ডেসটিনিতে প্রশাসক বসানো হচ্ছে- কোম্পানি আইন সংশোধন নিয়ে আজ বৈঠক
মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানিগুলোর প্রতারণা ঠেকাতে বিদ্যমান কোম্পানি আইন দ্রুত সংশোধন করা হচ্ছে।
আইনটি
সংশোধন করা হলে সরকার ইচ্ছে করলে যেকোনো কোম্পানিতে এক বা একাধিক প্রশাসক
নিয়োগ দিতে পারবে। বিতর্কিত ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত এমএলএম
কোম্পানি ডেসটিনিতে প্রশাসক বসানোর জন্যই সরকার কোম্পানি আইনটি সংশোধন করতে
যাচ্ছে। তবে কোনো কোম্পানিতে প্রশাসক বসানোর আগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে
কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হবে। এই নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে সেই
কোম্পানিতে প্রশাসক বসানো হবে। প্রশাসককে দেয়া হবে ‘দায়মুক্তি’ অর্থাৎ
তার কোনো কর্মকাণ্ড আইনে আমলযোগ্য হবে না। প্রস্তাবিত ‘মাল্টি লেভেল
মার্কেটিং (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২’ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির একটি সভা
আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে হওয়ার কথা রয়েছে। এই সভায়
প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় প্রশাসক নিয়োগের ধারা সংযোজনের বিষয়ে আলোচনা
হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, কোম্পানি আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘এই আইন ‘কোম্পানি আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১২’ নামে অভিহিত হবে। কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর ধারা ২০২ এর পর ধারা ২০২ক সংযোজিত হবে।’ তিন কারণে একটি কোম্পানিতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে বলে কোম্পানি আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে। সংযোজিত ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘(১) কোম্পানির ব্যবসা ইহার পাওনাদার, শেয়ারহোল্ডার বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে প্রতারণার জন্য পরিচালিত হইতেছে অথবা ইহার প্রশাসনিক কার্যক্রম প্রতারণা বা অবৈধ উদ্দেশ্যে অথবা কোনো সদস্যকে হয়রানির উদ্দেশ্যে অথবা (২) কোম্পানিটি গঠন বা ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ প্রতারণা, অবৈধ কর্ম সম্পাদন অথবা অন্য কোনো সদস্যের প্রতি অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত, অথবা (খ) জনস্বার্থে এবং শেয়ারহোল্ডার ও পাওনাদারদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়োজন।’ এসব কারণে কোনো কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া যাবে। তবে প্রস্তাবিত খসড়া আইনে কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়া কোনো কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, ‘শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে কোম্পানির কার্যক্রম বিষয়ে কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়ে উপধারা (১) এর অধীন কোনো প্রশাসক নিয়োগ করা যাইবে না।’ প্রশাসক সম্পর্কে খসড়া আইনে বলা হয়েছে, ‘প্রশাসকের যোগ্যতা, মেয়াদকাল, কর্মপরিধি, অপসারণ ইত্যাদি সরকার কর্তৃক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কেইস টু কেইস ভিত্তিতে নির্ধারিত হইবে। নিয়োজিত প্রশাসক/উপ-প্রশাসক/সহকারী প্রশাসক ১৮৬০ সনের দণ্ডবিধির ২১ ধারার আওতায় পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে গণ্য হইবে। এই আইনের অধীনে প্রশাসক বা তাহার অধীনস্থ কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরল বিশ্বাসে সম্পাদিত হইয়াছে এই রূপ কোনো কার্যের ফলে কেহ ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা উহার সম্ভাবনা থাকিলে, তাহা দেশের প্রচলিত কোনো আইনে আমলযোগ্য হইবে না। ’
বিতর্কিত এমএলএম কোম্পানি ‘ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে’ একজন প্রশাসক নিয়োগের জন্য কোম্পানি আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ডেসটিনি গ্রুপে তিন হাজার ৭৯৯ কোটি টাকার অনিয়ম পাওয়া গেছে। এই অর্থের মধ্যে তহবিল তছরূপ করা হয়েছে ১৪৫৪ কোটি টাকা এবং সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ সরানো হয়েছে দুই হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকেরা জনগণের সাথে প্রতারণা করে ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এসব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এনে সরকার ডেসটিনি গ্রুপের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একজন প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডেসিটিনির ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টি কার্যকর রয়েছে। বাকি ১৩টি কোম্পানি ভুয়া এবং মৃত (ডেড)। সরকারের তদন্ত কমিটি ডেসটিনিতে মোট ১২ ধরনের অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে।
সূত্র জানায়, কোম্পানি আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘এই আইন ‘কোম্পানি আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১২’ নামে অভিহিত হবে। কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর ধারা ২০২ এর পর ধারা ২০২ক সংযোজিত হবে।’ তিন কারণে একটি কোম্পানিতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে বলে কোম্পানি আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে। সংযোজিত ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘(১) কোম্পানির ব্যবসা ইহার পাওনাদার, শেয়ারহোল্ডার বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে প্রতারণার জন্য পরিচালিত হইতেছে অথবা ইহার প্রশাসনিক কার্যক্রম প্রতারণা বা অবৈধ উদ্দেশ্যে অথবা কোনো সদস্যকে হয়রানির উদ্দেশ্যে অথবা (২) কোম্পানিটি গঠন বা ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ প্রতারণা, অবৈধ কর্ম সম্পাদন অথবা অন্য কোনো সদস্যের প্রতি অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত, অথবা (খ) জনস্বার্থে এবং শেয়ারহোল্ডার ও পাওনাদারদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়োজন।’ এসব কারণে কোনো কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া যাবে। তবে প্রস্তাবিত খসড়া আইনে কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়া কোনো কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, ‘শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে কোম্পানির কার্যক্রম বিষয়ে কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়ে উপধারা (১) এর অধীন কোনো প্রশাসক নিয়োগ করা যাইবে না।’ প্রশাসক সম্পর্কে খসড়া আইনে বলা হয়েছে, ‘প্রশাসকের যোগ্যতা, মেয়াদকাল, কর্মপরিধি, অপসারণ ইত্যাদি সরকার কর্তৃক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কেইস টু কেইস ভিত্তিতে নির্ধারিত হইবে। নিয়োজিত প্রশাসক/উপ-প্রশাসক/সহকারী প্রশাসক ১৮৬০ সনের দণ্ডবিধির ২১ ধারার আওতায় পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে গণ্য হইবে। এই আইনের অধীনে প্রশাসক বা তাহার অধীনস্থ কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরল বিশ্বাসে সম্পাদিত হইয়াছে এই রূপ কোনো কার্যের ফলে কেহ ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা উহার সম্ভাবনা থাকিলে, তাহা দেশের প্রচলিত কোনো আইনে আমলযোগ্য হইবে না। ’
বিতর্কিত এমএলএম কোম্পানি ‘ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে’ একজন প্রশাসক নিয়োগের জন্য কোম্পানি আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ডেসটিনি গ্রুপে তিন হাজার ৭৯৯ কোটি টাকার অনিয়ম পাওয়া গেছে। এই অর্থের মধ্যে তহবিল তছরূপ করা হয়েছে ১৪৫৪ কোটি টাকা এবং সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ সরানো হয়েছে দুই হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকেরা জনগণের সাথে প্রতারণা করে ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এসব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এনে সরকার ডেসটিনি গ্রুপের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একজন প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডেসিটিনির ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টি কার্যকর রয়েছে। বাকি ১৩টি কোম্পানি ভুয়া এবং মৃত (ডেড)। সরকারের তদন্ত কমিটি ডেসটিনিতে মোট ১২ ধরনের অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে।
No comments