অভূতপূর্ব-ঐতিহাসিক সাড়া
শত সহস্র হাতে লাখো মোমবাতির আলোয় জ্বলে
উঠলো শাহবাগ। আন্দোলনের ১০ম দিনে এসে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে গড়া হলো
উপস্থিতির এক নতুন ইতিহাস।
এ এক অভূতপূর্ব গণজাগরণ, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সাধারণ মানুষের ঐতিহাসিক সাড়া।
আন্দোলনের
শুরু থেকে সব চেয়ে বেশি জনতার উপস্থিতি ছিল শুক্রবারের মহাসমাবেশে। সে দিন
আনুমানিক দুই লাখ মানুষের সমাগম ঘটে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে। তবে
বৃহস্পতিবারের মোম জ্বালিয়ে হাত তুলেছেন তার চেয়ে কম হলেও দেড় থেকে দ্বিগুন
মানুষ।
ভালবাসা দিবসে সাধারণতই শাহবাগে তরুণ-তরুণীদের সমাগম থাকে চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এবার ভালবাসা দিবসের সেই উচ্ছাস রূপ নিয়েছে প্রতিবাদের অগ্নিশিখায়। তাইতো বেলা তিনটা থেকেই রঙ-বেরঙের উজ্জল পোশাক পরিহিত তরুণ-তরুণীরা ফুলের বদলে গণজাগরণ মঞ্চে আসতে শুরু করে মোমবাতি নিয়ে। এই মোমবাতিতেই সন্ধ্যা সাতটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে তারা জ্বালিয়েছে তাদের দেশপ্রেমের নিবিড় সলতে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভবনের ছাদে সারিবদ্ধভাবে জ্বালানো হলো মোমবাতি। এই মোমবাতির মিছিল কারওয়ানবাজার হয়ে বাংলা মটর, হোটেল রূপসী বাংলা; আবার টিএসসি, বাংলা একাডেমি হয়ে দোয়েল চত্বর। অন্যদিকে আজ আর কেবল কাঁটাবন মোড় নয়, মোমের মিছিল পৌঁছে গেল বাটা সিগন্যালে। আবার কেবল ঢাকা ক্লাব, শিশুপার্ক, রমনা বা সড়ক ভবনই নয়, মোমের স্রোত পৌঁছেছে মৎস্য ভবনেও।
যে যেখানে যে অবস্থায় ছিলেন, সেই অবস্থায় মোমবাতি জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে যান তারুণ্যের স্লোগানে। তারা জানিয়ে দেন দেন, তাদের প্রাণের দাবি একটাই দাবি, ‘রাজাকারের ফাঁসি’।
তারুণ্যের সমাবেশে উপস্থিত অনেক মুক্তিযোদ্ধাকেই মন্তব্য করতে শোনা গেছে- “অভূতপূর্ব, বিস্ময়কর। তরুণরা পারে, ভাবতে ভুলে গিয়েছিলাম। আজ আনমনে লজ্জা পাচ্ছি।”
কেবল শাহবাগই নয়, অন্ধকার ঠেলে কোটি কোটি মোম শিখায় জ্বলে উঠল সারা দেশ। রাজাকারদের ফাঁসির দাবির এ আন্দোলনের শিখায় এখন জ্বলছে সারা দেশ। কাদের মোল্লাসহ সকল রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ-দাবির এ দৃশ্য দেখে নিশ্চয়ই বিশ্বও দেখছে এক নতুন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ কেবল ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছাস আর দুর্ঘটনার দেশ নয়; উপ-মহাদেশের নতুন নতুন ইতিহাসেরও আঁতুড় ঘর।
ভালবাসা দিবসে সাধারণতই শাহবাগে তরুণ-তরুণীদের সমাগম থাকে চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এবার ভালবাসা দিবসের সেই উচ্ছাস রূপ নিয়েছে প্রতিবাদের অগ্নিশিখায়। তাইতো বেলা তিনটা থেকেই রঙ-বেরঙের উজ্জল পোশাক পরিহিত তরুণ-তরুণীরা ফুলের বদলে গণজাগরণ মঞ্চে আসতে শুরু করে মোমবাতি নিয়ে। এই মোমবাতিতেই সন্ধ্যা সাতটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে তারা জ্বালিয়েছে তাদের দেশপ্রেমের নিবিড় সলতে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভবনের ছাদে সারিবদ্ধভাবে জ্বালানো হলো মোমবাতি। এই মোমবাতির মিছিল কারওয়ানবাজার হয়ে বাংলা মটর, হোটেল রূপসী বাংলা; আবার টিএসসি, বাংলা একাডেমি হয়ে দোয়েল চত্বর। অন্যদিকে আজ আর কেবল কাঁটাবন মোড় নয়, মোমের মিছিল পৌঁছে গেল বাটা সিগন্যালে। আবার কেবল ঢাকা ক্লাব, শিশুপার্ক, রমনা বা সড়ক ভবনই নয়, মোমের স্রোত পৌঁছেছে মৎস্য ভবনেও।
যে যেখানে যে অবস্থায় ছিলেন, সেই অবস্থায় মোমবাতি জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে যান তারুণ্যের স্লোগানে। তারা জানিয়ে দেন দেন, তাদের প্রাণের দাবি একটাই দাবি, ‘রাজাকারের ফাঁসি’।
তারুণ্যের সমাবেশে উপস্থিত অনেক মুক্তিযোদ্ধাকেই মন্তব্য করতে শোনা গেছে- “অভূতপূর্ব, বিস্ময়কর। তরুণরা পারে, ভাবতে ভুলে গিয়েছিলাম। আজ আনমনে লজ্জা পাচ্ছি।”
কেবল শাহবাগই নয়, অন্ধকার ঠেলে কোটি কোটি মোম শিখায় জ্বলে উঠল সারা দেশ। রাজাকারদের ফাঁসির দাবির এ আন্দোলনের শিখায় এখন জ্বলছে সারা দেশ। কাদের মোল্লাসহ সকল রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ-দাবির এ দৃশ্য দেখে নিশ্চয়ই বিশ্বও দেখছে এক নতুন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ কেবল ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছাস আর দুর্ঘটনার দেশ নয়; উপ-মহাদেশের নতুন নতুন ইতিহাসেরও আঁতুড় ঘর।
No comments