জালিয়াতি ঠেকাতে ব্যাংকের বড় অঙ্কের ঋণে তদারকি বাড়ানো হচ্ছে by আশরাফুল ইসলাম
জালিয়াতি ঠেকাতে ব্যাংকের বড় অঙ্কের ঋণে তদারকি বাড়ানো হচ্ছে। প্রতিটি
ব্যাংকের বড় অঙ্কের ঋণগ্রহীতাদের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে।
যে
উদ্দেশ্যে নেয়া হচ্ছে ঋণের অর্থ, ঠিক সেই কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না,
অতীতে কী পরিমাণ ঋণ নেয়া হয়েছিল এবং কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল তা
তদারকি করা হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক এ জন্য বিশেষ
সফটওয়্যার চালু করছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি রোববার গভর্নর ড. আতিউর রহমান এ
সফটওয়্যার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, কোনো ব্যাংকের মোট মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি কোনো গ্রাহককে ঋণ দিলেই তা বড় অঙ্কের ঋণ বিবেচিত হয়। এ বড় অঙ্কের ঋণ কোনো ব্যাংক একজন গ্রাহককে দিতে চাইলে আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হতো। এর ফলে কোনো ব্যাংক কী পরিমাণ বড় অঙ্কের ঋণ দিচ্ছে সে সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবহিত থাকত। কিন্তু মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে ২০০৩ সালের পর এ বিধান তুলে দেয়া হয়। তবে একক ঋণের সীমা অর্থাৎ কোনো ব্যাংকের মোট মূলধনের ১৫ শতাংশের বেশি অর্থ কোনো একজন গ্রাহককে নগদ দিতে চাইলে এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ সুযোগে ব্যাংকগুলোতে জালজালিয়াতি বাড়তে থাকে। ব্যাংকগুলো অনেকটা ফ্রি স্টাইলে গ্রাহকদের ঋণ দিতে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ ঋণ রাজনৈতিক চাপ, স্বজনপ্রীতি এবং পরিচালনা পর্ষদের হস্তক্ষেপে বিতরণ হয়। সাম্প্রতিক সময়ে হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ বড় বড় ঋণ কেলেঙ্কারি ঘটেছে ব্যাংকিং খাতে। এসব ঘটনা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তদারকি জোরদার করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ইলেকট্রিক ড্যাশবোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বড় অঙ্কের ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে তদারকি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য একটি বিশেষ সফটওয়্যার চালু করা হবে। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কোন গ্রাহককে কী পরিমাণ ঋণ দিচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে নেয়া হচ্ছে, অতীতে কী পরিমাণ ঋণ নেয়া হয়েছিল এবং কী কাজে ব্যয় করা হয়েছে তা তদারকি করা হবে। আগামী রোববার এ সফটওয়্যার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, কোনো ব্যাংকের মোট মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি কোনো গ্রাহককে ঋণ দিলেই তা বড় অঙ্কের ঋণ বিবেচিত হয়। এ বড় অঙ্কের ঋণ কোনো ব্যাংক একজন গ্রাহককে দিতে চাইলে আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হতো। এর ফলে কোনো ব্যাংক কী পরিমাণ বড় অঙ্কের ঋণ দিচ্ছে সে সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবহিত থাকত। কিন্তু মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে ২০০৩ সালের পর এ বিধান তুলে দেয়া হয়। তবে একক ঋণের সীমা অর্থাৎ কোনো ব্যাংকের মোট মূলধনের ১৫ শতাংশের বেশি অর্থ কোনো একজন গ্রাহককে নগদ দিতে চাইলে এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ সুযোগে ব্যাংকগুলোতে জালজালিয়াতি বাড়তে থাকে। ব্যাংকগুলো অনেকটা ফ্রি স্টাইলে গ্রাহকদের ঋণ দিতে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ ঋণ রাজনৈতিক চাপ, স্বজনপ্রীতি এবং পরিচালনা পর্ষদের হস্তক্ষেপে বিতরণ হয়। সাম্প্রতিক সময়ে হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ বড় বড় ঋণ কেলেঙ্কারি ঘটেছে ব্যাংকিং খাতে। এসব ঘটনা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তদারকি জোরদার করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ইলেকট্রিক ড্যাশবোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বড় অঙ্কের ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে তদারকি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য একটি বিশেষ সফটওয়্যার চালু করা হবে। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কোন গ্রাহককে কী পরিমাণ ঋণ দিচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে নেয়া হচ্ছে, অতীতে কী পরিমাণ ঋণ নেয়া হয়েছিল এবং কী কাজে ব্যয় করা হয়েছে তা তদারকি করা হবে। আগামী রোববার এ সফটওয়্যার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
No comments