সারা দেশে পুলিশের ধরপাকড়- দেশকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলবে
দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সাথে সাথে পুলিশের নির্যাতন ও গ্রেফতার অভিযান বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন শত শত বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের আগে সারা দেশে যে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তাতে বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার অভিযোগ এনে হাজার হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এখন পুলিশ যাদের গ্রেফতার করছে, তাদের সেসব মামলায় আসামি হিসেবে দেখানো হচ্ছে। আবার বিভিন্ন ধরনের মামলার ভয় দেখিয়ে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে যা ‘গ্রেফতারবাণিজ্য’ নামে বহুলালোচিত।
এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার যে শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা হচ্ছেন, এমন নয়। সাধারণ মানুষকে আটকের পর পুলিশের অর্থ আদায়ের ঘটনাও ঘটেছে। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে, কোনো ব্যক্তি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর যারা টাকা, অর্থাৎ উৎকোচ দিতে পারছেন তাদের অনেককে ছেড়ে দেয়া হলেও যারা টাকা দিতে পারছেন না, তাদের বিভিন্ন মামলায় আসামি হিসেবে দেখিয়ে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্মূল করতে দেশকে কার্যত একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হচ্ছে। পুুলিশ যখন খুশি যাকে ইচ্ছা গ্রেফতার করছে। এরপর তাদের বিরোধী দলের রাজনীতিক, বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী ও নাশকতায় লিপ্ত বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।
দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার এখন নির্বাসনে চলে গেছে অনেকটাই। পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে পরিচালিত হচ্ছে দলীয় রাজনীতি দিয়ে। ক্ষমতাসীন দল যেভাবে, এসব বাহিনীকে ব্যবহার করতে চাইছে, তারা সেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দেশে যে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে, তাতে কৃষক, স্কুলশিক্ষক, ছাত্র, ব্যাংক কর্মকর্তা- কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট আছে, এমন পরিবারের সদস্যরা এখন ভীতিকর সময় পার করছেন।
সরকার ভিন্ন মতাবলম্বী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ‘শায়েস্তা করা’ যে মিশন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে, তাতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বরং দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো মারাত্মক রূপ নিতে যাচ্ছে। দমনপীড়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার এই কৌশল অতীতেও বিভিন্ন শাসকেরা নিলেও শেষ পর্যন্ত তা বুমেরাং হয়ে উঠেছিল। তখন সাধারণ মানুষ আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। দেশ আরো পিছিয়ে পড়ে। আমরা আশা করব, নিপীড়নমূলক শাসনের পরিবর্তে সরকার দেশে স্থিতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ নেবে। ধরপাকড় বন্ধ করে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের উদ্যোগ নেবে।
এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার যে শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা হচ্ছেন, এমন নয়। সাধারণ মানুষকে আটকের পর পুলিশের অর্থ আদায়ের ঘটনাও ঘটেছে। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে, কোনো ব্যক্তি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর যারা টাকা, অর্থাৎ উৎকোচ দিতে পারছেন তাদের অনেককে ছেড়ে দেয়া হলেও যারা টাকা দিতে পারছেন না, তাদের বিভিন্ন মামলায় আসামি হিসেবে দেখিয়ে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্মূল করতে দেশকে কার্যত একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হচ্ছে। পুুলিশ যখন খুশি যাকে ইচ্ছা গ্রেফতার করছে। এরপর তাদের বিরোধী দলের রাজনীতিক, বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী ও নাশকতায় লিপ্ত বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।
দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার এখন নির্বাসনে চলে গেছে অনেকটাই। পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে পরিচালিত হচ্ছে দলীয় রাজনীতি দিয়ে। ক্ষমতাসীন দল যেভাবে, এসব বাহিনীকে ব্যবহার করতে চাইছে, তারা সেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দেশে যে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে, তাতে কৃষক, স্কুলশিক্ষক, ছাত্র, ব্যাংক কর্মকর্তা- কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট আছে, এমন পরিবারের সদস্যরা এখন ভীতিকর সময় পার করছেন।
সরকার ভিন্ন মতাবলম্বী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ‘শায়েস্তা করা’ যে মিশন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে, তাতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বরং দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো মারাত্মক রূপ নিতে যাচ্ছে। দমনপীড়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার এই কৌশল অতীতেও বিভিন্ন শাসকেরা নিলেও শেষ পর্যন্ত তা বুমেরাং হয়ে উঠেছিল। তখন সাধারণ মানুষ আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। দেশ আরো পিছিয়ে পড়ে। আমরা আশা করব, নিপীড়নমূলক শাসনের পরিবর্তে সরকার দেশে স্থিতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ নেবে। ধরপাকড় বন্ধ করে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের উদ্যোগ নেবে।
No comments