অধ্যক্ষকে রাস্তায় ফেলে ছাত্রলীগের মারধর- শিক্ষক নির্যাতন ও শিক্ষা একসাথে চলে না
এবার কলেজ অধ্যক্ষকে প্রকাশ্যে মারধর ও শায়েস্তা করেছে সরকারদলীয় ছাত্র
সংগঠন ছাত্রলীগ। দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা ছাত্রলীগের
হাতে লাঞ্ছনা ও মারধরের শিকার হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভিসিরা এখনো প্রকাশ্যে মারধরের শিকার হননি তবে তারাও নানাভাবে নাজেহাল
হয়েছেন। ছাত্রলীগের অন্যায় বিরোধিতার কারণে অনেক ভিসিকে চাকরিও হারাতে
হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের অন্যায় ও বেপরোয়া কর্মকাণ্ডকে
প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। এর ফলে এদের বেপরোয়া
কার্যক্রম অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ ছাত্রলীগের হাতে নির্মম
লাঞ্ছনার শিকার হলেন বরিশাল বিএম কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর
শঙ্করচন্দ্র দত্ত।
অধ্যক্ষ শঙ্কর দত্তকে রাস্তায় ধাওয়া করে মারধর করছে এমন ছবি সব সংবাদমাধ্যমে এসেছে। বেপরোয়া পরিস্থিতির শিকার হয়ে তিনি কলেজে যোগদান না করে ফিরে গেছেন। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা যায়, অধ্যক্ষ শঙ্কর বিএম কলেজে নতুন করে নিয়োগ পান। কর্মস্থলে যোগ দিতে আসার আগেই ছাত্রলীগ রাস্তায় বেঞ্চ ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। দুপুর ১২টায় কলেজের পাশে পেট্রল পাম্পে পৌঁছলে ছাত্রলীগ তার ওপর হামলা চালায়। ‘কলেজ কর্মপরিষদ’ নামে ছাত্রলীগের স্বঘোষিত ছাত্রসংসদের সহসভাপতি ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ সেরনিয়াবাদ, কর্মপরিষদের অন্য সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের আলম, সাদ্দাম হোসেন শোভন ও সোহাগ প্রকাশ্যে শঙ্কর দত্তের ওপর হামলা চালায়। তাদের ছবিও সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে এসেছে।
কলেজের অধ্যক্ষ কাকে নিয়োগ দেয়া হবে এটা ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে না। কিন্তু ‘কলেজ পরিষদ’ নামে ছাত্রলীগের অঘোষিত কমিটি শক্তি প্রয়োগ করে সে কাজটি করেছে। একজন সম্মানিত প্রবীণ শিক্ষাবিদকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে কিল-ঘুষি মারে। একপর্যায়ে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও ধাওয়া করে আরো মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেলে বাসায় নিয়ে যান। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে অপরাধীরা চিহ্নিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এভাবে ছাত্রলীগ নির্বিচারে অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনার সময় বিএম কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় পুলিশের অবস্থান থাকলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করেছে। ঐতিহ্যবাহী বিএম কলেজে টানা দুই সপ্তাহ ধরে ছাত্রলীগ নৈরাজ্য চালাচ্ছে। অব্যাহত এ তাণ্ডবে শিার্থী-অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন। বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়েও বিএম কলেজের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এখন নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের পর তার সমাধান না হয়ে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটল।
এক দিকে ছাত্রলীগের জঙ্গিপনা ও সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ড চলতে দেয়া অন্য দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার কথা বলার পরষ্পরাবিরোধিতাকে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য বলা যায় না। প্রথমেই সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ড চলবে, না শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে। এ দুটো এক সাথে কখনো চলতে পারে না। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীরা সব চেয়ে বড় কর্তৃপক্ষ হয়ে দাঁড়াবে। আর সরকার যতই ভিসি-অধ্যক্ষ নিয়োগ দিক না কেন, সন্ত্রাসীদের পছন্দ না হলে তারা ক্যাম্পাসে টিকতে পারবেন না। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকেরা এ দমবন্ধ হওয়া পরিস্থিতির অবসান চান। সরকারের উচিত জনগণের উদ্বেগকে আমলে নেয়া।
অধ্যক্ষ শঙ্কর দত্তকে রাস্তায় ধাওয়া করে মারধর করছে এমন ছবি সব সংবাদমাধ্যমে এসেছে। বেপরোয়া পরিস্থিতির শিকার হয়ে তিনি কলেজে যোগদান না করে ফিরে গেছেন। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা যায়, অধ্যক্ষ শঙ্কর বিএম কলেজে নতুন করে নিয়োগ পান। কর্মস্থলে যোগ দিতে আসার আগেই ছাত্রলীগ রাস্তায় বেঞ্চ ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। দুপুর ১২টায় কলেজের পাশে পেট্রল পাম্পে পৌঁছলে ছাত্রলীগ তার ওপর হামলা চালায়। ‘কলেজ কর্মপরিষদ’ নামে ছাত্রলীগের স্বঘোষিত ছাত্রসংসদের সহসভাপতি ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ সেরনিয়াবাদ, কর্মপরিষদের অন্য সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের আলম, সাদ্দাম হোসেন শোভন ও সোহাগ প্রকাশ্যে শঙ্কর দত্তের ওপর হামলা চালায়। তাদের ছবিও সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে এসেছে।
কলেজের অধ্যক্ষ কাকে নিয়োগ দেয়া হবে এটা ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে না। কিন্তু ‘কলেজ পরিষদ’ নামে ছাত্রলীগের অঘোষিত কমিটি শক্তি প্রয়োগ করে সে কাজটি করেছে। একজন সম্মানিত প্রবীণ শিক্ষাবিদকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে কিল-ঘুষি মারে। একপর্যায়ে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও ধাওয়া করে আরো মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেলে বাসায় নিয়ে যান। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে অপরাধীরা চিহ্নিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এভাবে ছাত্রলীগ নির্বিচারে অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনার সময় বিএম কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় পুলিশের অবস্থান থাকলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করেছে। ঐতিহ্যবাহী বিএম কলেজে টানা দুই সপ্তাহ ধরে ছাত্রলীগ নৈরাজ্য চালাচ্ছে। অব্যাহত এ তাণ্ডবে শিার্থী-অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন। বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়েও বিএম কলেজের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এখন নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের পর তার সমাধান না হয়ে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটল।
এক দিকে ছাত্রলীগের জঙ্গিপনা ও সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ড চলতে দেয়া অন্য দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার কথা বলার পরষ্পরাবিরোধিতাকে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য বলা যায় না। প্রথমেই সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ড চলবে, না শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে। এ দুটো এক সাথে কখনো চলতে পারে না। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীরা সব চেয়ে বড় কর্তৃপক্ষ হয়ে দাঁড়াবে। আর সরকার যতই ভিসি-অধ্যক্ষ নিয়োগ দিক না কেন, সন্ত্রাসীদের পছন্দ না হলে তারা ক্যাম্পাসে টিকতে পারবেন না। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকেরা এ দমবন্ধ হওয়া পরিস্থিতির অবসান চান। সরকারের উচিত জনগণের উদ্বেগকে আমলে নেয়া।
No comments