কালের ধ্বনির মোড়ক উন্মোচন

ষ  তাহমিনা তানি

গত ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিটে নজরুল মঞ্চে ইমরান মাহফুজ সম্পাদিত ছোট কাগজ কালের ধ্বনির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট্য সাহিত্যিক প্রফেসর নুরুল করিম নাসিম, কবি জাকির আবু জাফর, নজরুল গবেষক ড. তাহা ইয়াছিন, কবি ও সাংবাদিক সৌমিত্র দেবসাহ, কবি হুসাইন আজাদ, কালের ধ্বনির  সম্পাদক ইমরান মাহফুজসহ আরো অনেকে।

সত্যি, চমৎকার একটি ছোট কাগজ ইমরান মাহফুজ সম্পদিত কালের ধ্বনি। তার এই দুঃসাহসিক অভিযান সবাইকেই অবিভূত করে রেখেছে। বইমেলায় প্রকাশিত এই সংখ্যাটি অসাধারণ ও অতুল্য। প্রতিটি লেখার মাঝে আর কবিতার প্রতিটি পঙ্তিতে যে ভাব-ভঙ্গিমা-মাধুর্যতা  লুকিয়ে আছে, তা সহজেই পাঠকের হৃদয় কেড়ে নেয়। সংখ্যাটি সংগ্রহে রাখার মতো নান্দনিক সব কবি-সাহিত্যিকদের লেখা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলা ভাষার এক অবাধ্য কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন ভাইকে নিয়ে দারুণ সব ভাবনা হৃদয়ে গেঁথে থাকার মতোই।

কালের ধ্বনির সম্পাদক ইমরান মাহফুজ বলেন, সাহিত্যের অঙ্গনে এই কাগজটি সবার কাছে আলোড়িত ও আনন্দিত হয়ে উঠুক এবং পাঠকের কাছে সাহিত্য গগনের পূর্ণিমা চাঁদ হয়ে থাকুক। তার প্রতিটি কাজ যেন দেশ ও জনগণের স্বার্থে নিবেদিত হয়। এই চেষ্টা থাকবে সদাসর্বদা।

কালের ধ্বনির এই সংখ্যাটি শেষ হওয়ার আগেই কুড়িয়ে নিন লিটলম্যাগ চত্বরে কালের ধ্বনির স্টল থেকে। সবাই আমন্ত্রণ ও ধন্যবাদ। কপি সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করুন-০১৮১৪৯৩২৪২৩, ০১৯১১৭৭৪৪৮০।

�ার�����߆� ধরণ, শব্দ চয়ন, ভাষাশৈলী, বিশ্লেষণ… উল্লেখ করার মতোই। শালীনতাবোধ থাকে যথেষ্ট, যা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে। শুভ্রকরবী উপন্যাসটি তেমনই একটি ভালো লাগার মতো গ্রন্থ। তার লেখায় এক ধরনের জাদু আছে। অতি সাধারণ বিষয়কে তিনি অসাধারণ করে তোলেন। এর মাঝে এমন কিছু বিষয় আছে যার সাথে আমরা খুবই পরিচিত। যেমন তিনি এক জায়গায় লিখেছেনÑ …খালাম্মা শব্দটার মাঝে মাটির গন্ধ আছে। আন্তরিকতার ছোঁয়া পাওয়া যায়। অতি আপন মনে হয়। যার কাছে রয়েছে অনেক অনেক স্নেহ মমতা। থাকেন সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল মায়াময়। খুবই সাদাসিধে এবং মাটির মানুষ বলা যায়। অন্যায় আবদার আদিখ্যেতাও চলে, যা মায়ের কাছেও চলে না। আর আন্টি শব্দটার মাঝে রয়েছে ইট-পাথরের ছোঁয়া। কঠিন কঠিন ভাব। তাকে খালাম্মা সম্বোধন করলে স্বস্তি পাওয়া যায় না। এই শব্দটা বর্তমান যুগের কিন্ডারগার্টেনের শিশুদের মুখেই মানায়। যারা কঠিনের মাঝে বসবাস করে।



এর পুরোটাজুড়ে আনন্দ পাওয়ার মতো বেশ কিছু রম্য অনুচ্ছেদ রয়েছে। ক্যাম্পাসে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা মানেই বুঝতে পারছেন। তৃতীয় ভাগে গিয়ে পাওয়া যাবে রোমান্টিক ছোঁয়া। সেখানে একটি জায়গায় লেখা আছে : ইসতিয়াক অত্যন্ত যতেœর সাথে ভালোবাসায় লালিত হৃদয়ের খাঁচায় বন্দী তার প্রিয় বিহঙ্গকে খোলা আকাশ দেখিয়ে পিঞ্জরের কপাট খুলে দিলো। বিহঙ্গ শুধু একবারই তাকাল অন্তরীক্ষে। ছাড়া পেয়েও তার মাঝে কোনো উল্লাস দেখা যায়নি। দূর গগনে উড়তে গিয়েও উড়েনি। শুধু অপিল্লব প্রসারিত করে ইসতিয়াকের নিষ্কলুষ নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।

মোট কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকরো টুকরো স্মৃতিগাথা নিয়ে উপন্যাসটি রচিত হয়েছে। আমার বিশ্বাস, যুবসমাজ অবশ্যই গ্রহণ করবে এবং ছাত্রজীবন যারা পার করে এসেছে তারা অনায়াশে ফিরে পাবে হারিয়ে যাওয়া সোনালি দিনগুলো। উপন্যাসটির প্রথম দিকে তেমন কোনো রোমান্টিক ছোঁয়া পাওয়া না গেলেও আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসবে একটা সুপ্ত রোমাঞ্চ। শেষটা হবে রবীন্দ্রনাথের ভাষায়Ñ শেষ হয়েও হইল না শেষ। চমৎকার একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রেমকাহিনী, যা সচরাচর পাওয়া যায় না।

তবে শুভ্রকরবীতে কাহিনী বিন্যাস, শব্দগাঁথুনী ও ভাষাগত দিক দিয়ে শতভাগ শালীনতাবোধ বজায় রাখা হয়েছে। কাজেই এটি একটি পড়ার মতো বই। কিশোর থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব শ্রেণীর মানুষই এটি পড়তে পারবে। নিঃসন্দেহে প্রিয়জনদের উপহার দেয়া কিংবা সংগ্রহে রাখার মতোই একটি বই। বইটি পাওয়া যায় বইমেলার ১১৬ নম্বর স্টলে। প্রকাশ করেছে- প্রিয়মুখ প্রকাশনী।

লিখেছেন : জুয়েল মাহমুদ

No comments

Powered by Blogger.