ফাগুনের গান আর গণসঙ্গীতের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি দাবি
ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনÑ পয়লা ফাল্গুন ছিল গতকাল। ঢাকা বিশ্ব¦বিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে কেন্দ্র করে চলে বসন্তবরণ উৎসব।
তবে
এবারের উৎসবে ভাটা পড়েছে শাহবাগের আন্দোলনের কারণে। সব যুদ্ধাপরাধীর
ফাঁসির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশপথ শাহবাগ মোড়ে চলছে লাগাতার
আন্দোলন। ফলে এ আন্দোলনেও লেগেছে বসন্তের ঢেউ। বিগত দিনের মতো গতকালও
আন্দোলনের নবম দিনে স্বাভাবিক কর্মসূচির পাশাপাশি ফাগুনের গান ও গণসঙ্গীতের
মাধ্যমে তাদের দাবি জানায় আন্দোলনকারীরা। গোধূলিলগ্নে কয়েক শ’ মোমবাতি
প্রজ্বলিত করা হয়। রাস্তায় ফুল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র ও পতাকা
বানিয়ে প্রদীপ জ্বালায় আন্দোলনকারীরা। গতকাল ফাগুনের প্রথম দিনে শাহবাগ
মোড়ে হলুদ পোশাক পরে আন্দোলনে অংশ নেয় বিভিন্ন সর্বস্তরের মানুষ। বিশেষ
করে তরুণ-তরুণী এবং স্কুল-কলেজের শিার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ল করা যায়।
এ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিার্থীদের জোর করে শাহবাগের আন্দোলনে নিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তা ছাড়া বিভিন্ন বিভাগের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক ও ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষার্থীদের জোর করে শাহবাগে নিয়ে যাচ্ছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
সকাল থেকে আন্দোলন শুরু হওয়ার সাথে সাথে সেখানে জনতার আগমন শুরু হয়। সময় বাড়ার সাথে সাথে মুনষের উপস্থিতি ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পায়। দুপুরে প্রচণ্ড রোদে জনসমাগম কম থাকলেও বিকেলের দিকে পুরো শাহবাগ এলাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তিল ধারণের ঠাঁয় ছিল না কোথাও। এর আগে সারারাত আন্দোলন চালিয়েছে তারা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আলোকে বিকেল ৩টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত ফাগুনের গান এবং গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এ সময় স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা ছাড়াও অনেক পেশাদার শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশ করেন। কয়েক ঘণ্টা গণসঙ্গীত পরিবেশনার সময় ফাগুনের গানের পাশাপাশি চলে প্রতিবাদী গানও। আন্দোলনে আগের কয়েক দিনের মতো গতকালও বিপুল পরিমাণ স্কুল-কলেজের শিার্থীরা অংশ নেয়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফকির আলমগীর, আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও আহকাম উল্লাহ। গতকালও শাহবাগ আন্দোলনে সংহতি জানান বিভিন্ন স্তরের লোক।
ঢাবি শিার্থীদের আনা হচ্ছে : এ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে সাধারণ শিার্থীদের জোর করে শাহবাগ আন্দোলনে যোগ দিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাধ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন হল সূত্র জানায়, অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মসূচির মতো পূর্বঘোষণা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শাহবাগের কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যারা যেতে চাচ্ছেন না তাদের শিবির এবং ছাত্রদল অভিযুক্ত করে হল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে সাধারণ শিার্থীদের শাহবাগের আন্দোলনে নিতে বাধ্য করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা মিছিল এবং সোগানসহকারে লাইব্রেরিতে ঢুকে এবং সেখানে অধ্যয়নরত শিার্থীদের শাহবাগে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এমনকি যারা যাবে না, তাদেরকে শিবির বলে মারধর করা হবে হুমকি দেয়া হয়। একপর্যায়ে লাইব্রেরিতে তালা লাগিয়ে দেয়া হয় বলে অনেক শিার্থী অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় সাধারণ শিার্থীরা তীব্র ােভ প্রকাশ করেন।
ডগস্কোয়াড মোতায়েন : নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রাজধানীর শাহবাগে প্রজন্ম চত্বর। আগের নিরাপত্তাব্যবস্থার সাথে সেখানে র্যাবের ডগস্কোয়াডও মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল প্রথমবারের মতো শাহবাগের আন্দোলনে এ ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখা গেল। যদিও আগে থেকেই শাহবাগের আন্দোলনস্থলের এলাকাজুড়ে বিপুল পুলিশ, র্যাব এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োজিত আছে। সেই সাথে প্রায় অর্ধশতাধিক কোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশের বিশেষ স্কোয়াড ‘সোয়াত’।
বিশেষ পরিচ্ছন্নতাকর্মী : রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ৯ দিন ধরে চলা আন্দোলনে বিপুল পরিমাণ জনসমাগম হচ্ছে। সে সাথে বাড়ছে ময়লা-আবর্জনাও। এসব আবর্জনা পরিষ্কার করতে কাজ করছেন ঢাকা দণি সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। তারা সকালে নিয়মিত কাজের পাশাপাশি দিনের বিভিন্ন সময়ে এসব আবর্জনা পরিষ্কার করেন। প্রায় ১০০ জন পচ্ছিন্নকর্মী এ কাজে নিয়োজিত আছেন বলে জানা গেছে।
এ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিার্থীদের জোর করে শাহবাগের আন্দোলনে নিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তা ছাড়া বিভিন্ন বিভাগের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক ও ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষার্থীদের জোর করে শাহবাগে নিয়ে যাচ্ছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
সকাল থেকে আন্দোলন শুরু হওয়ার সাথে সাথে সেখানে জনতার আগমন শুরু হয়। সময় বাড়ার সাথে সাথে মুনষের উপস্থিতি ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পায়। দুপুরে প্রচণ্ড রোদে জনসমাগম কম থাকলেও বিকেলের দিকে পুরো শাহবাগ এলাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তিল ধারণের ঠাঁয় ছিল না কোথাও। এর আগে সারারাত আন্দোলন চালিয়েছে তারা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আলোকে বিকেল ৩টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত ফাগুনের গান এবং গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এ সময় স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা ছাড়াও অনেক পেশাদার শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশ করেন। কয়েক ঘণ্টা গণসঙ্গীত পরিবেশনার সময় ফাগুনের গানের পাশাপাশি চলে প্রতিবাদী গানও। আন্দোলনে আগের কয়েক দিনের মতো গতকালও বিপুল পরিমাণ স্কুল-কলেজের শিার্থীরা অংশ নেয়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফকির আলমগীর, আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও আহকাম উল্লাহ। গতকালও শাহবাগ আন্দোলনে সংহতি জানান বিভিন্ন স্তরের লোক।
ঢাবি শিার্থীদের আনা হচ্ছে : এ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে সাধারণ শিার্থীদের জোর করে শাহবাগ আন্দোলনে যোগ দিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাধ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন হল সূত্র জানায়, অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মসূচির মতো পূর্বঘোষণা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শাহবাগের কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যারা যেতে চাচ্ছেন না তাদের শিবির এবং ছাত্রদল অভিযুক্ত করে হল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে সাধারণ শিার্থীদের শাহবাগের আন্দোলনে নিতে বাধ্য করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা মিছিল এবং সোগানসহকারে লাইব্রেরিতে ঢুকে এবং সেখানে অধ্যয়নরত শিার্থীদের শাহবাগে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এমনকি যারা যাবে না, তাদেরকে শিবির বলে মারধর করা হবে হুমকি দেয়া হয়। একপর্যায়ে লাইব্রেরিতে তালা লাগিয়ে দেয়া হয় বলে অনেক শিার্থী অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় সাধারণ শিার্থীরা তীব্র ােভ প্রকাশ করেন।
ডগস্কোয়াড মোতায়েন : নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রাজধানীর শাহবাগে প্রজন্ম চত্বর। আগের নিরাপত্তাব্যবস্থার সাথে সেখানে র্যাবের ডগস্কোয়াডও মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল প্রথমবারের মতো শাহবাগের আন্দোলনে এ ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখা গেল। যদিও আগে থেকেই শাহবাগের আন্দোলনস্থলের এলাকাজুড়ে বিপুল পুলিশ, র্যাব এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োজিত আছে। সেই সাথে প্রায় অর্ধশতাধিক কোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশের বিশেষ স্কোয়াড ‘সোয়াত’।
বিশেষ পরিচ্ছন্নতাকর্মী : রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ৯ দিন ধরে চলা আন্দোলনে বিপুল পরিমাণ জনসমাগম হচ্ছে। সে সাথে বাড়ছে ময়লা-আবর্জনাও। এসব আবর্জনা পরিষ্কার করতে কাজ করছেন ঢাকা দণি সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। তারা সকালে নিয়মিত কাজের পাশাপাশি দিনের বিভিন্ন সময়ে এসব আবর্জনা পরিষ্কার করেন। প্রায় ১০০ জন পচ্ছিন্নকর্মী এ কাজে নিয়োজিত আছেন বলে জানা গেছে।
No comments