খাদ্য অধিদফতরে পরিবহন খাতে নয়া কৌশলে অর্থ লোপাটের পাঁয়তারা by আশরাফ আলী
খাদ্য অধিদফতরের পরিবহন খাতে নয়া কৌশলে সরকারি অর্থ লোপাটের পাঁয়তারা
হচ্ছে। নতুন শর্তের বেড়াজালে সড়কপথে খাদ্যপণ্য পরিবহনে অভিজ্ঞদের আটকিয়ে
দেয়া হয়েছে।
অথচ জামানতসহ অন্যান্য খাতে বৈষম্য সৃষ্টি
করে সরকারি খাদ্যপণ্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়নি। উল্টো কর্মরত
ঠিকাদারদের সাথে আঁতাত করে পণ্যের নিরাপত্তা জামানতও কমানো হয়েছে।
দরপত্রের শর্তে খাদ্য বিভাগের পরিবহন অভিজ্ঞতা ছাড়া কেউ দরপত্রে অংশ গ্রহণ
করতে পারবে না। এসব শর্তের জন্য কর্মরত ঠিকাদার ও তাদের পোষ্য ছাড়া
বাইরের অন্য কোনো ঠিকাদার দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। একটি গোষ্ঠীকে
সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেই সরকারি খাদ্যপণ্য পরিবহনের সুযোগ করে
দিতে নতুন শর্তারোপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে
দরপত্রের শর্ত সংশোধন করে পুনঃদরপত্র আহ্বান করার জন্য আদালতে মামলা হয়েছে
বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, খাদ্য অধিদফতর ২০১২-২০১৪ দুই অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ঠিকাদার নিয়োগে গত বছরের ১২ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২ ডিসেম্বর দরপত্র গ্রহণ করা হয়। এতে দরদাতাদের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে- সরকারের খাদ্য বিভাগের খাদ্যশস্য সড়কপথে পরিবহন কাজে এক বছরের অভিজ্ঞতাসহ মোট দুই বছরের অভিজ্ঞতা। অর্থাৎ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন কাজে এক বছরের অভিজ্ঞতা না থাকলে দরপত্রে অংশগ্রহণ করা যাবে না। এমনকি যাদের নিজস্ব ১০-২০টি বা তারও বেশি ট্রাক আছে এবং যাদের বছরে বেসরকারি গম, চাল ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টন সড়কপথে পরিবহনের অভিজ্ঞতা আছে তারাও দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। শুধু তা-ই নয়, খাদ্য অধিদফতরের নৌপথে যারা ২০ থেকে ৩০ বছর যাবৎ পরিবহন কাজ করে আসছে- তারাও দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। খাদ্য অধিদফতরে নিয়োগকৃত সড়ক পরিবহন ঠিকাদারের সাথে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে এই শর্ত আরোপ করা হয়েছে, যাতে খাদ্য অধিদফতরে কর্মরত ঠিকাদার ছাড়া বাইরের কোনো পরিবহন ঠিকাদার না আসতে পারে। খাদ্য অধিদফতরের পরিবহন অভিজ্ঞতা চাওয়ায় ‘সীমাবদ্ধ’ দরপত্রের আওতায় পড়েছে, যা সরকারি বিধিবিধান পরিপন্থী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আহূত দরপত্রের শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিতে নিজস্ব লেটার প্যাডে ১০ লাখ টাকার নগদ অর্থের ঘোষণা দিতে হবে। ব্যাংক বিবরণীতে ১০ লাখ টাকার বার্ষিক লেনদেন থাকতে হবে। পারফরম্যান্স সিকিউরিটি দুই লাখ টাকা ও পণ্যের নিরাপত্তা জামানাত দুই লাখ টাকা দিতে হবে। বর্তমানে সড়ক পরিবহন ঠিকাদার হিসেবে খাদ্য অধিদফতরে কম-বেশি ৪০০ ঠিকাদার পরিবহন কাজ করছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিবহন ঠিকাদার নিয়োগের েেত্র দু’টি শর্ত সর্বাগ্রে বিবেচনায় আনতে হবে। আর্থিক স্বচ্ছলতা ও ঠিকাদারের বার্ষিক পরিবহনের পরিমাণ। যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যত বেশি মালামাল পরিবহনের রেকর্ড থাকবে তার অভিজ্ঞতাই বেশি। আর আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলে কোনো ঠিকাদারই পরিবহন কাজ সময়মতো সুষ্ঠুভাবে করতে পারবে না। দরপত্রে যেভাবে আর্থিক স্বচ্ছলতা চাওয়া হয়েছে তা সত্যিই হাস্যকর। দরদাতা নিজের প্রতিষ্ঠানের প্যাডে ১০ লাখ টাকার ঘোষণা দিবে অথচ তার স্বপে দালিলিক কোনো কাগজপত্র দাখিল করার বিধান রাখা হয়নি। ফলে ঘোষণাকারীর ১০ লাখ টাকা না থাকলেও সে আর্থিক স্বচ্ছলতার শর্তে উতরে যাবে। ১০ লাখ টাকার ব্যাংক বিবরণী চাওয়া হলেও কোনো শর্ত দেয়া হয়নি। ফলে খুব সহজেই এটি পূরণ করা সম্ভব। তা ছাড়া জমাদানের ধারাবাহিকতা চাওয়া হয়নি। আর্থিক স্বচ্ছলতা বিষয়টি দরপত্রে অন্তর্ভুক্ত দু’টি শর্তই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। খাদ্য অধিদফতরের ঠিকাদারদের জন্যই এরূপ শর্ত রাখা হয়েছে। যদিও যারা ১০ লাখ টাকার ঘোষণা দিয়েছে তাদের ৯০ ভাগেরই এ পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা নেই। দরপত্রের সাথে দাখিলকৃত ব্যাংকবিবরণী দেখলেই তা স্পষ্ট হবে। অথচ দরপত্রের শর্তে আছে অস্বচ্ছল দরদাতা গ্রহণযোগ্য নয়।
এ দিকে নতুন শর্তে একজন দরদাতা এক বা একের অধিক অর্থাৎ ১০টি লটের জন্য দরপত্র দাখিল করতে পারবেন। অথচ পারফরম্যান্স সিকিউরিটি ও পণ্যের নিরাপত্তা জামানত রাখা হয়েছে সামান্যই। এক লটের জন্য কেউ দরপত্র দাখিল করলে তাকে পারফরম্যান্স সিকিউরিটি দাখিল করতে হবে দুই লাখ টাকা এবং পণ্যের নিরাপত্তা জামানত হিসেবে দাখিল করতে হবে আরো দুই লাখ টাকা। আবার ১০টি লটের জন্য দরপত্র দাতার জন্যও পারফরম্যান্স সিকিউরিটি দুই লাখ টাকা এবং পণ্যের নিরাপত্তা জামানতও দুই লাখ টাকা। যে দরদাতা একটি লটের জন্য দর দাখিল করবে সে একটি প্রোগ্রাম পাবে, আর ১০টি লটের জন্য দরপত্রদাতা ১০টি প্রোগ্রাম পেতে পারে। প্রথম জন ১০০ টনের প্রোগ্রাম পেলে দ্বিতীয় জন পাবেন এক হাজার টনের প্রোগ্রাম। কাজেই দ্বিতীয় জনের পারফরম্যান্স সিকিউরিটি এবং পণ্যের নিরাপত্তা জামানত হবে ১০ গুণ। খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জারিকৃত সরকারি আদেশে পারফরম্যান্স সিকিউরিটি কার্যমূল্যের ১০ শতাংশ এবং পণ্যের নিরাপত্তা জামানত পরিবহন সূচিকৃত পণ্যের মোট মূল্যের পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে অর্থনৈতিক মূল্য হিসেবে ১০০ টন চালের মূল্য ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা, ৫ শতাংশ হারে পণ্যের নিরাপত্তা জামানত হবে এক লাখ ৭০ হাজার ৯৭৫ টাকা। প্রতি লটে ১০০ টন করে প্রোগ্রাম পেলে ১০ লটে সূচিকৃত মালের পরিমাণ হবে এক হাজার টন, যার মূল্য হবে তিন কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। ৫ শতাংশ হারে পণ্যের নিরাপত্তা জামানাত হবে ১৭ লাখ ৯ হাজার ৭৫০ টাকা। অথচ এ েেত্র পণ্যের নিরাপত্তা জামানত রাখা হয়েছে মাত্র দুই লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিআরটিসির েেত্র পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বীমা গ্রহণ বাধ্যতামূলক, ট্রাক মালিকদের েেত্র অভিজ্ঞতা শিথিল ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সড়কপথে পরিবহনে ১০ থেকে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ঠিকাদারদের অংশগ্রহণের সুযোগ রেখে আহূত দরপত্র দলিল সংশোধন করে, দরপত্র গ্রহণের তারিখ বাড়ালে সরকার কোটি কোটি টাকার তি থেকে রেহাই পাবে। এতে খাদ্য অধিদফতরে কর্মরত পরিবহন ঠিকাদারও বেশি দর প্রদান করার সুযোগ পাবেন। কারণ কর্মরত ৪০০ ঠিকাদার তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দেখিয়ে তাদের পোষ্য, নিকটাত্মীয় স্বজনদের নামেবেনামে টেন্ডার দাখিল করেছে। ফলে দরপত্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬২টিতে। এতে কর্মরত ঠিকাদার এবং তাদের প্রতিনিধি ছাড়া বাইরের কেউ অংশগ্রহণ করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, খাদ্য অধিদফতর ২০১২-২০১৪ দুই অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ঠিকাদার নিয়োগে গত বছরের ১২ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২ ডিসেম্বর দরপত্র গ্রহণ করা হয়। এতে দরদাতাদের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে- সরকারের খাদ্য বিভাগের খাদ্যশস্য সড়কপথে পরিবহন কাজে এক বছরের অভিজ্ঞতাসহ মোট দুই বছরের অভিজ্ঞতা। অর্থাৎ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন কাজে এক বছরের অভিজ্ঞতা না থাকলে দরপত্রে অংশগ্রহণ করা যাবে না। এমনকি যাদের নিজস্ব ১০-২০টি বা তারও বেশি ট্রাক আছে এবং যাদের বছরে বেসরকারি গম, চাল ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টন সড়কপথে পরিবহনের অভিজ্ঞতা আছে তারাও দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। শুধু তা-ই নয়, খাদ্য অধিদফতরের নৌপথে যারা ২০ থেকে ৩০ বছর যাবৎ পরিবহন কাজ করে আসছে- তারাও দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। খাদ্য অধিদফতরে নিয়োগকৃত সড়ক পরিবহন ঠিকাদারের সাথে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে এই শর্ত আরোপ করা হয়েছে, যাতে খাদ্য অধিদফতরে কর্মরত ঠিকাদার ছাড়া বাইরের কোনো পরিবহন ঠিকাদার না আসতে পারে। খাদ্য অধিদফতরের পরিবহন অভিজ্ঞতা চাওয়ায় ‘সীমাবদ্ধ’ দরপত্রের আওতায় পড়েছে, যা সরকারি বিধিবিধান পরিপন্থী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আহূত দরপত্রের শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিতে নিজস্ব লেটার প্যাডে ১০ লাখ টাকার নগদ অর্থের ঘোষণা দিতে হবে। ব্যাংক বিবরণীতে ১০ লাখ টাকার বার্ষিক লেনদেন থাকতে হবে। পারফরম্যান্স সিকিউরিটি দুই লাখ টাকা ও পণ্যের নিরাপত্তা জামানাত দুই লাখ টাকা দিতে হবে। বর্তমানে সড়ক পরিবহন ঠিকাদার হিসেবে খাদ্য অধিদফতরে কম-বেশি ৪০০ ঠিকাদার পরিবহন কাজ করছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিবহন ঠিকাদার নিয়োগের েেত্র দু’টি শর্ত সর্বাগ্রে বিবেচনায় আনতে হবে। আর্থিক স্বচ্ছলতা ও ঠিকাদারের বার্ষিক পরিবহনের পরিমাণ। যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যত বেশি মালামাল পরিবহনের রেকর্ড থাকবে তার অভিজ্ঞতাই বেশি। আর আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলে কোনো ঠিকাদারই পরিবহন কাজ সময়মতো সুষ্ঠুভাবে করতে পারবে না। দরপত্রে যেভাবে আর্থিক স্বচ্ছলতা চাওয়া হয়েছে তা সত্যিই হাস্যকর। দরদাতা নিজের প্রতিষ্ঠানের প্যাডে ১০ লাখ টাকার ঘোষণা দিবে অথচ তার স্বপে দালিলিক কোনো কাগজপত্র দাখিল করার বিধান রাখা হয়নি। ফলে ঘোষণাকারীর ১০ লাখ টাকা না থাকলেও সে আর্থিক স্বচ্ছলতার শর্তে উতরে যাবে। ১০ লাখ টাকার ব্যাংক বিবরণী চাওয়া হলেও কোনো শর্ত দেয়া হয়নি। ফলে খুব সহজেই এটি পূরণ করা সম্ভব। তা ছাড়া জমাদানের ধারাবাহিকতা চাওয়া হয়নি। আর্থিক স্বচ্ছলতা বিষয়টি দরপত্রে অন্তর্ভুক্ত দু’টি শর্তই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। খাদ্য অধিদফতরের ঠিকাদারদের জন্যই এরূপ শর্ত রাখা হয়েছে। যদিও যারা ১০ লাখ টাকার ঘোষণা দিয়েছে তাদের ৯০ ভাগেরই এ পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা নেই। দরপত্রের সাথে দাখিলকৃত ব্যাংকবিবরণী দেখলেই তা স্পষ্ট হবে। অথচ দরপত্রের শর্তে আছে অস্বচ্ছল দরদাতা গ্রহণযোগ্য নয়।
এ দিকে নতুন শর্তে একজন দরদাতা এক বা একের অধিক অর্থাৎ ১০টি লটের জন্য দরপত্র দাখিল করতে পারবেন। অথচ পারফরম্যান্স সিকিউরিটি ও পণ্যের নিরাপত্তা জামানত রাখা হয়েছে সামান্যই। এক লটের জন্য কেউ দরপত্র দাখিল করলে তাকে পারফরম্যান্স সিকিউরিটি দাখিল করতে হবে দুই লাখ টাকা এবং পণ্যের নিরাপত্তা জামানত হিসেবে দাখিল করতে হবে আরো দুই লাখ টাকা। আবার ১০টি লটের জন্য দরপত্র দাতার জন্যও পারফরম্যান্স সিকিউরিটি দুই লাখ টাকা এবং পণ্যের নিরাপত্তা জামানতও দুই লাখ টাকা। যে দরদাতা একটি লটের জন্য দর দাখিল করবে সে একটি প্রোগ্রাম পাবে, আর ১০টি লটের জন্য দরপত্রদাতা ১০টি প্রোগ্রাম পেতে পারে। প্রথম জন ১০০ টনের প্রোগ্রাম পেলে দ্বিতীয় জন পাবেন এক হাজার টনের প্রোগ্রাম। কাজেই দ্বিতীয় জনের পারফরম্যান্স সিকিউরিটি এবং পণ্যের নিরাপত্তা জামানত হবে ১০ গুণ। খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জারিকৃত সরকারি আদেশে পারফরম্যান্স সিকিউরিটি কার্যমূল্যের ১০ শতাংশ এবং পণ্যের নিরাপত্তা জামানত পরিবহন সূচিকৃত পণ্যের মোট মূল্যের পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে অর্থনৈতিক মূল্য হিসেবে ১০০ টন চালের মূল্য ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা, ৫ শতাংশ হারে পণ্যের নিরাপত্তা জামানত হবে এক লাখ ৭০ হাজার ৯৭৫ টাকা। প্রতি লটে ১০০ টন করে প্রোগ্রাম পেলে ১০ লটে সূচিকৃত মালের পরিমাণ হবে এক হাজার টন, যার মূল্য হবে তিন কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। ৫ শতাংশ হারে পণ্যের নিরাপত্তা জামানাত হবে ১৭ লাখ ৯ হাজার ৭৫০ টাকা। অথচ এ েেত্র পণ্যের নিরাপত্তা জামানত রাখা হয়েছে মাত্র দুই লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিআরটিসির েেত্র পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বীমা গ্রহণ বাধ্যতামূলক, ট্রাক মালিকদের েেত্র অভিজ্ঞতা শিথিল ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সড়কপথে পরিবহনে ১০ থেকে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ঠিকাদারদের অংশগ্রহণের সুযোগ রেখে আহূত দরপত্র দলিল সংশোধন করে, দরপত্র গ্রহণের তারিখ বাড়ালে সরকার কোটি কোটি টাকার তি থেকে রেহাই পাবে। এতে খাদ্য অধিদফতরে কর্মরত পরিবহন ঠিকাদারও বেশি দর প্রদান করার সুযোগ পাবেন। কারণ কর্মরত ৪০০ ঠিকাদার তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দেখিয়ে তাদের পোষ্য, নিকটাত্মীয় স্বজনদের নামেবেনামে টেন্ডার দাখিল করেছে। ফলে দরপত্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬২টিতে। এতে কর্মরত ঠিকাদার এবং তাদের প্রতিনিধি ছাড়া বাইরের কেউ অংশগ্রহণ করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
No comments