আমার দেশ কার্যালয়ে রহস্যময় আগুন- মিডিয়ার প্রতি বৈরিতার অবসান প্রয়োজন
সরকারের নির্দেশে প্রকাশনা বন্ধ হওয়ার দেড় বছরের মাথায় কার্যালয় অন্যত্র স্থানান্তরের আগ মুহূর্তে এক রহস্যময় আগুনে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার পুরো অফিস ভস্মীভূত হয়ে গেল। অগ্নিকাণ্ডে ওই ভবনে থাকা দুই টিভি চ্যানেল এনটিভি ও আরটিভির তেমন কোনো তি না হলেও সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বিএসইসি ভবনটির নিয়ন্ত্রক শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জানিয়েছেন, এর আগে ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এই ভবনে আগুন লেগে এনটিভি, আরটিভি ও আমার দেশসহ ১০টি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় পুড়ে যাওয়ার যে ঘটনা ছিল তার তদন্ত— প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। নতুন অগ্নিকাণ্ডেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে; কিন্তু প্রতিবেদন এই সময়ের মধ্যে আদৌ দেয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
আমার দেশ কার্যালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিশ্লেষণ করে এ ঘটনা রহস্যজনক বলে বিভিন্ন পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে এর পেছনে কোনো নাশকতা থাকলে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও দাবি করা হচ্ছে। ভিন্ন মতের পত্রিকা হিসেবে বিশেষভাবে খ্যাত এই জনপ্রিয় পত্রিকাটি কয়েক বছর ধরে বারবার বৈরিতার শিকার হচ্ছে। পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ এবং এর সম্পাদককে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। এর নিজস্ব ভবন ও ছাপাখানা সিল করে রাখা হয়েছে।
২০১৩ সালের ৬ জুন থেকে সরকার পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়ার পর এর পাঁচ শতাধিক সংবাদকর্মী এখন বেকার হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এর মধ্যে নতুন উদ্যমে অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে ব্যয়বহুল অফিস ছেড়ে ছোট পরিসরের অফিস নিয়ে কাজ করার জন্য গুলশানের নিকেতনে কর্তৃপক্ষ অফিস নিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল ভাড়ার খরচ কমিয়ে পত্রিকাটির স্টাফদের যথাসম্ভব বেতন পরিশোধ করা। এর মধ্যে এই ঘটনা ঘটল।
গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং সমাজের দর্পণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেকোনো দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর থাকার জন্য গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া প্রধান শর্ত মনে করা হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যম বারবার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। সাংবাদিকেরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন নানা প্রক্রিয়ায় বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এর মূল শিকার হচ্ছে ভিন্ন মতের পত্রিকাগুলো। সরকারের যেকোনো ধরনের সমালোচনা এবং বিরোধী মত প্রকাশ বন্ধ করতে কিছু নীতিনির্ধারক এটাকে অবলম্বন করে নিতে চাইছেন। এতে সরকারের ভুলত্রুটি ও শাসনব্যবস্থার অসঙ্গতিগুলো জনগণ জানতে না পারায় সাময়িকভাবে রাষ্ট্রে একতরফা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হতে পারে; কিন্তু মত প্রকাশ হতে না দিলে ক্ষোভ অসন্তোষ ধূমায়িত হতে থাকে আর এর প্রকাশ ঘটে অস্বাভাবিক কোনো উপায়ে, যা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমরা মনে করি, মিডিয়া-বৈরিতা শেষ পর্যন্ত কারো জন্যই কল্যাণকর হয় না। ভিন্ন মত প্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারে সরকারের আরো সহনশীল হওয়া প্রয়োজন। এ ধরনের পদক্ষেপই রাষ্ট্র এবং জনগণের জন্য চূড়ান্তভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে।
আমার দেশ কার্যালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিশ্লেষণ করে এ ঘটনা রহস্যজনক বলে বিভিন্ন পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে এর পেছনে কোনো নাশকতা থাকলে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও দাবি করা হচ্ছে। ভিন্ন মতের পত্রিকা হিসেবে বিশেষভাবে খ্যাত এই জনপ্রিয় পত্রিকাটি কয়েক বছর ধরে বারবার বৈরিতার শিকার হচ্ছে। পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ এবং এর সম্পাদককে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। এর নিজস্ব ভবন ও ছাপাখানা সিল করে রাখা হয়েছে।
২০১৩ সালের ৬ জুন থেকে সরকার পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়ার পর এর পাঁচ শতাধিক সংবাদকর্মী এখন বেকার হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এর মধ্যে নতুন উদ্যমে অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে ব্যয়বহুল অফিস ছেড়ে ছোট পরিসরের অফিস নিয়ে কাজ করার জন্য গুলশানের নিকেতনে কর্তৃপক্ষ অফিস নিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল ভাড়ার খরচ কমিয়ে পত্রিকাটির স্টাফদের যথাসম্ভব বেতন পরিশোধ করা। এর মধ্যে এই ঘটনা ঘটল।
গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং সমাজের দর্পণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেকোনো দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর থাকার জন্য গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া প্রধান শর্ত মনে করা হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যম বারবার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। সাংবাদিকেরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন নানা প্রক্রিয়ায় বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এর মূল শিকার হচ্ছে ভিন্ন মতের পত্রিকাগুলো। সরকারের যেকোনো ধরনের সমালোচনা এবং বিরোধী মত প্রকাশ বন্ধ করতে কিছু নীতিনির্ধারক এটাকে অবলম্বন করে নিতে চাইছেন। এতে সরকারের ভুলত্রুটি ও শাসনব্যবস্থার অসঙ্গতিগুলো জনগণ জানতে না পারায় সাময়িকভাবে রাষ্ট্রে একতরফা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হতে পারে; কিন্তু মত প্রকাশ হতে না দিলে ক্ষোভ অসন্তোষ ধূমায়িত হতে থাকে আর এর প্রকাশ ঘটে অস্বাভাবিক কোনো উপায়ে, যা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমরা মনে করি, মিডিয়া-বৈরিতা শেষ পর্যন্ত কারো জন্যই কল্যাণকর হয় না। ভিন্ন মত প্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারে সরকারের আরো সহনশীল হওয়া প্রয়োজন। এ ধরনের পদক্ষেপই রাষ্ট্র এবং জনগণের জন্য চূড়ান্তভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে।
No comments