ভালোবাসা দিবস ও অমর একুশে- গদখালীর ফুলচাষিদের দম নেয়ার সময় নেই
ভালোবাসা দিবস ও অমর একুশে সামনে করে ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীর ফুলচাষিরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
চাহিদা
অনুযায়ী ফুল সরবরাহ করতে গিয়ে তারা এখন দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না। এ
দুর্দিনে এখানে ১০ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের ফুল বিক্রি হবে যা আগের চেয়ে
অনেক বেশি।
গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ভালোবাসা দিবস, একুশে, পয়লা বৈশাখ এসব দিনে সারা দেশে ফুলের চাহিদার ৭০ শতাংশ এখান থেকে সরবরাহ করা হয়। এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা গদখালী ফুলবাজারে এসে ফুলের আগাম অর্ডার দেয়া শুরু করেছেন। ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, এবার জারবেরা ফুলের চাহিদা বেশি। এ জাতের একটি ফুলের দাম পড়বে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এর পরের চাহিদা গাঁদা ফুলের। এক হাজার গাঁদার দাম পড়বে ২০০ টাকা। গ্লাডিওলাসের প্রতিটির দাম পড়বে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা। রঙভেদে এর দাম কম বেশি হয়। গোলাপ প্রতিটি পাঁচ-ছয় টাকা এবং ৫০০ স্টিক রজনীগন্ধা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম জানান, বছরে এখানে ৭০ কোটি টাকার মতো ফুল উৎপাদিত হয়। ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে তার দাম দাঁড়ায় ১০০ কোটি টাকা। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদিত ফুল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ফুলচাষে এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। এলাকায় এখন হতদরিদ্র কৃষক নেই বললেই চলে। বর্তমানে গদখালীকেন্দ্রিক ৭৫টি গ্রামের পাঁচ হাজার চাষিসহ পাঁচ লাখ মানুষ ফুল উৎপাদন ও বিপণনের সাথে যুক্ত। ১৯৮৩ সালে এখানকার পানিসারা গ্রামের শের আলী সরদার মাত্র ৩০ শতক জমিতে রজনীগন্ধা চাষের মাধ্যমে যে ফুল চাষ শুরু করেন তা গত ২৮ বছরে বিস্তৃত হয়ে ২০টি জেলার ১০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে চাষ হচ্ছে। এখন ২০ লাখের বেশি মানুষ ফুল উৎপাদন ও এর ব্যবসার সাথে জড়িত।
গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ভালোবাসা দিবস, একুশে, পয়লা বৈশাখ এসব দিনে সারা দেশে ফুলের চাহিদার ৭০ শতাংশ এখান থেকে সরবরাহ করা হয়। এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা গদখালী ফুলবাজারে এসে ফুলের আগাম অর্ডার দেয়া শুরু করেছেন। ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, এবার জারবেরা ফুলের চাহিদা বেশি। এ জাতের একটি ফুলের দাম পড়বে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এর পরের চাহিদা গাঁদা ফুলের। এক হাজার গাঁদার দাম পড়বে ২০০ টাকা। গ্লাডিওলাসের প্রতিটির দাম পড়বে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা। রঙভেদে এর দাম কম বেশি হয়। গোলাপ প্রতিটি পাঁচ-ছয় টাকা এবং ৫০০ স্টিক রজনীগন্ধা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম জানান, বছরে এখানে ৭০ কোটি টাকার মতো ফুল উৎপাদিত হয়। ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে তার দাম দাঁড়ায় ১০০ কোটি টাকা। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদিত ফুল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ফুলচাষে এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। এলাকায় এখন হতদরিদ্র কৃষক নেই বললেই চলে। বর্তমানে গদখালীকেন্দ্রিক ৭৫টি গ্রামের পাঁচ হাজার চাষিসহ পাঁচ লাখ মানুষ ফুল উৎপাদন ও বিপণনের সাথে যুক্ত। ১৯৮৩ সালে এখানকার পানিসারা গ্রামের শের আলী সরদার মাত্র ৩০ শতক জমিতে রজনীগন্ধা চাষের মাধ্যমে যে ফুল চাষ শুরু করেন তা গত ২৮ বছরে বিস্তৃত হয়ে ২০টি জেলার ১০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে চাষ হচ্ছে। এখন ২০ লাখের বেশি মানুষ ফুল উৎপাদন ও এর ব্যবসার সাথে জড়িত।
No comments