খাজা নাজিমুদ্দিন আবুল কাসেম চুক্তি
১৯৪৮ সালে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে ভাষা আন্দোলন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১১ মার্চ হরতাল পালিত হয় পূর্ব পাকিস্তানে।
হরতালে
পুলিশের নির্যাতন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে পরের তিন দিন ঢাকার সব
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন করা হয়। মিছিল মিটিংয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ নামকরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বাধাগ্রস্ত হয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এমনি পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের জনক
কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় আসার
কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নির্দেশে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন প্রফেসর আবুল কাসেমকে ডেকে পাঠান ভাষার প্রশ্নে সংগ্রাম পরিষদের সাথে একটি মীমাংসায় পৌঁছার জন্য। প্রফেসর আবুল কাসেমের নেতৃত্বে দুই দিন ধরে খাজা নাজিমুদ্দিনের সাথে বর্ধমান হাউজে বৈঠক চলে সংগ্রাম পরিষদের।
বৈঠকে সংগ্রাম পরিষদের সাত দফা দাবি মেনে নেয় সরকার। এ বিষয়ে ১১ মার্চ সরকারের সাথে সংগ্রাম পরিষদের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সাত দফার মধ্যে ছিল গ্রেফতারকৃত সবার মুক্তি, ভাষা আন্দোলনে সমর্থনকারী ইত্তেহাদসহ সব পত্রিকার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, আইন সভার অধিবেশন ডেকে বাংলাকে অফিস আদালতের ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া, দমন পীড়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা প্রভৃতি।
১১ মার্চ চুক্তির পরও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন অব্যাহত থাকে এবং সরকার রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি মেনে নিয়ে ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষাসংক্রান্ত আরেকটি চুক্তি করে। চুক্তিতে সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন খাজা নাজিমুদ্দিন এবং সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম, সংগ্রাম পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এম শামসুল আলম এবং কমুরদ্দিন আহমদ ও অন্যরা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে এক সমাবেশের মাধ্যমে প্রফেসর আবুল কাসেম রাষ্ট্রভাষা চুক্তি বিষয়ে ঘোষণা প্রদান করেন। সরকার বাংলার দাবি মেনে নেয়ায় ১৯৫২ সাল প্রর্যন্ত ভাষা আন্দোলন স্তিমিত থাকে। কিন্তু পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ১৯৫২ সালের ২৪ জানুয়ারি পল্টনে এক সমাবেশে চুক্তি লঙ্ঘন করে উর্দুকেই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে ভাষা আন্দোলনের নতুন এবং চূড়ান্ত পর্যায় শুরু হয়।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নির্দেশে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন প্রফেসর আবুল কাসেমকে ডেকে পাঠান ভাষার প্রশ্নে সংগ্রাম পরিষদের সাথে একটি মীমাংসায় পৌঁছার জন্য। প্রফেসর আবুল কাসেমের নেতৃত্বে দুই দিন ধরে খাজা নাজিমুদ্দিনের সাথে বর্ধমান হাউজে বৈঠক চলে সংগ্রাম পরিষদের।
বৈঠকে সংগ্রাম পরিষদের সাত দফা দাবি মেনে নেয় সরকার। এ বিষয়ে ১১ মার্চ সরকারের সাথে সংগ্রাম পরিষদের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সাত দফার মধ্যে ছিল গ্রেফতারকৃত সবার মুক্তি, ভাষা আন্দোলনে সমর্থনকারী ইত্তেহাদসহ সব পত্রিকার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, আইন সভার অধিবেশন ডেকে বাংলাকে অফিস আদালতের ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া, দমন পীড়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা প্রভৃতি।
১১ মার্চ চুক্তির পরও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন অব্যাহত থাকে এবং সরকার রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি মেনে নিয়ে ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষাসংক্রান্ত আরেকটি চুক্তি করে। চুক্তিতে সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন খাজা নাজিমুদ্দিন এবং সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম, সংগ্রাম পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এম শামসুল আলম এবং কমুরদ্দিন আহমদ ও অন্যরা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে এক সমাবেশের মাধ্যমে প্রফেসর আবুল কাসেম রাষ্ট্রভাষা চুক্তি বিষয়ে ঘোষণা প্রদান করেন। সরকার বাংলার দাবি মেনে নেয়ায় ১৯৫২ সাল প্রর্যন্ত ভাষা আন্দোলন স্তিমিত থাকে। কিন্তু পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ১৯৫২ সালের ২৪ জানুয়ারি পল্টনে এক সমাবেশে চুক্তি লঙ্ঘন করে উর্দুকেই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে ভাষা আন্দোলনের নতুন এবং চূড়ান্ত পর্যায় শুরু হয়।
No comments