি: কল্যাণ প্রসূন
কয়েক
দিন আগে বিজয় স্কুল ফাঁকি দিলেও এখন সে আর সেটা করছে না। কারণ, গত বুধবার
থেকে ছোট ধামাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হয়েছে ‘মিড ডে মিল
(দুপুরের খাবার)’ কর্মসূচি।
আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, পাঠদান কার্যক্রমের ফাঁকে খুদে শিক্ষার্থীদের সামনের টেবিলে প্লেট দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষকেরা খিচুড়ি পরিবেশন করেন।
স্কুলে থাকা চারজন শিক্ষক বলেন, স্কুলটিতে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬৪ জন। এর মধ্যে বেশির ভাগই পার্শ্ববর্তী ধামাই চা-বাগানের দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান। কিন্তু গড়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি থাকত ৪৫ থেকে ৫০ জন। তাই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে ‘মিড ডে মিল’ চালু হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক অশোক রঞ্জন পাল হাজিরা খাতা দেখিয়ে বলেন, ‘মিড ডে মিল’ চালুর আগে শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রতিদিন অর্ধেকের মতো হতো। কিন্তু, এখন এসব শ্রেণিতে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।
অশোক রঞ্জন পাল জানান, খিচুড়ি তৈরির জন্য সচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন বাড়ি থেকে মুঠো চাল আনে। এ ছাড়া এলাকাবাসীর অনুদানে অন্যান্য উপকরণ কেনা হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিজ মিঞা বলেন, ‘উপজেলার ৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪টিতে মিড ডে মিল কার্যক্রম চলছে। বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এ কার্যক্রম চালু করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, পাঠদান কার্যক্রমের ফাঁকে খুদে শিক্ষার্থীদের সামনের টেবিলে প্লেট দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষকেরা খিচুড়ি পরিবেশন করেন।
স্কুলে থাকা চারজন শিক্ষক বলেন, স্কুলটিতে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬৪ জন। এর মধ্যে বেশির ভাগই পার্শ্ববর্তী ধামাই চা-বাগানের দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের সন্তান। কিন্তু গড়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি থাকত ৪৫ থেকে ৫০ জন। তাই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে ‘মিড ডে মিল’ চালু হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক অশোক রঞ্জন পাল হাজিরা খাতা দেখিয়ে বলেন, ‘মিড ডে মিল’ চালুর আগে শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রতিদিন অর্ধেকের মতো হতো। কিন্তু, এখন এসব শ্রেণিতে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।
অশোক রঞ্জন পাল জানান, খিচুড়ি তৈরির জন্য সচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন বাড়ি থেকে মুঠো চাল আনে। এ ছাড়া এলাকাবাসীর অনুদানে অন্যান্য উপকরণ কেনা হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিজ মিঞা বলেন, ‘উপজেলার ৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪টিতে মিড ডে মিল কার্যক্রম চলছে। বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এ কার্যক্রম চালু করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
No comments