ক্যামব্রিজে সেমিনারে ব্রিটিশ এমপি- যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক মানের না হলে ব্রিটেন সমর্থন দেবে না by এনাম চৌধুরী
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি ড. জুলিয়ান হোপার্ট মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের
বিচার প্রসঙ্গে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান ওই বিচার প্রক্রিয়ার মান
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না হলে আমরা কোনোভাবেই এ ব্যাপারে সমর্থন দেবো না।
তিনি
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কোনো
গণতান্ত্রিক পরিচয়ধারী রাষ্ট্রে এভাবে শত শত গুম-খুনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার
দায়িত্বে থাকা কোনো বাহিনীর জড়িত থাকা দুঃখজনক। তিনি বলেন, আমরা ল করছি
ক্রসফায়ারের নামে যেভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে সেটা
কোনোভাবেই মানা যায় না। তিনি শিগগিরই এ বিষয়ে হাউজ অব কমন্সে প্রস্তাব
আনবেন বলে জানান। ড. জুলিয়াস বলেন, বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু হিসেবে অবশ্যই
আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব।
তিনি গত রোববার যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ক্যামব্রিজের স্থানীয় বাংলাদেশী তরুণদের উদ্যোগে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেইভ বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইউনিভার্সিটি কনফারেন্স হলে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম।
হাফেজ মাহবুব আলীর তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জমিয়তে উলামা ইউরোপের আমির মুফতি শাহ ছদর উদ্দিন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মালিক, ফ্রান্স বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান।
আলোচনায় অংশ নেন মাবাধিকার সংগঠনের নিউহোপের সেক্রেটারি জেনারেল এনাম চৌধুরী, কমিউনিটি নেতা মাহবুব কাদির মিলন, সাইফুল ইসলাম, আজম আলী, শামসুদ্দীন আহমদ বাবুল, মাওলানা আবু ইউসুফ, নাছির আহমদ, জামাল আলী প্রমুখ।
মুফতি শাহ ছদর উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল নাম দিয়ে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের মানুষকে আন্তর্জাতিকভাবে ধোঁকা দিচ্ছে। তিনি বলেন, নীল নকশার বিচারের মাধ্যমে আল্লামা সাঈদীর মতো জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্বকে হত্যার ষড়যন্ত্র জাতি মেনে নেবে না। মুফতি ছদর আওয়ামী লীগকে জুলুমবাজ সরকার উল্লেখ করে বলেন, সর্বত্র তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এম এ মালিক বলেন, আওয়ামী লীগের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বানিয়ে দিয়েছে। আর তারা সেই ষড়যন্ত্র ঢাকা দিতে যুদ্ধাপরাধ বিচারের নামে তামাশা শুরু করেছে। আল্লামা সাঈদীসহ জনপ্রিয় রাজনীতিবিদদের হত্যার চেষ্টা করা হলে প্রতিরোধ করা হবে উল্লেখ করে মালেক বলেন, তামাশা বন্ধ না হলে আমলাদের পালানোর কোনো পথ থাকবে না।
ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার দেশীয় আইনে হবে এমন বিচার ব্যবস্থা কোথাও নেই। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, এই বিচার প্রক্রিয়া দেশের ভাবমূর্তিকেই শুধু ধ্বংস করছে না দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি গত রোববার যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ক্যামব্রিজের স্থানীয় বাংলাদেশী তরুণদের উদ্যোগে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেইভ বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইউনিভার্সিটি কনফারেন্স হলে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম।
হাফেজ মাহবুব আলীর তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জমিয়তে উলামা ইউরোপের আমির মুফতি শাহ ছদর উদ্দিন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মালিক, ফ্রান্স বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান।
আলোচনায় অংশ নেন মাবাধিকার সংগঠনের নিউহোপের সেক্রেটারি জেনারেল এনাম চৌধুরী, কমিউনিটি নেতা মাহবুব কাদির মিলন, সাইফুল ইসলাম, আজম আলী, শামসুদ্দীন আহমদ বাবুল, মাওলানা আবু ইউসুফ, নাছির আহমদ, জামাল আলী প্রমুখ।
মুফতি শাহ ছদর উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল নাম দিয়ে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের মানুষকে আন্তর্জাতিকভাবে ধোঁকা দিচ্ছে। তিনি বলেন, নীল নকশার বিচারের মাধ্যমে আল্লামা সাঈদীর মতো জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্বকে হত্যার ষড়যন্ত্র জাতি মেনে নেবে না। মুফতি ছদর আওয়ামী লীগকে জুলুমবাজ সরকার উল্লেখ করে বলেন, সর্বত্র তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এম এ মালিক বলেন, আওয়ামী লীগের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বানিয়ে দিয়েছে। আর তারা সেই ষড়যন্ত্র ঢাকা দিতে যুদ্ধাপরাধ বিচারের নামে তামাশা শুরু করেছে। আল্লামা সাঈদীসহ জনপ্রিয় রাজনীতিবিদদের হত্যার চেষ্টা করা হলে প্রতিরোধ করা হবে উল্লেখ করে মালেক বলেন, তামাশা বন্ধ না হলে আমলাদের পালানোর কোনো পথ থাকবে না।
ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার দেশীয় আইনে হবে এমন বিচার ব্যবস্থা কোথাও নেই। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, এই বিচার প্রক্রিয়া দেশের ভাবমূর্তিকেই শুধু ধ্বংস করছে না দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
No comments