বিচার বিভাগের স্বাধীনতা- সরকারের অবস্থান ন্যায়সঙ্গত নয়
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি বার বার অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। সাংবিধানিকভাবে অনেক কিছু বলার সুযোগ থাকলেও বাস্তবে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ এতটাই প্রবল যে, বিচার বিভাগ কার্যত রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক অধিকার অকার্যকর হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি দিন দিন আরো জটিল হচ্ছে।
গত আট মাসে কয়েক দফায় ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়নের আদেশ দিয়েছে সরকার। এসব বদলি ও পদায়নে আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতির কথা উল্লেখ করা হলেও এ ক্ষেত্রে বরাবরই নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব প্রাধান্য পেয়েছে।
এর মধ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৬ জন, ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৪ জন, ৩ মার্চ ২৭ জন, ১ এপ্রিল ১৫ জন, ৯ জুন ২১ জন এবং সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট আটজন, এরপর আরো দু’জন জেলা ও দায়রা জজকে বদলি, পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে। এ ধরনের কাজগুলোকে রুটিন কাজ হিসেবে দেখানো হলেও এর নেপথ্যে নির্বাহী বিভাগের ইচ্ছার প্রতিফলন স্পষ্ট।
সাধারণভাবে মনে করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় যত দিন পর্যন্ত না হবে, তত দিন নিন্ম আদালতের বিচারকদের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ব বহাল থাকবে। নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্বও বহাল থেকে যাবে। এর ফলে যে উদ্দেশ্যে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করা হয়েছিল, তা কার্যত অর্থহীন হয়ে পড়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিচার বিভাগকে আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথকীকরণের ঘোষণা দেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়ার কথা বলা হলেও তাদের নীতিগত ও কার্যকর অবস্থান স্পষ্টত বিপরীতধর্মী। নিম্ন আদালত থেকে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির কথা উল্লেখ থাকলেও এর সবই চলছে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ও পরিকল্পনা মতো। যা সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন মাত্র। অথচ পুরো বিষয়টির একক এখতিয়ার শুধুই সুপ্রিম কোর্টের।
এখন যা চলছে তা বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ মামলার রায়ের সাথে কোনোভাবেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ মামলার রায়ে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় করার নির্দেশনা থাকলেও বর্তমান সরকারের এক মেয়াদ শেষ হয়ে আরেক মেয়াদের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে তাদের জবাবদিহিতার মানসিকতাও নেই। এ ধরনের অবজ্ঞা শুধু অনৈতিকই নয়, সরকার পরিচালনায় উচ্চ আদালত, আইন ও একটি গ্রহণযোগ্য রায়কে ধৃষ্টতার সাথে এড়িয়ে চলার মতো অপরাধ। আমরা এর অবসান চাই। নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব ও সরকারের রাজনৈতিক অভিলাস পূরণের মন্দ তৎপরতা বন্ধের উদ্যোগ চাই। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালত ভূমিকা পালন না করলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক দায় এড়ানোও সম্ভব হবে না।
গত আট মাসে কয়েক দফায় ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়নের আদেশ দিয়েছে সরকার। এসব বদলি ও পদায়নে আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতির কথা উল্লেখ করা হলেও এ ক্ষেত্রে বরাবরই নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব প্রাধান্য পেয়েছে।
এর মধ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৬ জন, ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৪ জন, ৩ মার্চ ২৭ জন, ১ এপ্রিল ১৫ জন, ৯ জুন ২১ জন এবং সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট আটজন, এরপর আরো দু’জন জেলা ও দায়রা জজকে বদলি, পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে। এ ধরনের কাজগুলোকে রুটিন কাজ হিসেবে দেখানো হলেও এর নেপথ্যে নির্বাহী বিভাগের ইচ্ছার প্রতিফলন স্পষ্ট।
সাধারণভাবে মনে করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় যত দিন পর্যন্ত না হবে, তত দিন নিন্ম আদালতের বিচারকদের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ব বহাল থাকবে। নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্বও বহাল থেকে যাবে। এর ফলে যে উদ্দেশ্যে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করা হয়েছিল, তা কার্যত অর্থহীন হয়ে পড়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিচার বিভাগকে আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথকীকরণের ঘোষণা দেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়ার কথা বলা হলেও তাদের নীতিগত ও কার্যকর অবস্থান স্পষ্টত বিপরীতধর্মী। নিম্ন আদালত থেকে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির কথা উল্লেখ থাকলেও এর সবই চলছে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ও পরিকল্পনা মতো। যা সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন মাত্র। অথচ পুরো বিষয়টির একক এখতিয়ার শুধুই সুপ্রিম কোর্টের।
এখন যা চলছে তা বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ মামলার রায়ের সাথে কোনোভাবেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ মামলার রায়ে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় করার নির্দেশনা থাকলেও বর্তমান সরকারের এক মেয়াদ শেষ হয়ে আরেক মেয়াদের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে তাদের জবাবদিহিতার মানসিকতাও নেই। এ ধরনের অবজ্ঞা শুধু অনৈতিকই নয়, সরকার পরিচালনায় উচ্চ আদালত, আইন ও একটি গ্রহণযোগ্য রায়কে ধৃষ্টতার সাথে এড়িয়ে চলার মতো অপরাধ। আমরা এর অবসান চাই। নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব ও সরকারের রাজনৈতিক অভিলাস পূরণের মন্দ তৎপরতা বন্ধের উদ্যোগ চাই। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালত ভূমিকা পালন না করলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক দায় এড়ানোও সম্ভব হবে না।
No comments